মদ খেলে বাড়ে স্মৃতিশক্তি কমে স্নায়ুরোগ। হাঁ শুনতে অবাক লাগলেও এমনটাই বলছে গবেষক ও ডাক্তাররা। তবে সেটা খেতে হবে পরিমাণে।
মদ্যপান এখন একটা ফ্যাশন। আজকাল সমাজের সব স্তরেই মদ্যপান এর প্রবণতা। গত কয়েক বছরে যুব সমাজের মধ্যে মদ্যপানের আগ্রহ অনেক বেড়ে গেছে। তবে অনেকে আবার ফ্যাশনের বদলে নেশা হিসেবেও নিয়ে নেন। মদ্যপান না করলে আভিজাত্য বজায় থাকেনা বলেও মনে করেন অনেকে।
আরও পড়ুনঃ শরীরের ভারসাম্য বাড়াতে ব্যায়াম
নতুন জেনারেশন এর মধ্যে দ্রুত বাড়ছে মদ্যপানের প্রবণতা। এখন স্কুল লাইফ থেকেই মদ্যপানের অভ্যাস করে ফেলছে অনেক ছেলেমেয়েই। মদ্যপান শরীরের জন্য ক্ষতিকারক জেনেও মদ্যপানের মধ্য দিয়ে অনাবিল আনন্দে ভেসে যেতে চায় ছেলেমেয়েরা।
এছাড়া আজকাল বিভিন্ন অফিসের কাজে বাইরে গেলে বিশেষ করে রাতের বেলায় মদ্যপানের যেন প্রতিযোগিতা চলে। যদিও টিভিতে সিরিয়াল দেখার মাঝে বিজ্ঞাপন কিংবা সিনেমার শুরুতেই ‘মদ্যপান স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকারক’ লেখাটি দেখা যায়।
আরও পড়ুনঃ একটু সতর্ক হন দূরে থাকুন ক্যানসারের হাত থেকে
ভবিষ্যত প্রজন্মকে মদ্যপানের হাত থেকে দূরে রাখতে এবং সমাজ সচেতনতার পদক্ষেপ হিসেবে ‘মদ্যপান স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকারক’ এই লেখাটি বিশেষ ভাবে গুরুত্ব বহন করে।
যদিও এই সচেতনতা সমাজের নিম্নস্তরের মানুষের কাছে কোনো গ্রহনযোগ্যতাই নেই। এখন অনেক রোগ সারাতে গেলে চিকিৎসকরাও মদ্যপানের ওপর ভরসা করে থাকেন। তবে মদ্যপান যতটাই ক্ষতিকারক বলে ধরা হোক না কেন।
আরও পড়ুনঃ চিকেন খেলেও বাড়ছে বিপদ বলছে রিপোর্ট
মদ্যপানের মধ্যেও নাকি এক অফুরন্ত উপকারিতা রয়েছে, এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে বিভিন্ন গবেষনাপত্রে। সেই সকল গবেষনাপত্রের দাবি মদ্যপানে নাকি বাড়ে স্মৃতিশক্তি ও কমে স্নায়ুরোগের ঝুঁকি।
শুধু স্নায়ুরোগ বা স্মৃতিশক্তিই নয় মানুষের হৃদযন্ত্রকে সচল রাখতে মদের গুণাগুণ জুড়ি মেলা ভার। পাশাপাশি ডায়াবেটিস রোগ যা কখনও নির্মূল হয় না অনেক সময় মদ্যপানের মাধ্যমে তা নিয়ন্ত্রণে চলে আসে।
আরও পড়ুনঃ আমলকির আছে বেশ কিছু অসাধারণ উপকারিতা
তবে সবটাই হতে হবে নিয়ন্ত্রিত মাত্রার মধ্যে। অতিরিক্ত মদ্যপান আবার শরীরের পক্ষে খারাপ। নিয়মিত নিয়ন্ত্রিত মদ খেলে বাড়ে স্মৃতিশক্তি। গবেষণা করে ও বিভিন্ন বয়সের মানুষের উপর পরীক্ষা চালিয়ে এমনটাই ফল পেয়েছেন গবেষকরা।
শুধু তাই নয়, নিয়মিত নিয়ন্ত্রিত মদ খেলে কমে স্নায়ুরোগ, উঠে এসেছে গবেষণায়। এই রিপোর্ট মদ্যপানকারী পুরুষ ও মহিলাদের কাছে খুশির খবর নিয়ে এসেছে। অনেকেই এই রিপোর্টে আশ্চর্য হয়েছেন। তবে আশ্চর্য মনে হলেও এটাই সত্যি, বলছে রিপোর্ট।