দাদা গরু চুরি কেসে সিবাআই হেফাজতে গেলেও, হু’মকি দেওয়া কমছে না তৃণমূল নেতাদের। রামপুরহাট, ইলামবাজারের পর এবার পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রাম। অনুব্রত মণ্ডলের গ্রেফতারির প্রতিবাদে রাস্তায় নেমে, ফের হু’মকি ও শা’সানি তৃণমূল নেতাদের। শুধু বর্ধমানই নয়, বীরভূমেও একইরকম শা’সানি-হু’মকি, অনুব্রত অনুগামীদের মুখে। এক হেভিওয়েট তৃণমূল নেতার হু’মকি, “বিরোধীরা গুড়-বাতাসা বিলি করলে, পিঠে চড়াম-চড়াম ঢাক বাজবে”। একজন বলেছেন, “মাজা ভেঙে দেব বিরোধীদের”। কেউ বলছেন, “দেখে নেব”।
বীরভূম তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক ত্রিদিব ভট্টাচার্যর মুখে হু’ঙ্কার, “বিরোধীরা অনুব্রতকে নিয়ে অশা’লীন কথা বললে, পি’টিয়ে মাজা ভেঙে দেবে তৃণমূল”। ইলামবাজারে তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক দুলাল রায়ের হু’মকি, “জেলায়-জেলায় অনুব্রতর ‘উত্তরসূরী’ আছে, তারা সব কড়ায়’গণ্ডায় বুঝিয়ে দেবে”। নেতা অনুব্রত গ্রেফতার হলেও, বীরভূমের নেতারা দমেননি, বরং সুর চড়িয়ে তাঁদের অনুব্রত স্টাইলেই হু’ঙ্কার, “বিরোধীরা গুড়-বাতাসা বিলি করলে, পিঠে চড়াম-চড়াম ঢাক বাজবে”।
আরও পড়ুনঃ ডিএ ‘ডেডলাইনের’ ৮ দিন আগে মা-মাটি-মানুষের ‘কারসাজি’, ক্ষুব্ধ সরকারি কর্মীরা
বর্ধমানের আউশগ্রাম ২ নম্বর ব্লকের তৃণমূল কার্যকরী সভাপতি অরূপ মিদ্যা, বিজেপি কর্মীদের হু’মকি দিয়ে বলেছেন, “যারা বিজয় উল্লাস করছে, আমাদের ছেলেদের বলে দিলে তাদের খুঁজে পাওয়া যাবে না। পুলিশকে বলে দিয়েছি, সরকারটা এখনও তৃণমূলের। উনি যে বীজ বপন করেছেন, তাতে আমাদের নেতারাই এক-একজন অনুব্রত মণ্ডল”। এক নেতা চাকরি চুরি কাণ্ডে আর এক নেতা গরু চুরি কাণ্ডে ফেঁসে। তাতেও বিরোধীদের ভ’য় দেখানো কমছে না তৃণমূল নেতাদের।