এবার দিল্লির এইমস ডাক্তারদের চাপ মমতাকে; অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘটের হুমকি। ক্রমশ চাপ বাড়ছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ওপরে। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে রাজ্যের চিকিত্সকদের দাবি মেনে না নিলে; অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘটের হুমকি দিলেন দিল্লি ও অন্যান্য জায়গার এইমস-এর চিকিত্সকরা।
এইমসের রেসিডেন্ট ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশনের(আরডিএ) পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে; পশ্চিমবঙ্গের চিকিত্সকদের দাবি ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে; মেনে নিতে হবে রাজ্য সরকারকে। না হলে অনির্দিষ্টকালের জন্য; ধর্মঘটে যাবেন চিকিত্সকরা।
আরও পড়ুনঃ অবশেষে সুর নরম, পরিবহকে দেখতে হাসপাতালে মমতা
এদিকে চাপে পরে বাধ্য হয়ে; অবশেষে সুর নরম মমতার। আহত জুনিয়ার ডাক্তার পরিবহ মুখোপাধ্যায়কে দেখতে; নিউরো সায়েন্সে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আইএনকে-তে গত পাঁচদিন ধরে ভর্তি পরিবহ; শুক্রবার রাজ্যপাল দেখতে যান পরিবহকে। বয়স্ক এক রুগীর মৃত্যু ঘিরে উত্তপ্ত হয় এনআরএস হাসপাতাল।
প্রায় দুশোজন লোক লরি করে এসে ইমারজেন্সিতে ঢুকে; ডাক্তারদের উপর আক্রমণ করে। এর ফলে পরিবহের মাথার ফ্রন্টাল বোনে ডিপ্রেসড ফ্র্যাকচার হয়। তারপর থেকে শুরু হয় রাজ্যে চিকিৎসা অচলাবস্থা। শুরু হয় ডাক্তারদের গণ ইস্তফার ঘটনা।
মমতা বারবার জুনিয়ার ডাক্তারদের নবান্নে ডেকে পাঠালেও; তা উড়িয়ে দিয়েছে ডাক্তাররা। জুনিয়র ডাক্তারদের মুখপাত্র ডা অরিন্দম দত্ত সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন; শুক্রবার মুখ্যমন্ত্রী যা বলেছেন তার জন্য তাঁকে শর্তহীনভাবে ক্ষমা চাইতে হবে। পাশাপাশি এনআরএস-এ এসে; আন্দোলনরত চিকিত্সকদের সঙ্গে কথা বলতে হবে তাঁকে।
আরও পড়ুনঃ হাসপাতাল কাণ্ডে মুখ্যমন্ত্রী মমতাকে তলব রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠীর
শনিবার এনআরএস হাসপাতালে আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে; বৈঠক করেছেন ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল এসোসিয়েশনের সদস্যরা। IMA এর তরফে ছিলেন তৃণমূল নেতা শান্তনু সেন। তিনি কি নবান্নে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে জুনিয়র ডাক্তারদের মিটিং সম্ভব করে; মমতার মান বাঁচাতে পারবেন? সেটাই ছিল প্রশ্ন। কিন্তু সেটাও হয়নি।
ডাক্তাররা এখনও মমতাকেই; এনআরএস হাসপাতালে আসতে হবে, এই দাবিতে অটল। ইগোর লড়াইয়ে কে জেতে তার উপরই নির্ভর করছে আন্দোলন ওঠার সিদ্ধান্ত। দুজনের ইগোই সামাল দিতে নিউট্রাল কোন জায়গায় এই বৈঠক হতে পারে। সেক্ষেত্রে বৈঠক হতে পারে কোন সরকারি হলে।
তবে এর মধ্যেই দিল্লির ডাক্তারদের অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘটে নামার হুমকি; শোরগোল ফেলে দিয়েছে গোটা দেশে। গোটা দেশের দৃষ্টি এখন বাংলার চিকিৎসা অচলাব্যবস্থার দিকেই।