আরও বাড়ল ফোর্স। চতুর্থ দফায় ৫৮০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী রেখে বাংলায় ভোট করাবে নির্বাচন কমিশন। ১০০ শতাংশ বুথেই কেন্দ্রীয় বাহিনী রেখে ভোট হবে চতুর্থ দফায়। জানালেন রাজ্যের বিশেষ পুলিশ পর্যবেক্ষক বিবেক দুবে। এর আগেই বীরভূম জেলায় ও আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রে ১০০ শতাংশ বুথেই কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট করানো হবে বলেই ঘোষণা করেছিলেন রাজ্যের বিশেষ পর্যবেক্ষক অজয় নায়েক।
তবে চতুর্থ দফায় আসানসোল ও বীরভূম ছাড়াও আছে বহরমপুর, সঙ্গে আছে নদিয়ার দুটি আসন রাণাঘাট ও কৃষ্ণনগর, আছে বর্ধমানের দুটি লোকসভা, বর্ধমান পূর্ব ও বর্ধমান দুর্গাপুর। আগামী ২৯ শে এপ্রিল মোট ৮ টি আসনে ভোট। আর এই ৮ টি আসন একটা বড় চ্যালেঞ্জ হতে চলেছে নির্বাচন কমিশনের কাছে। তৃতীয় দফায় ৩২৪ কোম্পানি বাহিনী ছিল। সেটাই এবার হচ্ছে ৫৮০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী।
আরও পড়ুনঃ লোকসভা ভোটে অনুব্রতর বীরভূম নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত নিল নির্বাচন কমিশন
নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর পশ্চিমবঙ্গে চতুর্থ দফা থেকেই কমিশনের কাছে রীতিমতো এক বড় চ্যালেঞ্জ হতে চলেছে শান্তিপূর্ণভাবে ভোট করানো। ইতিমধ্যেই রাজ্যে নিযুক্ত বিশেষ পর্যবেক্ষক অজয় নায়েক জানিয়েছেন, আসানসোলে ১০০ শতাংশ বুথেই থাকবে কেন্দ্রীয় বাহিনী। পরে বিশেষ পুলিশ পর্যবেক্ষক বিবেক দুবে জানিয়েছেন বীরভূমেও ১০০ শতাংশ বুথেই থাকবে কেন্দ্রীয় বাহিনী।
কিন্তু বৃহস্পতিবার বিবেক দুবে জানিয়ে দিলেন, ৫৮০ কোম্পানি বাহিনী দিয়ে ভোট হবে চতুর্থ দফায়। ১০০ শতাংশ বুথেই থাকবে কেন্দ্রীয় বাহিনী। কোনরকমেই রাজ্য পুলিশকে বুথে রাখা হবে না। তৃতীয় দফার ভোট থেকে শিক্ষা নিয়ে এবার আরও কড়া নির্বাচন কমিশন।
আরও পড়ুনঃ রাজ্য পুলিশে ভরসা নেই আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রে সব বুথেই কেন্দ্রীয় বাহিনী
বৃহস্পতিবার রাজ্যে নিযুক্ত বিশেষ পুলিশ পর্যবেক্ষক বিবেক দুবে জানিয়েছেন চতুর্থ দফা নির্বাচনে ১০০% বুথেই থাকবে কেন্দ্রীয় বাহিনী। তার জন্য থাকছে ৫৮০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। বিরোধীদের অভিযোগ এর পরিপ্রেক্ষিতেই কেবলমাত্র যে এই সিদ্ধান্ত, তা নয় বলেই নির্বাচন কমিশন জানাচ্ছে। সূত্রের খবর, বিগত দিনের রাজ্য নির্বাচনগুলিতে চতুর্থ দফার এই জেলাগুলিতে যে সন্ত্রাস হয়েছিল তার পূর্ণাঙ্গ তথ্য আছে কমিশনের কাছে।
সেই কারণে নির্বাচন কমিশন দুর্গা পুজোর আগে থেকেই লোকসভা নির্বাচনের কর্মকাণ্ড এবং প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছিল। যার ফলস্বরূপ কয়েকটি বিক্ষিপ্ত ঘটনা ছাড়া তৃতীয় দফা নির্বাচন মোটের ওপর শান্তিপূর্ণ ভাবেই হয়েছে। তবে তৃতীয় ধাপ পেরিয়ে গেলেও এখন নির্বাচন কমিশনের কপালে ভাঁজ পড়েছে বাকি দফাগুলির নির্বাচন সুষ্ঠু অবাধ ও শান্তিপূর্ণ করানো নিয়ে।
আরও পড়ুনঃ বাড়ি নেই, গাড়ি নেই, বাংলার অন্যতম গরিব প্রার্থী অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়
যার মধ্যে রয়েছে বীরভূম, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, পশ্চিম মেদিনীপুর, উত্তর ২৪ পরগনা, আসানসোল এবং উত্তর কলকাতা। এই জেলাগুলোয় ভোট করানো যে রীতিমত কমিশনের কাছে একটা বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠতে চলেছে তা এককথায় স্বীকার করে নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। তার কারণ অতীতের যে রেকর্ড সেই রেকর্ড কিন্তু ২০১৯ এর লোকসভা নির্বাচনে একটা বড় ছাপ ফেলতে পারে তা বুঝতে পেরেই আগেভাগে সবদিক থেকে ঘর গোছাতে এখন তৎপর হয়ে উঠেছে নির্বাচন কমিশন।
আরও পড়ুনঃ বাংলায় সুরাপ্রেমিদের চিন্তা বাড়াল নির্বাচন কমিশন, নতুন লাইসেন্সপ্রাপ্ত মদের দোকান বন্ধ
রাজ্যের প্রথম তিনটি দফা ভোটের পর আর কোনো খামতি রাখতে চাইছে না কমিশন পরের দফাগুলি থেকে। এখন দেখার বিষয় মুর্শিদাবাদের পর বাকি দফাগুলোতে কমিশন শান্তিপূর্ণভাবে ভোট করাতে সক্ষম হয় নাকি ডোমকলের মত ভোটার খুনের ঘটনা ঘটতেই থাকবে। তবে ৫৮০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী ঠিকঠাক কাজে লাগাতে পারলে চতুর্থ দফার ভোটে যে আরও শান্তিপূর্ণ ভাবেই ভোট হবে সেটাই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
আপনার মোবাইলে বা কম্পিউটারে The News বাংলা পড়তে লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ।