বর্ধমানের এক সময়ের দাপুটে সিপিএম নেতা ও বর্ধমান পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান আইনুল হক শনিবার আনুষ্ঠানিকভাবে যোগ দিলেন বিজেপিতে। শনিবার কলকাতার জাতীয় গ্রন্থাগারের ভাষা ভবনে দলের কর্মিসভায় তাঁর হাতে পদ্মপতাকা তুলে দেন দিলীপ ঘোষ।
আরও পড়ুনঃ নির্বাচন কমিশনের নতুন অ্যাপ সি ভিজিল, জনতার অভিযোগে ১০০ মিনিটের মধ্যে ব্যবস্থা
বর্ধমানের ডাকসাইটে সিপিএম নেতা আইনুল হক শনিবার বিজেপিতে যোগ দিলেন । বিজেপির প্রথম দফার প্রার্থী তালিকা প্রকাশের পর শনিবার ‘প্রার্থী-পরিচিতি’ বৈঠক হলো আলিপুরের ন্যাশনাল লাইব্রেরির ভাষাভবনে। সেখানেই বহিষ্কৃত সিপিএম নেতা তুলে নেন গেরুয়া পতাকা।
আরও পড়ুনঃ রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বে ভরা তৃণমূলের তারকা তালিকা নির্বাচন কমিশনে
এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়, রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ, মুকুল রায়-সহ দক্ষিণবঙ্গের সব বিজেপি প্রার্থীরা। সেখানেই প্রাক্তণ কমরেড আইনুল হক লাল ছেড়ে গেরুয়া শিবিরে যোগ দেন।
আরও পড়ুনঃ গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব সামলে নিশীথের হয়েই প্রচার শুরু বিজেপির বিক্ষুব্ধদের
২০১৬ বিধানসভা নির্বাচনেও বর্ধমান দক্ষিণ কেন্দ্রে সিপিএম প্রার্থী হয়েছিলেন আইনুল হক। তার আগে বর্ধমান পুরসভার চেয়ারম্যানও ছিলেন। এমনকি জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্যও হয়েছেন। ভোটের হারার পরই নেতৃত্বের বিরুদ্ধে কার্যত বিদ্রোহ ঘোষণা করেছিলেন আইনুল। এড়িয়ে গিয়েছিলেন একাধিক বৈঠক। দলের চিঠির জবাবও দেননি।
আরও পড়ুনঃ অসুস্থ শরীরে ভোট লড়বেন কিভাবে, সারদার প্রসঙ্গ টেনে সুদীপকে খোঁচা রাহুলের
তাঁর বিরুদ্ধে তৃণমূলের সঙ্গে যোগসাজশের অভিযোগ উঠেছিল। পরে দুই মহিলার সঙ্গে অবৈধ সম্পর্কের অভিযোগও ওঠে। এরপরই আইনুলকে বহিষ্কার করে সিপিএম।
আরও পড়ুনঃ ধামাচাপার দেওয়ার চেষ্টা বিফলে, অভিষেকের স্ত্রীর বিরুদ্ধে এফআইআর শুল্ক দফতরের
গত বিধানসভা নির্বাচনেও বর্ধমানে তিনি ছিলেন দলের মুখ৷ তার ৪ মাসের মধ্যেই জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য, প্রাক্তন পুর চেয়ারম্যান সেই আইনুল হককে দল থেকে বহিষ্কার করে সিপিএম৷ তাঁর বিরুদ্ধে দলবিরোধী কাজ ও দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করার অভিযোগ আনে রাজ্যের পুরনো শাসক দল৷ ২০১৬ র অক্টোবরে তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়।
আরও পড়ুনঃ ভোট প্রচারে বাংলায় মোদী, ব্রিগেড থেকেই দেবেন ভোট জেতার মন্ত্র
নাম না প্রকাশের শর্তে বর্ধমান সিপিএমের প্রভাবশালী এক জেলা নেতা বলেন , “২০১৬ বিধানসভা নির্বাচনের সময় থেকেই বর্ধমান শহরের ইছলাবাদ এলাকায় দুই মহিলার সঙ্গে অবৈধ সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল আইনুল হকের৷ দুই মহিলাই জেলা সিপিএমে অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত৷ দল ক্ষমতায় আসছে ধরে নিয়ে ওই দুই মহিলার সঙ্গে নানা ধরনের ঘটনায় জড়িয়েছেন আইনুল”৷
আরও পড়ুনঃ ভোটের গানে বিপাকে বাবুল, কমিশনের হাতে টুইট অস্ত্র
ওই নেতা আরও বলেন, “নির্বাচনে দল ক্ষমতায় আসছে ধরে নিয়েই দুই মহিলাকে বেশ কিছু প্রতিশ্রুতি দেন আইনুল৷ ভোটে দল ও নিজের পরাজয়ের পর, ওই দুই মহিলা একাধিকবার আইনুলের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তাঁরা গুরুত্ব পাননি৷ এর পরেই দলের কাছে লিখিত ভাবে তথ্য প্রমাণ দিয়ে ওই দুই মহিলা অভিযোগ আনেন৷ পার্টির ভাবমূর্তি নষ্ট হবে এ কথা ভেবেই ওঁকে সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়”৷
আরও পড়ুনঃ জল্পনার অবসান, আনুষ্ঠানিক ভাবে বিজেপিতে যোগ দিলেন অগ্নিমিত্রা পল
যদিও এই অভিযোগের জবাবে আইনুল হক বলেন, “এ বিষয়ে আমাকে কেউ কোনও কথা বলেননি”। শনিবার সেই আইনুল হক যোগ দিলেন গেরুয়া শিবিরে। লোকসভা ভোটে তাঁকে কোন কেন্দ্র থেকে দাঁড় করানো হবে বলেই জানা গেছে।
আপনার মোবাইলে বা কম্পিউটারে The News বাংলা পড়তে লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ।