শিক্ষামন্ত্রী, শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী, মন্ত্রীর মেয়ে, দুর্নীতির জালে জর্জরিত রাজ্য প্রশাসন। রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী, শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী, মন্ত্রীর মেয়ে, সব দুর্নীতির তদন্ত সিবিআইয়ের হাতে। রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায়; জড়িত শিক্ষামন্ত্রী-রাই। অভিযোগ, একসময়ের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও বর্তমানের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারী; দুজনেই যুক্ত নিয়োগ দুর্নীতিতে। ইতিমধ্যেই কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে; দুজনকেই সিবিআই জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হতে হয়েছে।
সিবিআই হাজিরার নির্দেশের পরই; হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে যান পার্থ চট্টোপাধ্যায়। বিচারপতি হরিশ টন্ডনের ডিভিশন বেঞ্চে; মামলা করেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশকে; চ্যালেঞ্জ করে মামলা হয়। তবে তাতেও কোন লাভ হয়নি। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের করা মামলায় নির্দেশ দিতে; অস্বীকার করে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ।
এরপরই পরিস্কার হয় যে, সন্ধ্যে ৬টার মধ্যে আদালত অবমাননার মামলা এড়াতে; সিবিআই দফতরে যেতেই হবে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায়, সন্ধে ৬টার মধ্যে নিজাম প্যালেসে; সিবিআই অফিসে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে হাজিরার নির্দেশ।
এদিনই অন্য একটি এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলা; সিঙ্গল বেঞ্চে ফিরিয়ে দিয়েছে বিচারপতি সুব্রত তালুকদার ও বিচারপতি আনন্দ মুখোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ। তারপরই প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীকে সিবিআই হাজিরার নির্দেশ দিল আদালত। এরপরই পালটা ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তবে তাতেও কোন লাভ হয়নি।
এদিকে এসএসসির গ্রুপ সি নিয়োগে, দুর্নীতি সংক্রান্ত সন্দীপ প্রসাদের করা মামলায়ও; পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে সিবিআইয়ের মুখোমুখি হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নতুন করে এফআইআর করার নির্দেশও দিয়েছেন; বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। ‘দুর্নীতিবাজদের কলার ধরে নিয়ে যাওয়া উচিত সিবিআইয়ের’; মন্তব্য কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের।
অন্যদিকে, এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায়, সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে; ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছিলেন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারী। কিন্তু ডিভিশন বেঞ্চে বড় ধাক্কা খেলেন মন্ত্রী। পরেশ অধিকারীর মামলা শুনবে না; বিচারপতি হরিশ টন্ডনের ডিভিশন বেঞ্চ। মামলা থেকে অব্যাহতি চাইল; বিচারপতি হরিশ টন্ডনের ডিভিশন বেঞ্চ।
এদিকে মঙ্গলবার হাইকোর্টের নির্দেশ পেয়ে; মন্ত্রীকে ফোন করেন সিবিআই আধিকারিকরা। তিনবার ফোন করে সুইচড অফ পাওয়ায়; যোগাযোগ করতে পারেননি তাঁরা। মন্ত্রীকে ই-মেলে নির্দেশ দেওয়া হয় যে; রাত আটটার মধ্যে হাজির হতে হবে তাঁকে। যদিও মন্ত্রী পরেশ অধিকারীর তরফে, ফোনে বা ই-মেলে কোনওরকম উত্তর আসেনি।