বিজেপিকে হারাতে সিপিএম ও কংগ্রেসের প্রতি ভোট ভাগ না করার অনুরোধ মমতার

386
বিজেপিকে হারাতে সিপিএম ও কংগ্রেসের প্রতি ভোট ভাগ না করার অনুরোধ মমতার/The News বাংলা
বিজেপিকে হারাতে সিপিএম ও কংগ্রেসের প্রতি ভোট ভাগ না করার অনুরোধ মমতার/The News বাংলা

লোকসভা ভোটের মৌসুম চলছে সারা দেশে। ইতিমধ্যেই প্রথম দফার ভোট সম্পন্ন হয়েছে, যার মধ্যে রাজ্যের মাত্র ২টি লোকসভা কেন্দ্রে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রথম দফার নির্বাচন শুরুর প্রাথমিক লগ্ন থেকেই যেভাবে শাসক দল রিগিংয়ের অভিযোগ তুলেছিল বিজেপির বিরুদ্ধে এবং বিজেপিও নাছোড়বান্দা হয়ে যেভাবে নির্বাচন কমিশনের কাছে পাল্টা শাদকদলের বিরুদ্ধে ভোট কারচুপির অভিযোগ তুলে রাজ্যে আরও কেন্দ্রীয় বাহিনী আনতে সক্ষম হয়েছে, তাতে সামগ্রিকভাবে রক্তচাপ বাড়ছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের ওপর।

শনিবার শিলিগুড়িতে এক নির্বাচনী জনসভায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সিপিএম ও কংগ্রেস সমর্থকদের অনুরোধ করেন, বিজেপিকে হারাতে তৃণমূল কংগ্রেসকে ভোট দেবার জন্য। সিপিএম ও কংগ্রেসের আসন জেতার কোনও সম্ভাবনা নেই বলেও তিনি মন্তব্য করেন, সেক্ষেত্রে তৃণমূল কংগ্রেসকে ভোট দিলে বিজেপিকে হারানো সহজ হবে বলে মুখ্যমন্ত্রীর ধারণা।

এই প্রথম রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচনী প্রচারে উত্তরবঙ্গে এক সপ্তাহের অধিক সময় নিয়ে অবস্থান করছেন। উত্তরবঙ্গের বাসিন্দাদের বহুদিনের বিভিন্ন দাবিদাওয়াকে হাতিয়ার করে বিগত কয়েক বছরে যথেষ্ট প্রভাব বাড়িয়েছে বিজেপি। বিভিন্ন প্রাক নির্বাচনী সমীক্ষায় উত্তরবঙ্গ থেকে বেশ কিছু আসন বিজেপির ঝুলিতে যেতে পারে বলেও আভাস মিলেছে। স্বাভাবিকভাবেই উত্তরবঙ্গের ভোট যথেষ্ট ভাবাচ্ছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে।

বিভিন্ন সময়েই দেখা গিয়েছে শাসক দলের বিরোধী দল গুলোর ভোট ভাগ হলেই শাসক দলের ভোট বৈতরণী পার করতে সুবিধা হয়। কিন্তু এই মুহূর্তে পরিস্থিতি অনেকটাই আলাদা। শাসক দলের শক্তিশালী হবার পরিবর্তে বিজেপির কাছে খোয়াতে হয়েছে বেশ কিছু প্রভাবশালী নেতা সহ সাংসদ বিধায়ককে। এদিকে বিগত উপ নির্বাচন গুলোতে দেখা গেছে, বিশেষ করে সিপিএমের ভোটাররা দলীর আদর্শের তোয়াক্কা না করেই বিজেপিতে স্রোতের মতো সামিল হচ্ছেন।

শাসক দলের আশঙ্কা, তৃণমূল বিরোধী ভোট বিজেপিতে যুক্ত হলে তা প্রায় শাসক দলের সাথে বিজেপির ভোট শতাংশের ফারাক অনেকটাই কমিয়ে আনতে পারে। আর সেই সম্ভাবনা থেকেই কপালে চিন্তা বেড়েছে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।

এতদিন নির্বাচনী জনসভা গুলোতে মুখ্যমন্ত্রী মূলত বিজেপির প্রতি আক্রমনাত্মক ছিলেন। রাজ্যে প্রায় অপ্রাসঙ্গিক হয়ে যাওয়া সিপিএম এবং কংগ্রেসের পুনরায় প্রান সঞ্চার না ঘটুক, সেই সাবধানতাবশতই তাদের নিয়ে খুব একটা উচ্চবাচ্য করেননি মুখ্যমন্ত্রী। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের ধারণা, রাজ্যে সিপিএমের আসন জেতার সম্ভাবনা নেই এবং কংগ্রেসের উল্লেখযোগ্য হারে আসন বাড়ানোর সম্ভাবনা নেই, তাই বিজেপিকে ঠেকাতে এবার এই দুই দলের সমর্থকদের শরণাপন্ন হলেন মুখ্যমন্ত্রী।

Comments

comments

আপনাদের মতামত জানাতে কমেন্ট করুন