রাজ্যে সক্রিয় আইসিস জঙ্গি সংগঠন। জামাত-উল-মুজাহিদিনের পর; এবার আইসিস জঙ্গি সংগঠনের টার্গেট বাংলা। আইসিসের মদতপুষ্ট নব্য জামাত জঙ্গি সংগঠনের; এরাজ্যে তাদের জাল বিছিয়ে ফেলার প্রমান পেল; কলকাতা পুলিশের এসটিএফ। সোমবার ও মঙ্গলবার মিলিয়ে নব্য জামাত সংগঠনের; চার জঙ্গিকে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স বা এসটিএফ। এই গ্রেফতার গোয়েন্দাদের উদ্বেগ কয়েকগুন বাড়িয়েছে।
গোপন সূত্রে খবর পেয়ে; কলকাতা স্পেশাল টাস্ক ফোর্স শিয়ালদা স্টেশন থেকে; বাংলাদেশের চাপাই নবাবগঞ্জের বাসিন্দা মহম্মদ জিয়াউর রহমান ও রংপুরের বাসিন্দা মামোনুর রশিদকে গ্রেফতার করে। হাওড়া স্টেশন থেকে বাংলাদেশের রাজশাহীর বাসিন্দা; মহম্মদ শাহিন আলাম ও বীরভূমের নয়াগ্রাম বাসিন্দা রবিউল ইসলামকে গ্রেফতার করা হয়। মঙ্গলবার তাঁদের ব্যাংকশাল কোর্টে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ ব্যাঙ্ক জালিয়াত মেহুল চোকসিকে অ্যান্টিগা থেকে দেশে ফিরিয়ে আনছে মোদী সরকার
বাংলাদেশ পুলিশের ধাওয়া খেয়ে এসে; রাজ্যেই সংগঠন গড়ার লক্ষ্য নিয়েছিল নব্য জামাত জঙ্গি সংগঠন; তেমনটাই জানতে পেরেছে এসটিএফ। ভয়ঙ্কর বিষয় হল; আইসিসের মত জঙ্গি সংগঠনের এই রাজ্যে জাল বিস্তার করা। বাংলাদেশে একাধিক বিস্ফোরণে জড়িত এই সংগঠন। যাতে অসংখ্য মানুষের প্রাণ গিয়েছে।
ধৃতদের মধ্যে ৩জন বাংলাদেশি ও একজন বীরভূমের বাসিন্দা। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ধৃতদের; পুলিশি হেফাজতে রাখা হয়েছে। ইসলামিক স্টেটের সাথে যোগসূত্র থাকার সম্ভাবনা; স্পষ্ট বলে জানিয়েছে পুলিশ। আর কি কি ভাবে তারা সাহায্য পেত; খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
স্পেশাল টাস্ক ফোর্স সূত্রে খবর; মূলত বাংলাদেশ জঙ্গি সংগঠন জামাত-উল-মুজাহিদিনের হয়ে কাজ করত ধৃতরা। অর্থ সংগ্রহ ও নতুন জঙ্গি নিয়োগের কাজ করত এরা। দীর্ঘদিন কলকাতা শহরে আত্মগোপন করে ছিল এই দলটি।
ধৃতদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে বিভিন্ন সন্ত্রাসবাদী নথি। এছাড়াও একটি মোবাইল ফোন; বিভিন্ন জেহাদি ছবি ও বই বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়াতেও তারা যথেষ্ট সক্রিয় ছিল। তারা তাদের ‘আদর্শ’ প্রচার করত এইভাবেই। তাদের বিভিন্ন এজেন্ডা; ডিজিটাল নথি সহ জেহাদী ফাইলগুলো পুলিশ নিজের দখলে রেখেছে।
সুত্রের খবর; এই সংগঠনের প্রধান লক্ষ্য ছিল; ভারত ও বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক সরকারকে সরিয়ে; খিলাফতের অধিনে শরিয়া আইন চালু করা। খবর অনুযায়ী; একেবারেই নতুন এই জঙ্গি সংগঠনটি; সম্প্রতি বাংলাদেশে হওয়া জঙ্গি হানায় জড়িত ছিল।