ফণীতেই বিপদের শেষ নয়। ফণীর পরেও আসবে ঘূর্ণিঝড় বায়ু। তারপর আসবে হিক্কা। ঝড় আসার আগেই ঠিক হয়ে থাকে নাম। আটটি দেশ ঘুরিয়ে ফিরিরে ঝড়ের নাম দেয়। পরের নামটি দিয়েছে ভারত। পরের সাইক্লোনটির নাম বায়ু।
ফণী নামটি দিয়েছে বাংলাদেশ। বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা (ডব্লুএমও); আঞ্চলিক কমিটি একেকটি ঝড়ের নামকরণ করে। এরপর যে ঘূর্ণিঝড় আসবে তার নাম দেবে ভারত। ইতিমধ্যেই তার নাম দেওয়া হয়েছে বায়ু। ফলে ফণীর পর আসবে বায়ু।
আরও পড়ুনঃ ধেয়ে আসছে ফণী, ওড়িশার পুরী গোপালপুরে তুমুল ঝড় বৃষ্টি শুরু
ভারত মহাসাগরের ঝড়গুলোর নামকরণ করে এই সংস্থার অন্তর্ভুক্ত আটটি দেশ। দেশগুলি হল; বাংলাদেশ; ভারত; পাকিস্তান; মায়ানমার; মলদ্বীপ; শ্রীলঙ্কা; থাইল্যান্ড ও ওমান। এই প্যানেলকে বলা হয়; ইকনোমিক অ্যান্ড সোশ্যাল কমিশন ফর এশিয়া অ্যান্ড দা প্যাসিফিক (এএসসিএপি)।
ঝড়ের নামকরণের এই রীতি কিন্তু খুব একটা পুরনো নয়। মাত্র ২০০০ সাল থেকে এই প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। আগে ঝড়গুলোকে নানা নম্বর বা বর্ণ দিয়ে শনাক্ত করা হত। কিন্তু সে সব নম্বর সাধারণ মানুষের কাছে দুর্বোধ্য ছিল। ফলে সেগুলোর পূর্বাভাস দেওয়া; মানুষ বা জাহাজ বা জলযানগুলোকে সতর্ক করাও কঠিন ছিল।
আরও পড়ুনঃ ফনীর ঝোড়ো হাওয়ায় উড়ে গেল পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের ধ্বজা
২০০৪ সাল থেকে বঙ্গোপসাগর ও আরব সাগরের উপকূলবর্তী দেশগুলোতে ঝড়ের নামকরণ শুরু হয়। আটটি দেশ মিলে মোট ৬৪টি নাম প্রস্তাব করে। সে সব ঝড়ের নামের মধ্যে এখন ফণীকে বাদ দিলে আর সাতটি নাম বাকি রয়েছে।
ভারতের প্রস্তাব অনুযায়ী পরের ঝড়টির নাম হবে বায়ু। আরও ছয়টি ঝড় এখনও নামের তালিকায় রয়েছে। সেগুলো হল হিক্কা; কায়ার; মাহা; বুলবুল; পবন এবং আম্ফান। এই নাম ফুরিয়ে গেলে আবার বৈঠকে বসে নতুন নামকরণ শুরু হবে।
আরও পড়ুনঃ স্কুলে ছুটি কত দিনের, নবান্নের ঘোষণায় গোটা বাংলার শিক্ষা জগতে আলোড়ন
আরও সাতটি ঝড়ের পর বাংলাদেশ ফের চারটি ঝড়ের নাম দেবে। ভারতের পক্ষে ঘূর্ণিঝড়ের প্রস্তাবিত নাম হল অগ্নি; আকাশ; বিজলি; পানি; লহর; মেঘ; সাগর।
এর আগে থেকেই ব্রিটেন বা অস্ট্রেলিয়া এলাকায় ঝড়ের নামকরণ করা হত। ভারত মহাসাগরে ঘূর্ণিঝড়কে সাইক্লোন বলা হলেও অতলান্তিক মহাসাগরীয় এলাকায়; ঘূর্ণিঝড়কে বলা হয় হারিকেন। প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে বলা হয় টাইফুন।
ফলে বলাই যায় একের পর এক ঘূর্ণিঝড়; নতুন কিছু নামের সঙ্গে এসেই যাবে। ফণীর পর আসছে বায়ু। তারপর আসবে হিক্কা।