যুদ্ধের উত্তেজনা ভারত পাক সীমান্তে নামল ট্যাঙ্ক, সমুদ্রে প্রস্তুত যুদ্ধজাহাজ

1886
যুদ্ধের উত্তেজনা ভারত পাক সীমান্তে নামল ট্যাঙ্ক, সমুদ্রে প্রস্তুত যুদ্ধজাহাজ/The News বাংলা
যুদ্ধের উত্তেজনা ভারত পাক সীমান্তে নামল ট্যাঙ্ক, সমুদ্রে প্রস্তুত যুদ্ধজাহাজ/The News বাংলা

ভারত পাক সীমান্তে বাড়ছে উত্তেজনা। ভারতের তরফ থেকে সীমান্তে পাঠান হয়েছে ট্যাঙ্ক। ভারতীয় জলসীমায় প্রস্তুত নৌ বাহিনীর জাহাজ। অন্যদিকে পাকিস্তানের তরফেও সীমান্তে বাড়ান হয়েছে সেনা। সারারাত ধরেই কাশ্মীর সীমান্তের বিভিন্ন এলাকায় চলেছে গোলা গুলি ও মর্টার। সব মিলিয়ে যুদ্ধ পরিস্থিতি ভারত পাক সীমান্তে।

আরও পড়ুনঃ দুশ্চিন্তার কারণ নেই মোদীর হাতেই নিরাপদ রয়েছে ভারত

জম্মু ও কাশ্মীর সীমান্তে পাকিস্তান ও-ভারতের মধ্যে মঙ্গলবার সারারাত ধরেই চলেছে গুলি বিনিময়। ছোঁরা হয়েছে মর্টার। যুদ্ধ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পাক-ভারত সীমান্তের পরিস্থিতি এখন বারুদের স্তপের উপর দাঁড়িয়ে রয়েছে। পাকিস্তানের মাটিতে ঢুকে সারজিক্যাল স্ট্রাইক চালানর পর দেশের সীমান্তে কড়া নজরদারির নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্র। ভারত পাক সীমান্তে নামল ট্যাঙ্ক, সমুদ্রে প্রস্তুত রাখা হয়েছে যুদ্ধজাহাজ।

আরও পড়ুনঃ সেনাকে ক্ষমতা দিলে কি হয় দেখল ভারতীয় রাজনীতি, টের পেল পাকিস্তান

ভারতের সারজিক্যাল এয়ার স্ট্রাইক চালানর পর, ভারতকে পাল্টা জবাব দেওয়ার কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছেন পাকিস্তানের সেনাপ্রধান। সাধারণ মানুষের আড়াল থেকে ভারতের দিকে গোলাগুলি ছুঁড়ছে পাকিস্তান। সীমান্তে প্রচন্ড গোলাবর্ষণের প্রেক্ষিতে ভারত সীমান্ত অঞ্চলগুলি থেকে বাসিন্দাদের সরিয়ে নিচ্ছে ও সরে যাবার নির্দেশ দিয়েছে।

আরও পড়ুনঃ পাকিস্তানে ঢুকে দুই সার্জিক্যাল স্ট্রাইকে ফির একবার মোদী সরকার

ভারত পাক সীমান্তের অধিবাসীদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। তাদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। দরকার পড়লে সরকারী ভবনগুলোকেও অস্থায়ি আশ্রয় কেন্দ্র করার কথাও বলা হয়েছে। লোকজন সেগুলোতে বা আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে আশ্রয় নিচ্ছে।

আরও পড়ুনঃ সেনার সঙ্গে রাত জেগে পাকিস্তানে ঢুকে জঙ্গি খতমের নেতৃত্বে চৌকিদার

মঙ্গলবার রাত থেকেই আবার ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে প্রচন্ড গোলাগুলি শুরু হয়। বুধবার সকাল পর্যন্ত তা অব্যাহত থাকে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান। ভারত পাক সীমান্ত এলাকার গ্রামগুলো থেকে লোকজনকে ধীরে ধীরে সরানো হচ্ছে। ১৯৬৫ ও ১৯৭১-এর পর ১৯৯৯ কার্গিল ছাড়া সীমান্তে আর এইভাবে যুদ্ধের আঁচ লাগেনি। কাশ্মীরের সমস্ত হাসপাতালে যুদ্ধ পরিস্থিতিতে সবরকম ওষুধ সংগ্রহে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুনঃ বাজপেয়ীর মত ভুল করেননি, পাকিস্তানে ঢুকে জঙ্গি ঘাঁটি ধ্বংস করলেন মোদী

পাক সেনাও ইতিমধ্যেই সীমান্ত সংলগ্ন এলাকাগুলি থেকে স্থানীয় মানুষকে সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। ব্যাংকার বানানোরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে পাকসেনার তরফে। শুধু তাই নয়, হাসপাতালগুলিকে তৈরি রাখার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে পাকসেনার তরফে।

আরও পড়ুনঃ পাকিস্তানের মাটিতে ঢুকে জঙ্গি মারল ভারতের বিমান

এরই মধ্যে যুদ্ধের আশঙ্কায় সীমান্ত থেকে পাক রেঞ্জার্সদের সরিয়ে সেনাবাহিনীর হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে বলে এমনটাই জানা গিয়েছে। মূলত পাকিস্তানের সীমান্তে সুরক্ষার দায়িত্ব থাকে পাকিস্তান রেঞ্জার্সদের হাতে। সীমান্তের ওপারের সেনা ছাউনিতে পাক রেঞ্জার্সদের মোতায়েন করা হয়ে থাকে।

আরও পড়ুনঃ ভারতীয় সেনার উপর নজরদারি করতে এসে গুলিতে ধ্বংস পাক গুপ্তচর ড্রোন

কিন্তু যেভাবে পুলওয়ামার ঘটনার পর থেকে ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে ক্রমশ বাড়ছে টেনশন তাতে আতঙ্কিত পাকিস্তান। এরপর মঙ্গলবারের সারজিক্যাল এয়ার স্ট্রাইক এর পর আরও ভয় পেয়েছে পাকিস্তান, দাবি ভারতীয় সেনার। আর সেজন্যেই তড়িঘড়ি সেনা ছাউনিগুলি থেকে রেঞ্জার্সদের সুরক্ষায় পাকসেনাকে মোতায়েন করছে ইমরান সরকার। পাকিস্তান সেনাকে সবরকম পরিস্থিতির জন্য তৈরি থাকতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।

আরও পড়ুনঃ ১৯ মিনিটের বিমান হানায় ধ্বংস জইশ ই মহম্মদের জঙ্গি ট্রেনিং ক্যাম্প

ইসলামাবাদ এই আক্রমণের জবাব দেওয়ার হুমকি দেওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে নিয়ন্ত্রণ রেখা ধরে অন্তত ৫০টি স্থানে কাশ্মীরের দিকে মর্টার শেল ছোড়ে পাকিস্তানি সেনা। সাধারণ মানুষের আড়াল থেকে হামলা চালাচ্ছে পাক সেনারা, অভিযোগ ভারতীয় সেনার। এর মধ্যেই ভারত পাক সীমান্তে নামল ট্যাঙ্ক, প্রস্তুত নৌজাহাজ।

আরও পড়ুনঃ পাক সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে মোদীকেই যোগ্য বলছেন দেশের মানুষ

আপনার মোবাইলে বা কম্পিউটারে The News বাংলা পড়তে লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ।

Comments

comments

আপনাদের মতামত জানাতে কমেন্ট করুন