প্রতিশ্রুতি মতো ১০০ ভারতীয় বন্দীকে মুক্তি দিল পাকিস্তান। এদের অধিকাংশই মৎস্যজীবী এবং তাদের বেশিরভাগই গুজরাটের বাসিন্দা, বলেই জানা গেছে। মাছ ধরতে গিয়ে এরা পথ ভুল করে পাকিস্তানের জলসীমায় ঢুকে পরেন। আর তারপরেই বন্দী হন পাকিস্তান সেনার হাতে। এদের মধ্যেই ১০০ জনকে মুক্তি দিল পাকিস্তান।
আরও পড়ুনঃ দ্বিতীয় দফা ভোটে আরও ২৫ কোম্পানি সশস্ত্র বাহিনী আসছে বাংলায়
বৃহস্পতিবারই মুক্তি দেওয়া হল পাকিস্তানে বন্দী ১০০ ভারতীয়কে, যাদের অধিকাংশই মৎস্যজীবী এবং তাদের বেশিরভাগই গুজরাটের বাসিন্দা। গভীর সমুদ্রে মাছ ধরার সময় তারা ভুলবশত পাকিস্তানের সীমানায় ঢুকে পড়ে বন্দী হন। এদের প্রায় সকলেই ১ বছরের অধিক সময় ধরে পাকিস্তানের জেলে বন্দী ছিলেন। এতদিন পর আন্তর্জাতিক চাপে তাদের মুক্তি দিল পাকিস্তান।
আরও পড়ুনঃ সেনার পোশাকে বুথে রাজ্য পুলিশ কর্মী, গাদা বন্দুক নিয়েই ধরা পরে গেলেন
এর আগেই ৩৬০ ভারতীয় বন্দীকে মুক্তি দেবে এমনই জানিয়েছিল পাকিস্তান। কিন্তু মাত্র ১০০ জনকে ছাড়া হল। যার ফলে সম্প্রতি পুলওয়ামা কান্ড ও ভারতীয় এয়ার স্ট্রাইকের পরিপ্রেক্ষিতে দুই দেশের মধ্যে যে উত্তেজনার সৃষ্টি করেছে, পাকিস্তানের এই পদক্ষেপে তা অনেকটাই প্রশমিত হবে বলে মনে করা হচ্ছে। যদিও ভারতের তরফ থেকে জানান হয়েছে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াই চলবে।
আরও পড়ুনঃ শুধু কোচবিহারে ছাপ্পা ও সন্ত্রাস আটকাতে না পেরে লজ্জায় বিবেক দুবে ও নির্বাচন কমিশন
পাকিস্তানের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র মোহাম্মদ ফয়সাল আগেই জানিয়েছিলেন, ৪টি ধাপে এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে। ৮ই এপ্রিল প্রথমে ১০০ জনকে ভারতের হাতে তুলে দেওয়ার কথা ছিল। এরপর ১৫ই এপ্রিল ও ২২শে এপ্রিল ১০০ জন করে এবং আর বাকিদের ২৯শে এপ্রিল মুক্তি দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছিল। সেইমতই গতকাল প্রথম ১০০ জন ওয়াঘা সীমান্ত দিয়ে ভারতে আসেন।
আরও পড়ুনঃ রাজ্যের উপর ভরসা করে ডুবল ভারতের নির্বাচন কমিশন, কেন্দ্রীয় বাহিনী না থাকায় সন্ত্রাস
এর আগে পাকিস্তান পরিসংখ্যান দিয়ে জানায়, ভারতে এই মুহূর্তে পাকিস্তানি বন্দীর সংখ্যা ৩৪৭। অন্যদিকে পাকিস্তানে ভারতীয় বন্দীর সংখ্যা ৫৩৭। এর মধ্যে ৩৬০ জন ভারতীয়কে পাকিস্তান মুক্তি দিতে চলেছে, যাদের মধ্যে ৩৫৫ জন মৎসজীবী।
আরও পড়ুনঃ ভোটের ‘দাওয়াই’ দেওয়ার বেনজির হুমকি রাজ্যের মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষের
পাকিস্তান ও ভারতের হাতে প্রায়শই মৎসজীবীরা আটক হন সীমান্ত পেরোনোর অভিযোগে। আন্তর্জাতিক সীমানা নির্ধারণ করতে না পারার জন্য দুই দেশের মৎসজীবীরাই এই সাধারণ ভুল করে থাকেন। তাদেরই ফেরাতে ইতিবাচক ভাবে উদ্যোগী ইমরান সরকার।
আরও পড়ুনঃ আশ্চর্য কাণ্ড, ভোট শুরু হতেই কোচবিহার থেকে কলকাতায় ফিরলেন বিবেক দুবে
ভারতের তরফ থেকে অনেকবারই পাকিস্তানের মৎস্যজীবী যারা ভুল করে ভারতে ঢুকে পরেছিল, তাদের মুক্তি দেওয়া হয়েছে। আবার এই সুযোগেই মৎস্যজীবীদের ছদ্মবেশে মুম্বাইয়ে ঢুকে বড়বড় হামলা চালায় পাক জঙ্গিরা। ২০০৮ সালে ২৬/১১ হামলা চালায় লস্কর ই তৈবা জঙ্গিরা। প্রায় ২০০ জন মানুষ প্রাণ হারান ওই হামলায়।
আরও পড়ুনঃ জঙ্গি ঘাঁটিতে ফের হামলার পরিকল্পনা করছে ভারত, ভয়ে কাঁপছে পাকিস্তান
আপনার মোবাইলে বা কম্পিউটারে The News বাংলা পড়তে লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ।