ভারতের বিএসএফের উদ্যোগে; মাকে শেষ দেখা দেখতে পেল বাংলাদেশি কন্যারা। বিএসএফের সৌজন্যেই, মৃত মাকে শেষ দেখা দেখতে পেল; বাংলাদেশে অবস্থানরত কন্যারা। ঘটনাটি ঘটেছে নদীয়া জেলার সীমান্ত গ্রাম হাটখোলায়। গ্রামের বাসিন্দা নিওথালি হালসানা, বিএসএফের ৮২ ব্যাটালিয়নের সীমান্ত চৌকি হাটখোলার কোম্পানি কমান্ডারকে বলেন যে; তার মা আনোরা হালসানা ০৭ মে, ২০২২ তারিখে রাত ৯ টায় মারা গেছেন। তার বোনেরা সীমান্তের ওপারে বাংলাদেশে থাকে। বিএসএফ সাহায্য করলে; বোনেরা মায়ের শেষ দেখা দেখতে পাবে। মাকে শেষবারের মত দেখতে; বোনেদের জন্য এক ভাই অনুরোধ করেছিল বিএসএফ-কে।
নদীয়া জেলার সীমান্ত এলাকার, মাটিয়ারী গ্রামের বাসিন্দা নিওথালি হালসানা; হাটখোলার কোম্পানি কমান্ডারকে জানায় যে, তার মা আনোরা হালসানার মৃত্যু হয়েছে। তার দুই বোন ডলিয়া বিবি ও ওমেহার বিবি; বাংলাদেশের চুয়াডাঙ্গা জেলার, সীমান্ত গ্রাম কুতুবপুরে বাস করে। যা ভারত বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সীমান্ত থেকে; প্রায় এক কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। তিনি বিএসএফকে অনুরোধ করেন যে, তার বোনেরা যদি তার মায়ের শেষ দেখা দেখতে পায় তবে তারা খুব খুশি হবে।
এরপর কোম্পানি কমান্ডার অবিলম্বে মানবিক ও আবেগগত দিকটি মাথায় রেখে; কোন বিলম্ব না করে এ বিষয়ে তার সমকক্ষ বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সঙ্গে যোগাযোগ করেন। বিএসএফের অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে; বিজিবি-ও মানবিক দৃষ্টিভঙ্গির কথা বিবেচনা করে এগিয়ে আসে। উভয় দেশের সীমান্ত নিরাপত্তা বাহিনী, পারস্পরিক সহযোগিতার কথা মাথায় রেখে; মানবতাকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেয়। বাংলাদেশে বসবাসকারী বোনদের, ০৮ মে ২০২২ তারিখে; সকাল সাড়ে ১০ টা থেকে এগারোটা পর্যন্ত; আন্তর্জাতিক সীমান্তের কাছে জিরো লাইনে তাদের মায়ের শেষ দর্শনের ব্যবস্থা করে। এভাবেই মায়ের শেষ দেখা কন্যাদের পক্ষে সম্ভব হয়।
কন্যারা যখন মায়ের শেষ দেখা দেখতে পান; তখন সেখানকার পরিবেশ হয়ে উঠেছিল খুবই শোকাকুল। মাকে শেষবার দেখে, মৃতের কন্যারা সীমান্তরক্ষী বাহিনীর এই উদ্যোগের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন; “আপনাদের মানবিকতার কারণে; আমরা মায়ের শেষ দর্শন পেয়েছি”।
“বিএসএফ সর্বদা সামাজিক ও মানবিক মূল্যবোধের যত্ন নেয়”; ঘটনার পর জানিয়েছেন কমান্ডিং অফিসার এসপিসিং। তিনি আরও বলেন, “সীমান্ত নিরাপত্তা বাহিনী অসৎ উদ্দেশ্য যুক্তদের বিরুদ্ধে থাকলেও; মানবতা এবং মানবিক মূল্যবোধের ক্ষেত্রে সর্বদাই প্রস্তুত থাকে”।