বিজেপি নেতাকে পার্টি অফিসে তুলে নিয়ে পেটাল তৃণমূল নেতাকর্মীরা। আর বিজেপির এই অভিযোগ কে ঘিরে তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি।
এক বিজেপি নেতাকে নিজেদের পার্টি অফিসে তুলে নিয়ে গিয়ে পেটানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। ঘটনা কোচবিহার জেলার শীতলকুচি ব্লকের ঠগেরডাঙা এলাকায়। বিজেপির তরফ থেকে থানায় ও নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে বলেই জানিয়েছে স্থানিয় বিজেপি। যদিও বিজেপির সব অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে তৃণমূল।
আরও পড়ুনঃ মমতা কি পাকিস্তানের কণ্ঠ, বিতর্কিত প্রশ্ন নিৰ্মলার
বিজেপির অভিযোগ, রবিবার সন্ধ্যায় ব্লক সভাপতিদের সাথে বৈঠক সেরে ফিরছিলেন স্থানিয় বিজেপি নেতা বরেনচন্দ্র বর্মণ। এইসময় তাঁকে তৃণমূল নেতা কর্মীরা স্থানিয় তৃণমূল পার্টি অফিসে ঢুকিয়ে বেধড়ক মারধর করে বলেই অভিযোগ। ঘটনাটি ঘটে কোচবিহার জেলার শীতলকুচি ব্লকের ঠগেরডাঙা এলাকার।
আরও পড়ুনঃ ম্যায় ভি চৌকিদার হু, আমজনতাকে ভোটের স্লোগান জানিয়ে দিলেন মোদী
গুরুতর আহত বরেনচন্দ্র বর্মণকে কোচবিহার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁর অবস্থা গুরুতর বলেই জানা গেছে। এই ঘটনায় আহত হন আরও একজন বিজেপি নেতা। তাকেও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
আরও পড়ুনঃমসজিদে ঢুকে মুসলিমদের গুলি করে হত্যা করা নিয়ে বিস্ফোরক তসলিমা
বরেনচন্দ্র বর্মণ গত বিধানসভায় বিজেপির প্রার্থী ছিলেন।এবারেও তিনি ভোটের প্রচার শুরু করেছিলেন। বিজেপির অভিযোগ স্থানিয় এক তৃণমূল পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য এর বিরুদ্ধে। তৃণমূল ভয় পেয়েই এই কান্ড ঘটাচ্ছে বলেই অভিযোগ বিজেপির।
আরও পড়ুনঃ ২০২৫ সালের পর ভারতের অংশ হবে পাকিস্তান, ঘোষণা আরএসএস নেতার
তবে সব অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূলের দাবি, মিটিং থেকে ফেরার পথে ওই নেতার বাইকে ধাক্কা লাগে এক ব্যক্তির। সেই কারনে, গন্ডোগল শুরু হয়। এর সঙ্গে রাজনীতি বা তৃণমূলের কোন সম্পর্ক নেই। বিনাকারণে তৃণমূল কংগ্রেসের নাম জড়ান হচ্ছে বলেই জানিয়ে দিয়েছে স্থানিয় তৃণমূল নেতারা।
আরও পড়ুনঃ মোদীর সঙ্গে সবাই চৌকিদার, অদ্ভুত প্রচার বিজেপির
তবে এই ঘটনায় নির্বাচন কমিশনের দারস্থ হচ্ছে বিজেপি। ভোটের মুখে বিজেপি নেতা কর্মীদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করতেই তৃণমূলের এই পরিকল্পিত হামলা বলে অভিযোগ দায়ের হচ্ছে নির্বাচন কমিশনে।
আপনার মোবাইলে বা কম্পিউটারে The News বাংলা পড়তে লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ।