ভারতী ঘোষকে ঘিরে আবারও বিতর্ক; আবার উত্তপ্ত হল ঘাটাল। বুধবার কন্ঠিবাড়িতে সভা করার কথা ছিল; বিজেপি নেত্রী ভারতী ঘোষের। এই সভায় যাওয়াকে ঘিরেই উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়।
আশঙ্কা ছিল অশান্তির। সভায় যাবার সময় খেজুরিতে; ভারতী ঘোষের গাড়ি আটকে দেয় পুলিস। কন্ঠিবাড়িতে বিজেপির ডাকা সভাতে যোগ দিতে যাচ্ছিলেন তিনি। তাঁর সঙ্গে ছিলেন বিজেপি কর্মী সমর্থকরাও।
আরও পড়ুনঃ জাতীয় গোঁফের দাবী উঠল সংসদে, অভিনন্দনকে নতুন স্বীকৃতি বিরোধীদের
পুলিসের সঙ্গে বিজেপি কর্মী সমর্থক; ও ভারতী ঘোষের উত্তপ্ত কথা কাটাকাটি শুরু হয়। পুলিস কেন তাঁর গাড়ি আটকাল; তা নিয়ে প্রশ্ন করেন ভারতী ঘোষ। এরপর বোগা রোড অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন বিজেপি কর্মী সমর্থকরা।
ঘটনাস্থলে; পুলিসের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয় বিজেপি কর্মী সমর্থকদের। একজন বিজেপি কর্মী আহত হয়েছেন। ভারতী ঘোষ ও জেলা সভাপতির তপন মাইতির নেতৃত্বে শুরু হয়েছে বিক্ষোভ অবস্থান;পথ অবরোধ করা হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ কাটমানি কেলেঙ্কারি, মমতাও সৎ নন ইঙ্গিত কাটমানি নিয়ে ফ্যাসাদে তৃণমূল নেত্রীর
খেজুরিতে বিজেপি কর্মী সুমন দাসকে পুলিশ বিনা অপরাধে ফাঁসিয়েছে; এমন দাবি নিয়েই বুধবার খেজুরি যাচ্ছিলেন ভারতী ঘোষ। কাঁথির মহকুমা শাসকের নেতৃতে বিশাল পুলিশবাহিনী তাঁর গাড়ি আটকে দেয় বলে অভিযোগ করেন বিজেপি নেত্রী।
এর জেরে রীতিমত ঝামেলা শুরু হয় হেরিয়া বাজারে। পুলিশ ও বিজেপি কর্মীদের মধ্যে ধ্বস্তাধস্তি শুরু হয়। ভারতী ঘোষের গায়েও পুলিশ হাত তুলেছে বলে অভিযোগ নেত্রীর। এরপর ভারতী ঘোষ সহ বিজেপি কর্মীরা রাস্তায় বসে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করলে; এলাকায় বিপুল যানজট সৃষ্টি হয়। পরিস্থিতি সামাল দিতে বিশাল পুলিশবাহিনী পাঠানো হয়।
আরও পড়ুনঃ কাটমানি ফেরত দিয়ে, দুর্নীতি স্বীকার তৃণমূল নেতার
পুলিশের অভিযোগ; খেজুরিতে অশান্তি তৈরি করার জন্যই সেখানে যাচ্ছিলেন ভারতী ঘোষ; তাই পুলিশ তাঁকে রাস্তাতেই আটকে দিয়েছে। ভারতী ঘোষের বলেন; পরিস্থিতি খারাপ হলে সেখানে ১৪৪ ধারা থাকত। স্বাধীন দেশে সাধারন মানুষের গণতন্ত্র কাড়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন ভারতী ঘোষ।
অভিযোগ, রাজ্য সরকারের নির্দেশেই তাঁর উপরে এই আচরণ করছে পুলিশ। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে; বিজেপি কর্মীরা মহিলা পুলিশদের শ্লীলতাহানি করে; তাদের উপরে বিজেপি কর্মীরা হামলা চালায় বলেও জানানো হয়েছে পুলিশের তরফে।