কোথায় কাঁটাতার? কোথায় সীমান্তরক্ষীর রক্তচক্ষু? পীরের উৎসবকে কেন্দ্র করে একাকার হয়ে গেল ভারত-বাংলাদেশ। কাঁটাতারকে সাক্ষী রেখেই মিশে গেল দুই পাড়ের বাঙালীরা। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির অন্যতম নজির এই মিলন মেলা।
আরও পড়ুনঃ জওহরলাল নেহেরুর গলায় মালা দিয়ে ৬০ বছর পরেও একঘরে ‘নেহেরুর বউ’
বালুরঘাট ব্লকের জলঘর এলাকার তালমন্দিরা গ্রামের কাছে একদিকে বাংলাদেশের উন্মুক্ত সীমান্ত, আর এক দিকে ভারতীয় কাঁটাতারের বেড়া। মাঝে অবস্থিত পীরের দরগায় এক সাথে মিশে গেলেন হিন্দু মুসলিম উভয় সম্প্রদায়ের মানুষ। প্রতি বছর ১২ মাঘ আজকের এই দিনটির জন্য অপেক্ষায় থাকেন দুই দেশের মানুষ।
আরও পড়ুনঃ মোদীর মাস্টারস্ট্রোকে দেশ পেতে পারে প্রথম মহিলা বাঙালি সিবিআই প্রধান
সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির অন্যতম নজির এই মিলন মেলা উপলক্ষে আজকের দিনটিতে বাধ সাধে না বিএসএফ ও বিজিবি কেউই। ইন্দো-বাংলাদেশ সীমান্তের মাঝে অবস্থিত মাজারে শায়িত রয়েছেন সুফি সাধক। সীমান্তের দুই পাড়ের মানুষ যাঁকে পীর তেধারা নামেই ডাকেন।
আরও পড়ুনঃ জয় হিন্দ, ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবসের সোনার অক্ষরে লেখা ইতিহাস
মনস্কামনা পূরণের বাসনায় দূরদুরান্তের জাতি ধর্ম নির্বিশেষে মানুষ এখানে পৌঁছে চাদর চড়ান ও সিন্নি ভোগ নিবেদন করে যান। এবারেও সুফি সাধক তেধারার উৎসবকে কেন্দ্র করে দুই দেশের মানুষ ভিড় জমিয়েছিলেন তালমন্দিরা এলাকার পীরের মাজার প্রাঙ্গনে। এই মিলন মেলা উপলক্ষ্যে সকাল থেকেই শুরু হয়েছিল, খাজা, বাতাসা ও জিলেপির দোকান। জমে উঠেছিল বেচা কেনাও।
আরও পড়ুনঃ প্রিয়াঙ্কা গান্ধী মা দুর্গার সাক্ষাৎ অবতার, পোস্টার কংগ্রেসের
ওপারের বগুড়া শহর থেকে পীরের মাজারে চাদর চড়াতে আসা সাদ্দাত ইসলাম জানিয়েছেন, যে সারা বছর ধরেই তাঁরা এই দিনটির জন্য অপেক্ষা করে থাকেন। তেধারা পীরের কাছে মন থেকে কিছু চাইলে তিনি কখনও নিরাশ করেন না বলেও তাঁর বিশ্বাস।
আরও পড়ুনঃ সোনি বোতলবন্দি, ফিরতি ম্যাচেও বাগানকে চূর্ণ করল জবির ইস্টবেঙ্গল
মানত পূরণের পাশাপাশি তাছাড়াও এই উৎসবের বড় প্রাপ্তি হলো ভারতে থাকা আত্মীয় স্বজনদের সাথেও তাঁর দেখা হয়ে যায়। একটা গোটা দিন এপার বাংলার আত্মীয়দের সঙ্গে কাটান অনেকেই।
আরও পড়তে পারেনঃ মকর সংক্রান্তি, পৌষ পার্বণ ও পিঠাপুলি উত্সবের অজানা পৌরাণিক কাহিনি
ইতিহাস গবেষক সমিত ঘোষ জানিয়েছেন যে, তেধারার এই পীরের আসল নাম ছিল মশারফ হুসেন। সুফি সাধনায় সিদ্ধ মশারফ হুসেন তাঁর ভক্তদের কাছে পীর তেধারা নামেই পরিচিত হন। বহু বছর আগে থেকেই এই দিনটিতে জলঘরের তেধারা এলাকায় উৎসবের আয়োজন হয়ে থাকে। এখানে দুই বাংলার কয়েক হাজার পূণ্যার্থী অংশ নেন। তাঁরা মানত হিসেবে চাদর চড়ান ও মোরগ ও সিন্নিও নিবেদন করে থাকেন।
আর এই উৎসবকে কেন্দ্র করেই বিচ্ছেদের কাঁটাতারকে সাক্ষী রেখে ফের ভালবাসার বাঁধনে আবদ্ধ হন দুই বাংলার মানুষ জন। সন্ধায় ফের দেশে ফেরার পালা। ফের কাঁটাতারের এপার-ওপার। আবার অপেক্ষা আগামী বছরের।
আপনার মোবাইলে বা কম্পিউটারে The News বাংলা পড়তে লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ।
আরও পড়ুনঃ
শ্রীজাত হেনস্থা ঘটনায় বাংলার বুদ্ধিজীবিদের মুখোশ খুললেন তসলিমা
মানুষের হাসপাতালে এত কুকুর বেড়াল কেন? দায় এড়াতে পারে না প্রশাসন
সপ্তশৃঙ্গর পর সপ্ত আগ্নেয়গিরি, বিরল বিশ্বরেকর্ডের চূড়ায় বাঙালি
দাউদ ইব্রাহিমকে হত্যার পরিকল্পনা করায় ডি কোম্পানির হাতে পাকিস্তানে খুন
কালামের নামে ছাত্রদের তৈরি হালকা উপগ্রহ মহাকাশে পাঠিয়ে নজির ভারতের
আপনার মোবাইলে বা কম্পিউটারে The News বাংলা পড়তে লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ।