The News বাংলা, এগরা: শেষ পর্যন্ত জানা গেল, নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসুর মৃত্যু তারিখ। ভারতবাসীকে নেতাজীর মৃত্যুর তারিখ জানাতে পারল এই বাংলারই একটি পুরসভা। পূর্ব মেদিনীপুরের এগরা পুরসভা জানিয়ে দিয়েছে, ঠিক কবে মারা যান নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসু। এতগুলো কেন্দ্রীয় সরকার এত তদন্তের পরও যেটা জানাতে পারে নি, সেটা জানাল মমতার বাংলার একটি পুরসভা।
১৮.০৮.১৯৪৫। গোটা বিশ্ব যে তারিখটা গত ৭৩ বছর ধরে খুঁজে আসছে, সেটাই এবার জানিয়ে দিল পূর্ব মেদিনীপুরের এগরা পুরসভা। এগরা পুরসভায় নেতাজীর যে ছবি
রাখা রয়েছে তাতে রয়েছে নেতাজীর মৃত্যুর এই তারিখ। বিভিন্ন বাসস্ট্যান্ডে নেতাজীর যে ছবি লাগিয়েছে পুরসভা, তাতেও নেতাজীর ছবির সঙ্গে মৃত্যু দিন লেখা হয়েছে ১৮.০৮.১৯৪৫।
আরও পড়ুনঃ ‘পুলিশ হত্যা মামলা’তেও বাংলার পুলিশের মুখে চুনকালি
কি ভাবে, কেন, নেতাজীর মৃত্যু দিন সাল তারিখ সহ মানুষের সামনে নিয়ে এল পুরসভা, উঠেছে প্রশ্ন। নেতাজীর মত ব্যক্তিত্বকে নিয়ে কিভাবে ছেলেখেলা করল পুরসভা, প্রশ্ন উঠেছে। নেতাজীর এই মৃত্যুদিন কোথা থেকে পেল তারা, কোন প্রশ্নেরই এখন কোন উত্তর নেই।
তাঁর অন্তর্ধান বিতর্ক স্বাধীনতার এত বছর পরেও বন্ধ হয় নি। কিভাবে সুভাষচন্দ্র বসু মারা গেলেন বা কিভাবে তিনি উধাও হয়ে গেলেন সেই নিয়ে অনেক বিতর্ক আছে। জাপানের রেনকোজি মন্দিরে রাখা চিতাভস্ম তাঁরই কিনা তা নিয়েও রয়েছে অনেক বিতর্ক।
সেই বিতর্ক না জেনেই খুব সহজেই পুরসভা সব ছবিতে ও বাস স্ট্যান্ডে লাগিয়ে দিল নেতাজীর মৃতু দিনের তারিখ। আর এই নিয়েই ক্ষুব্ধ হয়েছে এগরার সাধারণ মানুষ। বিষয়টা চোখে পড়তেই প্রতিবাদে পথে নেমেছেন নেতাজী প্রেমীরা। প্রতিবাদ জানিয়েছে আজাদ হিন্দ পরিষদও।
আরও পড়ুনঃ হাসপাতাল চত্বরে রাতভর ডিজে-নাচা-গানা নীরব পুলিশ
এই ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন এগরা পুরসভার চেয়ারম্যান শঙ্কর বেরা। ‘বেসরকারি সংস্থা যাদের নেতাজী ব্যানার তৈরি করতে দেওয়া হয়েছিল, তারাই ভুলটা করেছে’ সাফাই এগরা পুরসভার চেয়ারম্যানের। যাদের টেন্ডার দেওয়া হয়েছিল তাদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন, এগরা পুরসভার চেয়ারম্যান শঙ্কর বেরা।
তবে এই বিতর্কের মধ্যেই রসিকতায় মেতেছেন এগরার বাসিন্দারা। যাক, শেষ পর্যন্ত কেউ তো নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসুর মৃত্যু দিন জানাতে পারল! আর সেটা করে দেখাল আমাদের বাংলারই একটি পুরসভা।