The News বাংলাঃ ১৯শে জানুয়ারি তৃণমূল কংগ্রেসের ব্রিগেড সমাবেশে আসছেন গুজরাতের ‘দলিত নেতা’ জিগনেশ মেবানি। তৃণমূল কংগ্রেস সূত্রে এই খবর জানা গেছে। কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীর পাশাপাশি যেএনইউ ছাত্র নেতা উমর খালিদ ও বাম ছাত্রনেতা কানাইহা কুমারেরও ‘প্রিয় বন্ধু’ জিগনেশ মেবানি।
আগামী ১৯ জানুয়ারি ব্রিগেডে তৃণমূলের সভায় আসছেন জিগনেশ মেবানি। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা ব্যানার্জির আমন্ত্রণপত্র হাতে পেয়ে তৎক্ষণাৎ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। জানিয়ে দিয়েছেন, তাঁর পছন্দের নেত্রীর আমন্ত্রণ পেয়ে তিনি আপ্লুত। তিনি অবশ্যই আসবেন ১৯ তারিখের ব্রিগেডে।
আরও পড়ুনঃ আয়কর দফতরের নোটিশ, মাথায় হাত কলকাতার পুজো উদ্যোক্তাদের
তৃণমূলের ব্রিগেডে আসবেন সপা নেতা অখিলেশ যাদব, বিক্ষুব্ধ বিজেপি নেতা রাম জেঠমালানি, শত্রুঘ্ন সিনহা, যশবন্ত সিংহ, অরুণ শৌরিরা। সংসদে তৃণমূল কংগ্রেস দপ্তরে আসেন দলিত নেতা জিগনেশ। মোদী সরকারের বিরুদ্ধে বিরোধীদের বর্তমান আন্দোলনের রূপরেখায় মোটেই খুশি নন গুজরাটের নির্দল বিধায়ক।
তিনি বলেন, “আগামী নির্বাচনে দেশের কোনও দলিত বিজেপি–কে ভোট দেবে না। সংখ্যায় বড় বিরোধী দল কৃষকদের দুর্দশা, বেকারত্ব, পেট্রোল–ডিজেল এবং নিত্যদ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধির মতো জ্বলন্ত বিষয়গুলি ভুলে গেছে”।
আরও পড়ুনঃ
শীতের বাংলায় বৃষ্টি আনতে আন্দামান থেকে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘পাবুক’
EXCLUSIVE: সংখ্যালঘুদের ধর্মে সুড়সুড়ি দিয়ে প্রকাশ্যে ভারতের টাকার কালোবাজারি
EXCLUSIVE: নতুন বছরে সুখবর, রাজ্য সরকারি কর্মীরা পাচ্ছেন বকেয়া ডিএ
‘রাম’কে ছেড়ে আসা লক্ষণকে ‘হাতে’ নিয়ে বাংলায় তুলকালাম
তিনি অভিযোগ করেন, “রাফায়েল যুদ্ধবিমান চুক্তি নিয়ে সংসদে শোরগোল চলছে। গরিব মানুষের নিত্যদিনের সমস্যা নিয়ে বলা হচ্ছে না”। জিগনেশ বলেন, “গুজরাটে বিজেপি–কে প্রায় কুপোকাত করার পর মিইয়ে গেছে বিরোধীরা (কংগ্রেস)। এই অবস্থায় আগামী নির্বাচনে গুজরাটে মোট ২৬টি আসনের মধ্যে বিজেপি ২০টির কাছাকাছি পৌঁছলেও অবাক হওয়ার কিছু নেই”।
বিজেপি মানুষের আবেগ নিয়ে রাজনীতি করে। বিরোধীদের মানুষের আবেগ বুঝে মহাজোটের রণকৌশল ঠিক করতে হবে। এমনই অভিমত জিগনেশ মেবানির।
আরও পড়ুনঃ বউ অদল বদল, বিকৃত যৌনাচারে ধর্ষণের অভিযোগ গৃহবধূর
গুজরাত বিধানসভা ভোটে রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বে পতিদার আন্দোলনের নেতা হার্দিক পটেল, দলিত আন্দোলনের নেতা জিগনেশ মেবানি এবং ওবিসি নেতা অল্পেশ ঠাকোরের মধ্যে ঐক্য হয়। সাফল্য পায় জোট। ভোট ও আসন কমে বিজেপির। গুজরাত বিধানসভা ভোটে এই জোটই প্রথম দেখায় যে বিজেপির বিরুদ্ধে সম্ভাব্য বৃহত্তর মহাজোট তৈরি করা সম্ভব৷
আর এই মহাজোটকেই সব থেকে ইতিবাচক দিক বলে মনে করছেন বিরোধী দলের নেতা নেত্রীরা। আর তাই আগামী লোকসভা নির্বাচনে দেশজুড়ে বিজেপিকে রোখার জন্য বিরোধীদের ফর্মুলা, ‘গুজরাট নির্বাচনের শিক্ষা’। আর সেটা হল, বিজেপিকে পরাজিত করতে হলে নেতা নয়, নীতি চাই। শুধু আমজনতার অসন্তোষকে হাতিয়ার করে বিজেপিকে পরাজিত করা যাবে না। কার্যকরী বিকল্প নীতি তৈরি করতে হবে।
সেটাই আবার মনে করিয়ে দিয়েছেন গুজরাতের ‘দলিত নেতা’ জিগনেশ মেবানি। মমতার ব্রিগেডে তিনি বিজেপি ও মোদী বিরোধী কি বক্তব্য রাখেন সেটাই এখন দেখার।
আরও পড়ুনঃ
ভোরবেলায় শবরীমালা মন্দিরে ঢুকে ইতিহাস সৃষ্টি ‘মা দুর্গার’
ফের গরু চোর সন্দেহে খুন, এবার ‘গোরক্ষকের’ নাম মুসলিম মিঁয়া
কংগ্রেস ছেড়ে মমতার ‘মহানায়িকা’ এবার মোদীর বক্স অফিসে
দেশপ্রেম বাড়াতে স্কুলের রোল কলে এবার ‘জয় হিন্দ’ ও ‘জয় ভারত’
আপনার মোবাইলে বা কম্পিউটারে The News বাংলা পড়তে লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ।