চলে গেলেন অভিনেতা চিন্ময় রায়। রবিবার রাত সওয়া দশটা নাগাদ সল্টলেকের বাসভবনে হৃদরোগে আক্রান্ত হন তিনি। মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ৭৯ বছর। বাংলা সিনেমার সর্বকালের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কমেডিয়ান হিসাবে ধরা হয় তাঁকে। তাঁর মৃত্যুর সাথে শেষ হল বাংলা সিনেমার এক অধ্যায়।
তাঁর অভিনীত ছবি গুলোর মধ্যে, ধন্যি মেয়ে, বসন্ত বিলাপ, ননীগোপালের বিয়ে, চারমূর্তি’র মতো ছবিতে তাঁর অভিনয় অমর হয়ে রয়েছে দর্শকের মনে। ‘বসন্ত বিলাপ’ ছবিতে তাঁর সংলাপ ‘একবার বলো উত্তমকুমার!” এখনও আওড়ায় বাঙালি।
গুপি গাইন বাঘা বাইন’-এ তিনি কাজ করেছিলেন সত্যজিৎ রায়ের সঙ্গে। ওই ছবিতে তাঁর চরিত্রটি ছিল হাল্লার মন্ত্রীর গুপ্তচরের। তবে, যে ছবিটির মুখ্য চরিত্রে তাঁর অভিনয়ের জন্য বাংলা ছবির সমস্ত দর্শকের হৃদয়ে একটি নিজস্ব জায়গা নিয়ে রেখেছেন চিন্ময় রায়, সেটি হল- ‘চারমূর্তি’। ‘টেনিদা’র ভূমিকায় তাঁর অবিস্মরণীয় অভিনয় কমেডি চরিত্রে অভিনয়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলকও বটে।
স্ত্রী অভিনেত্রী জুঁই বন্দ্যোপাধ্যায় এর মৃত্যুর পর থেকেই বহুদিন আর কোনও ছবিতে কাজ করছিলেন না তিনি। শারীরিক অসুস্থতা এবং অন্যান্য কারণের জন্য। শেষ ছবিটির কাজ করেন ২০১৩ সালে এক ইন্দো-অস্ট্রেলিয় পরিচালকের সঙ্গে।
গত বছরের জুনে ছাদ থেকে পড়ে গিয়ে ভয়ঙ্করভাবে জখম হয়েছিলেন দীর্ঘদিন ভর্তি ছিলেন হস্পিতালে। হয়েছিলেন তিনি। তারপর থেকেই দীর্ঘদিন নানা অসুস্থতায় ভুগছি। তাঁর মৃত্যুর খবর জানান দীর্ঘদিনের ম্যানেজার প্রসেনজিৎ। তিনি জানান রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ মারা গেছেন চিন্ময়দা। ছাদ থেকে পড়ে যাওয়ার পর থেকেই অসম্ভব শারীরিক কষ্টে ভুগছিলেন এই বর্ষীয়ান অভিনেতা। চিন্ময় রায়ের স্ত্রী গত হয়েছেন অনেকদিন আগে। পরিবারে রয়েছে এক মেয়ে এবং এক ছেলে। মেয়ে থাকেন চেন্নাইতে। তিনি কলকাতায় আসার পরই চিন্ময়বাবুর শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে।