রক্ষা পেল বাংলা। বাংলায় গতিহারা ফণী। হুগলি; বর্ধমান; নদিয়া হয়ে ভোরে প্রবেশ করল বাংলাদেশে। দক্ষিনবঙ্গে যতটা গতিবেগ থাকার কথা ছিল; তা না থেকে ৭০ কিলোমিটার বেগে ঝড় বয়ে গেল। তবে রাতভর চলল বৃষ্টি। দুপুর পর্যন্ত দক্ষিনবঙ্গের জেলাগুলিতে; বৃষ্টি চলবে বলেই জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর।
বাংলায় ঢুকেই চুপসে গেল; ফণীর ফণা। আর কোন বিপদের আশঙ্কা নেই। নাক ঘেঁষে বেড়িয়ে গেল কলকাতারও। কলকাতাকে পাশ কাটিয়ে বাংলাদেশের দিকে ঘূর্ণিঝড় ফণী। আশঙ্কা অনুসারে দক্ষিণবঙ্গে তেমন প্রভাব ফেলল না ঘূর্ণিঝড়টি। তবে রাতভর বৃষ্টি ও দমকা হাওয়া চলেছে দক্ষিণবঙ্গের সব জেলাতেই।
আরও পড়ুনঃ কলকাতায় নিউ সেক্রেটারিয়েট বিল্ডিংয়ের ছাদে ফুটবলটি এখন ফণীর খবর দিচ্ছে
শুক্রবার রাত ১ টার পর; পশ্চিম মেদিনীপুর দিয়ে দক্ষিণবঙ্গে প্রবেশ করে ঘূর্ণিঝড় ফণী। তবে ততক্ষণে বেশ শক্তি হারায় ফণী। ঘূর্ণিঝড়ের সব থেকে বেশি প্রভাব পড়ে পশ্চিম মেদিনীপুরে। সেখান থেকে ঝড়টি হুগলি; পূর্ব বর্ধমান হয়ে নদিয়ায় প্রবেশ করে। ভোরে বাংলাদেশে ঢুকে যায় ঝড়ের কেন্দ্রটি।
ফণীর জেরে সারা রাত নাগাড়ে বৃষ্টি হয়েছে দক্ষিণবঙ্গ এর সব জেলা জুড়ে। বৃষ্টি হয়েছে ২ মেদিনীপুর; হাওড়া; হুগলি; কলকাতা; পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান; পুরুলিয়া; বাঁকুড়া; বীরভূম; নদিয়া ও দুই ২৪ পরগনায়।
আরও পড়ুনঃ ফনী মোকাবিলায় কেন্দ্রীয় সরকারের অগ্রিম বরাদ্দ ১০০০ কোটি টাকা
ফণীর প্রভাবে দিঘা; মন্দারমণি-সহ গোটা উপকূলজুড়ে প্রবল জলোচ্ছ্বাস দেখা গিয়েছে। ঝড়ের দাপট দেখা গিয়েছে সুন্দরবন; কাকদ্বীপ; বকখালি; হলদিয়ার মতো নদী তীরবর্তী এলাকাগুলিতে।
দুই বর্ধমানে; বিশেষ করে পূর্ব বর্ধমানে ও নদিয়ায় তুমুল ঝড় বৃষ্টি হচ্ছে। তবে যেটা ভাবা গিয়েছিল; সেই ঝড়ের গতিবেগ রয়েছে অনেক কম। বিকেলের মধ্যেই সব দুর্যোগ কেটে যাবে; জানিয়ে দিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। বলা যায় এযাত্রায় রক্ষা পেল বাংলা। আর বাংলায় ঢুকেই নির্বিষ হয়ে গেল ফণী।