শেষ হয়েছে ষষ্ঠ দফার লোকসভা নির্বাচন; প্রথম দফা থেকেই রাজ্যে হিংসার বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে প্রতিটি নির্বাচনে; রাজ্যের বেশ কিছু লোকের মৃত্যুও হয়েছে ভোটের অশান্তিতে; গতকাল রবিবারে ষষ্ঠ দফা নির্বাচনেও তার ব্যতিক্রম হয়নি; তার পরিপ্রেক্ষিতেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে তীব্র কটাক্ষ করেন অরুন জেটলি।
সোমবার এক ট্যুইটে অরুন জেটলি জানান; বাংলায় প্রতিনিয়ত গনতন্ত্রের হত্যা করছে মমতা; বিরোধী দলের সমর্থকদের আক্রমন ও হত্যা করা হচ্ছে; বুথে বিরোধী দলের এজেন্টদের বসতে দেওয়া হচ্ছে না; বিরোধী দলের মিছিল মিটিং করার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না; এমনই সব অভিযোগে ট্যুইটারে সরব হয়েছেন জেটলি।
হিন্দু সন্ত্রাসবাদী ইস্যুতে কমল হাসানক একহাত নিলেন বিবেক ওবেরয়
গতকাল সকালেই ঝাড়্গ্রামে এক বিজেপি সমর্থকের মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়; এদিকে কেশপুরে তৃণমূল কর্মীদের হাতে রক্তাক্ত হয় কেন্দ্রীয় বাহিনী; কেশপুরের একটি বুথে ছাপ্পা ভোট হচ্ছে; এমনই খবর পেয়ে সেই বুথে ছুটে যান ঘাটালের বিজেপি প্রার্থী ভারতী ঘোষ; ভারতীর সাথে ছিলেন নিরাপত্তারক্ষীরা।
বুথে পৌঁছানো মাত্রই কেন্দ্রীয় বাহিনীর গাড়ি ঘিরে তৃণমূল কর্মীরা তুমুল ইটবৃষ্টি শুরু করে; ইটের ঘায়ে রক্তাক্ত হন ভারতীকে ঘিরে থাকা কেন্দ্রীয় বাহিনীর কয়েকজন জওয়ান; সম্পূর্ণ ভাংচুর করা হয় ভারতীর গাড়ি।
আরও পড়ুন গডসে স্বাধীন ভারতের প্রথম হিন্দু সন্ত্রাসবাদী, বললেন কমল হাসান
ভোটের দিন ঘাটালের বিজেপি প্রার্থী ভারতী ঘোষ সকাল থেকেই অভিযোগ করেন; তার এজেন্টকে কোন বুথে বসতে দেওয়া হচ্ছে না; ভোট শেষ হবার পরেও বিভিন্ন জায়গা থেকে হামলা পাল্টা হামলার খবর এসেছে।
অরুন জেটলির এই অভিযোগকে উড়িয়ে দিয়েছে রাজ্য প্রশাসন; জেটলির টুইটার প্রসঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে হারের ভয়ে বিরোধীরা ভুল বকছে; সোশ্যাল মিডিয়াকে ব্যাবহার করে তৃণমূলের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে বিজেপি।