রাজ্যপাল আর নয়, বিশ্ববিদ্যালগুলির আচার্য হবেন মুখ্যমন্ত্রী; অনুমোদন মমতার মন্ত্রিসভার। পদাধিকার বলে, রাজ্যের সব বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য হলেন; রাজ্যের রাজ্যপাল। বহুদিন থেকেই এই নিয়ম চলে আসছে। এবার রাজ্যের সমস্ত সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য পদ থেকে; রাজ্যপালকে সরাতে চায় রাজ্য সরকার। সেই পদে মুখ্যমন্ত্রীকে আনতে চাওয়া হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীই হবেন সব বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য; এই নিয়ে প্রস্তাবও পাশ হয়েছে রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে।
শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেছেন, “রাজ্যের সমস্ত সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের; আচার্য হবেন মুখ্যমন্ত্রী। আজকে রাজ্যের মন্ত্রিসভা সর্বসম্মতিক্রমে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে”। বৃহস্পতিবার রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে, সংক্ষিপ্ত এক সাংবাদিক বৈঠকে ব্রাত্য বসু বলেন; “আজকে রাজ্যপালের জায়গায় মুখ্যমন্ত্রীকে; রাজ্যের সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্য নিয়োগের প্রস্তাব সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়েছে। এরপর বিষয়টি বিল আকারে, বিধানসভায় পেশ করা হবে; তার পর আইনের আকার নেবে এই প্রস্তাব।
আরও পড়ুনঃ ট্যাংরার ট্রাক ভর্তি লোকের শাস্তি হয়নি, বেঁচে ফিরে নতুন জন্ম দিচ্ছেন পরিবহ মুখোপাধ্যায়
রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্তের জেরে রাজ্য-রাজ্যপাল দ্বন্দ্ব; নতুন শিখরে পৌঁছল বলেই মনে করছেন অনেকে। সংশোধিত আইনটি কার্যকর হলে, রাজ্যের সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের; আচার্য বা চ্যান্সেলর পদে বসবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। অর্থাৎ রাজ্যের শিক্ষাক্ষেত্র-কে, রাজভবনের ঘেরাটোপ থেকে; বের করে আনতে তৎপর হল রাজ্য সরকার।
আরও পড়ুনঃ ঘটা করে শিল্প সম্মেলনই সার, শিল্পে দেশের মধ্যে ‘পিছিয়ে বাংলা’
তবে আইনজ্ঞরা বলছেন; বিষয়টি অতটা সহজ নয়। রাজ্যপালকে সরাতে বিধানসভায় বিল পাশ করিয়ে; সেই বিল পাঠাতে হবে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের কাছেই। আর তাতে রাজ্যপাল সই না করলে; অর্ডিনান্স জারি করতে হবে সরকারকে। কিন্তু ২ দফার বেশি জারি করা যাবে না, একই অর্ডিন্যান্স। ততদিনে ধনখড়ের রাজ্যপাল হিসাবে, মেয়াদও ফুরিয়ে যাবে; তারপর এই বিলের প্রাসঙ্গিকতা নাও থাকতে পারে।
রাজ্য মন্ত্রিসভার এই সিদ্ধান্তের কথা জেনে, সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন; “মুখ্যমন্ত্রী ভাবছেন প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্কুলেই যদি এত টাকা থাকে, তাহলে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে; না জানি কত টাকা রয়েছে। তাই তিনি ঝাঁপিয়ে পড়েছেন; কলঙ্কের এটুকুই বা আর বাকি থাকে কেন”? বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য বলেছেন; “একাধিক দুর্নীতির অভিযোগে বিদ্ধ এই সরকার; নজর ঘোরানোর জন্য এমন পদক্ষেপ। সাংবিধানিক পদকে এঁরা মানেন না”।