লজ্জার অন্ধকারে ডুবল বাংলা; দেশকে চমকে দিয়ে রাজ্যের বিধানসভায় প্রতিদিন ‘ছাপ্পা ভোট’। এও সম্ভব? হ্যাঁ, আমাদের বাংলায় সব সম্ভব; অসম্ভব বলে কিছুই নেই। রাজ্যের আইনসভাতেও, আইনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে; চলে ‘ছাপ্পা ভোট’। তাও আবার একদিন নয়; পরপর দুদিন। একদিন বিজেপি ছাপ্পা ভোটের অভিযোগ করে; তো পরের দিন তৃণমূল ‘ছাপ্পা ভোটের’ অভিযোগ করে। তৃণমূল বিধায়ক ও স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় প্রতিদিন বলছেন; “ক্লারিক্যাল মিস্টেক”। গোটা দেশ হাসছে; বাংলার অবস্থা দেখে।
রাজ্য বিধানসভায় বিল নিয়ে ভোটাভুটিতে ফের বিভ্রাট। বিধানসভা অধিবেশনে না থাকা দুই বিজেপি বিধায়ক; শুভেন্দু অধিকারী ও মিহির গোস্বামীর নামেও পড়ল ভোট! রিগিং কারচুপির অভিযোগ তুলে; তদন্তের দাবি তুলেছে তৃণমূল। পাল্টা ছাপ্পা ভোটের অভিযোগে সরব; বিজেপি বিধায়করাও। “হয়ত টেকনিক্যাল ভুল”; বললেন বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়।
আরও পড়ুনঃ “আমি নমাজ পড়ি না, ইফতারে গেলেও আপত্তি”, দক্ষিণেশ্বর মন্দিরে বিজেপিকে ঠুকলেন মমতা
বৃহস্পতিবার বিধানসভায়, পশ্চিমবঙ্গ কৃষি সংশোধনী বিল পাসের জন্য ভোটাভুটি হয়য়। ভোটের পর দেখা যায়, বৈদ্যুতিন মেশিনে ভোট পড়েছে; মোট ১৭৫ টি। তার মধ্যে সরকারের পক্ষে পরেছে ১২০টি এবং বিজেপির পক্ষে ৫২টি। কিন্তু দুই বিধায়ক অনুপস্থিত ছিলেন; ভোট দেননি এক জন। ভোটের ফলাফল দেখে বিজেপি দাবি করে; বিধানসভায় তাদের ৫৩ জন বিধায়ক উপস্থিত রয়েছেন। সেক্ষেত্রে বিজেপির পক্ষে ৫২টি ভোট হয় কী করে?
আরও পড়ুনঃ পরেশ, গুণধর, বীরেন্দ্র, দুর্নীতি করে নেতার মেয়েদের চাকরি হয়েছে, কাঁদছে ‘বাংলার মেয়েরা’
এরপরই স্পিকার পুরো ফলাফল চেয়ে পাঠান; বিধানসভার সচিবালয়ের কাছ থেকে। এরপর স্পিকার বিজেপি সদস্যদের নাম ধরে ডাকতে থাকেন, তখনই দেখা যায়; শুভেন্দু অধিকারী এবং মিহির গোস্বামীর নামেও ভোট পড়েছে। অথচ দুই বিজেপি বিধায়কই; হাজির ছিলেন না বিধানসভা অধিবেশনে। এরপরেই তৃণমূল ও বিজেপি একে অপরের বিরুদ্ধে; ছাপ্পা ভোটের অভিযোগ তোলে। উত্তপ্ত হয় রাজ্য বিধানসভা।
গত সোমবার, আচার্য বিলের ভোট গণনার দিনও; বিধানসভায় ভোটের ফল দেখে বিতর্ক ওঠে। বিজেপির ১৭টা ভোট চলে যায় তৃণমূলের ঘরে; তাই নিয়ে ছাপ্পা ভোটের অভিযোগ তুলেছিল বিজেপি। যদিও অধ্যক্ষ জানিয়েছিলেন; বিধানসভার এক আধিকারিকের ভুলে এটা হয়েছে। বিজেপি বিধায়কদের প্রতিবাদের পরে; সেই ভুল সংশোধন করা হয়।