The News বাংলা, নিউ দিল্লি: ২০১৯ সালের মার্চ মাসের মধ্যে বন্ধ হয়ে যেতে পারে দেশের ৫০ শতাংশ এটিএম। এটিএম ইন্ডাস্ট্রির সংগঠন কনফেডারেশন অফ এটিএম ইন্ড্রাষ্ট্রি (ক্যাটমি) এই কথা জানিয়ে দিয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন এটিও মোদীর হঠকারী নোটবন্দীর আর একটা কুফল।
আরও পড়ুনঃ গরু তুমি কার ? বিজেপির ‘গোমাতা’য় হাত কংগ্রেসের
এটিএমগুলির হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার আপগ্রেডেশন করা বাধ্যতামূলক করা হয়ছে। অনেক আগেই নির্দেশিকা জারি হয়ে গেছে। সেই নির্দেশিকা অনুযায়ী, অপারেটিং সিস্টেম, টাকা গোনার পদ্ধতি, সরবরাহ সমস্ত প্রক্রিয়াই পাল্টাতে হবে। তাছাড়া এটিএমগুলিতে টাকা ভরার পদ্ধতিরও পরিবর্তন করতে বলা হয়েছে। সেসব শর্তাবলী পূরণ করতে না পারার জন্যই দেশের প্রায় অর্ধেক এটিএম বন্ধ হয়ে যাবে।
এই মুহূর্তে দেশে মোট এটিএমের সংখ্যা ২,৩৮,০০০। যার মধ্যে ১,১৩,০০০ এটিএমে ঝাঁপ পড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে মার্চের মধ্যে। জানিয়েছে এটিএম ইন্ডাস্ট্রির সংগঠন কনফেডারেশন অফ এটিএম ইন্ড্রাষ্ট্রি (ক্যাটমি)।
আরও পড়ুন: মোদীর নোটবন্দীর ২ বছর পূর্তিতে আশা নিরাশা
এর ফলে দেশের জনগণের ওপর ভয়ঙ্কর চাপ পড়তে পারে৷ প্রধানমন্ত্রী জনধন যোজনার আওতায় থাকা যে কোটি কোটি সাধারণ মানুষ এটিএম থেকে টাকা তোলেন, প্রভূত সমস্যায় পড়ে যাবেন তাঁরাও।
২০১৬ সালের ৮ নভেম্বর নোটবন্দির পরে এটিএম কাউন্টারের সামনে যে দীর্ঘ লাইন দেখা যেত, ফিরতে পারে সেই স্মৃতি। নোট বাতিলের পর যেমন গোটা দেশের এটিএমে হাজার হাজার মানুষের লাইন পড়ত, তেমনই দিন ফের ফিরে আসার সম্ভাবনা রয়েছে, পরিস্কার জানিয়েছে কনফেডারেশন অফ এটিএম ইন্ড্রাষ্ট্রি।
আরও পড়ুন: ‘গুজরাট দাঙ্গা’, ২৬ নভেম্বর মোদীর বিরুদ্ধে অভিযোগ শুনবে সুপ্রিম কোর্ট
সাম্প্রতিক সময়ে এটিএমের হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার প্রযুক্তির বিপুল বদলের যে নির্দেশিকা এসেছে তা বহু এটিএমের ক্ষেত্রেই কার্যকর করা সম্ভব হচ্ছে না বলেই এই সিদ্ধান্ত বলে জানায় এটিএম ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে যুক্ত সংগঠন। বিপুল খরচের জন্য এটিএম সফ্টওয়্যারে এই পরিবর্তন সম্ভব নয়।
এই সিদ্ধান্তের ফলে বেকারের সংখ্যা বহু বেড়ে যাবে বলেও মনে করছে বণিকমহল। সামগ্রিকভাবে যার প্রভাব পড়বে দেশের অর্থনীতির ওপর। এটিএমের সঙ্গে যুক্ত বিশাল সংখ্যক শ্রমিকের কাজ হারানোর সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।
আরও পড়ুন: নরেন্দ্র মোদীর গুজরাটে আর পড়াবেন না ‘দেশদ্রোহী’ প্রফেসর’
শুধু তাই নয়, নদগ টাকা তুলতে না পেরে ভোগান্তিতে পড়তে হবে সাধারণ মানুষকে। এমনকী গ্রামাঞ্চলে নোটবন্দির মতো পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে।
এটাও মোদীর নোট বাতিলের একটা বড় কুফল বলে মনে করছে বণিক মহল। অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞরাও কিছুটা হলেও নোটের পরিবর্তনকে দায়ী করেছেন। মার্চে অর্ধেক এটিএম বন্ধ হয়ে গেলে লোকসভা ভোটে যে বিজেপি বড় সমস্যায় পড়তে চলেছে তা বলাই যায়।