ফিরদৌস ও গনীর মত অক্ষয়কুমার-কেও কি তাড়ান হবে ভারত থেকে? উঠছে প্রশ্ন। তৃণমূলের প্রচারে বাংলাদেশী বিতর্কে উসকে দিয়ে এবার প্রধানমন্ত্রীর প্রচারে কানাডিয়ান। আর সেই নিয়েই উঠছে প্রশ্ন। ভারতের ভোটে ও রাজনীতিতে যোগ দিয়ে বাংলাদেশীদের দেশে ফিরতে হলে ফিরদৌস ও গনীর মত অক্ষয়কুমার-কেও কেন দেশে ফিরতে হবে না? উঠছে প্রশ্ন।
রাজধানী দিল্লির ৭ লোক কল্যাণ মার্গ। সেখানের বাগানে ঘুরে ফিরে নিখাদ আড্ডায় দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও বলিউডের অভিনেতা অক্ষয়কুমার। প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনের বারান্দা থেকে বাগান, দুই তারকা নেতা ও অভিনেতার এই খোলামেলা আলোচনায় উঠে এসেছে প্রধানমন্ত্রীয় জীবনের একাধিক অজানা দিক। লোকসভা ভোটের মধ্যেই সেই কথপোকথোনের ভিডিও প্রচার হল সব সংবাদসংস্থায়। কিন্তু অভিনেতা অক্ষয়কুমার তো ভারতের নাগরিকই নন! তিনি তো কানাডিয়ান নাগরিক। তাহলে?
এই ইস্যুতে আরও পড়ুনঃ তৃণমূলের হয়ে প্রচার করে ভারতের কালো তালিকায় বাংলাদেশী অভিনেতা ফিরদৌস
অভিনেতা অক্ষয়কুমার ও প্রধানমন্ত্রী মোদীর সাক্ষাতকারে উঠে এসেছে আমেরিকান প্রেসিডেন্ট এর কথা, বাংলাদেশী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কথা। উঠে এসেছে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এর কথা। মোদী জানান, শেখ হাসিনা ও পশ্চিমবাংলার মুখ্যমন্ত্রী তাকে প্রতিবছর বিশেষ উপহার পাঠান।
বিরোধী রাজনীতিকদের সঙ্গে তার সুসম্পর্কের কথা জানিয়ে তিনি বলেন, বিরোধীরা আমার খুব ভালো বন্ধু। অনেক সময় একসঙ্গে খেয়েছি। ব্যক্তিগত জীবনের অনেক জানা অজানা কথা মোদী অকপটে অক্ষয়ের সঙ্গে সাক্ষাতকারে বলেছেন। আর এখানেই উঠে এসেছে প্রশ্ন। অক্ষয়কুমার কানাডিয়ান নাগরিক। তিনি কি করে প্রধানমন্ত্রীর প্রচারে থাকেন?
এই ইস্যুতে আরও পড়ুনঃ ফিরদৌসের পর গাজী নূরকে বাংলাদেশ ফেরত পাঠাল ভারত সরকার
এর আগেই তৃণমূলের প্রচারে দুই বাংলাদেশী, অভিনেতা ফিরদৌস ও গাজী নূর অংশগ্রহণ করায় তাঁদের দেশে ফেরত পাঠিয়েছে ভারত সরকার। তাহলে কানাডিয়ান অক্ষয়কুমারকে ছাড় কেন?
তৃণমূলের হয়ে ভোট প্রচারে অংশ নিয়ে বিতর্ক তৈরি করেছিলেন বাংলাদেশী অভিনেতা ফিরদৌস। বিজেপির তরফে অভিযোগ পেয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক তার ভিসা বাতিল করে। তাঁকে কালো তালিকাভুক্ত করা হয়। কলকাতার বাংলাদেশ হাইকমিশনও ফিরদৌসকে দেশে ফেরার পরামর্শ দেয়। বিপদ বুঝে বাংলাদেশে ফেরেন তিনি।
এই ইস্যুতে আরও পড়ুনঃ পয়সা দিয়ে আনা হয় সেলিব্রিটিদের, বিদেশি অভিনেতা প্রসঙ্গে বেফাঁস কল্যাণ
এরপর গাজী নূরকেও ভারত ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। গাজী নূরের বিরুদ্ধে অভিযোগ, গত ১২ই এপ্রিল কামারহাটিতে তৃণমূল নেতা মদন মিত্রের আমন্ত্রনে দমদম লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী সৌগত রায়ের হয়ে প্রচারে অংশ নিয়েছিলেন। নির্বাচনী প্রচারের ভিডিওটি মদন মিত্র সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করেছিলেন। দু ঘন্টার সেই ভিডিওই গাজীর বিরুদ্ধে বিজেপির হাতিয়ার ছিল।
প্রশ্ন এখানেই। দুই বাংলাদেশীকে দেশে ফেরত পাঠান হলে, এক কানাডিয়ানকে কেন প্রায় একই অপরাধে দেশে ফেরত পাঠান হবে না কেন? ইস্যু তো একই। ভোটের প্রচার। যদিও এটাকে সরাসরি ভোট প্রচার মানতে রাজি নয় বিজেপি। এটাকে সাক্ষাৎকার হিসাবেই দেখছেন তারা। কিন্তু রাজনৈতিক মহল এটাকে ভোটের অন্যরকম প্রচার ছাড়া কিছুই বলতে রাজি নন। বাংলাদেশীদের জন্য নিষেধ, আর কানাডিয়ানের জন্য বিশেষ ছাড়? প্রশ্ন কিন্তু উঠছে।
আরও পড়ুনঃ ভোটের ৫ দিন আগে প্রকাশ্যে দিনের আলোয় তৃনমুলের অস্ত্র ও বাইক মিছিল বীরভূমে
আপনার মোবাইলে বা কম্পিউটারে The News বাংলা পড়তে লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ।