মোদীর মিশন শক্তির ঘোষণায় নির্বাচনী আচরনবিধি লঙ্ঘন হয়নি, জানিয়ে দিল কমিশন

617
মোদীর মিশন শক্তির ঘোষণায় নির্বাচনী আচরনবিধি লঙ্ঘন হয়নি, জানিয়ে দিল কমিশন/The News বাংলা
মোদীর মিশন শক্তির ঘোষণায় নির্বাচনী আচরনবিধি লঙ্ঘন হয়নি, জানিয়ে দিল কমিশন/The News বাংলা

জাতীর উদ্দেশ্যে নরেন্দ্র মোদীর মিশন শক্তির ঘোষণায় নির্বাচনী আচরনবিধি লঙ্ঘন হয়নি, জানিয়ে দিল নির্বাচন কমিশন। আর এর ফলে স্বস্তি পেলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বিরোধীদের তরফ থেকে মোদীর স্যাটেলাইট ধ্বংস করা মিশাইলের ঘোষণা নিয়ে আপত্তি জানিয়ে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানান হয়েছিল। তারই জবাবে মোদীকে ক্লিন চিট দিল কমিশন।

ভোটের আগেই স্যাটেলাইট অস্ত্রের ঘোষনা কেন, প্রশ্ন তুলে মোদীর বিরুদ্ধে কমিশনে নালিশ জানিয়েছিল তৃণমূল। অভিযোগ জানিয়েছিল কংগ্রেসও। তদন্তে নির্বাচন কমিশন জানিয়ে দিল, মিশন শক্তির ঘোষণায় কোনও প্রকার নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন হয়নি।

নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, “মিশন শক্তি” ঘোষণায় কোনও রাজনৈতিক দলের তরফে কৃতিত্ব স্বীকার করা হয়নি। ঘোষনার সময় ভোটের প্রসঙ্গ উল্লেখ করেও ভোট চাওয়া হয়নি। পুরোটাই ভারতের প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করেছেন জাতীর উদ্দেশ্যে। এখানে রাজনীতির কোন সম্পর্ক নেই।

ঘোষণায় সরকারি সংবাদমাধ্যম ব্যবহারের অভিযোগ তোলা হয়েছিল তৃণমূল ও বামেদের তরফে। এই ব্যাপারে দূরদর্শণের নিয়ম জানাতে বলা হয়েছিল। তাতেও কোনও নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন হয়নি বলেই নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে।

বুধবারই পরীক্ষামূলক প্রক্রিয়ায় একটি অকেজো স্যাটেলাইটকে ধবংস করা হয়। এই নিয়ে কোনও নজরদারি করা স্যাটেলাইট ধবংসের তালিকায় চতুর্থ স্থান দখল করেছে ভারত। সেদিনই দেশবাসীর উদ্দেশ্যে বিশেষ ভাষণে একথা জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আর ভোটের আগে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে প্রচারের অভিযোগ তুলে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানিয়েছিল তৃণমূল ও কংগ্রেস।

ভোট দোরগোড়ায়। আসন্ন ১১ই এপ্রিল লোকসভার প্রথম দফার নির্বাচন। তার আগেই অ্যান্টি স্যাটেলাইট অস্ত্রের ঘোষনায় নির্বাচনী বিধিভঙ্গ হয়েছে বলে তৃণমূল অভিযোগ জানিয়েছিল। নির্বাচনী আচরণ বিধিতে বলা হয়েছে, নির্বাচন কমিশনের নির্বাচনী দায়িত্ব লাভের পর সরকারের তরফে এমন কিছু বক্তৃতা প্রদান করা যাবে না, যাতে ভোটাররা প্রভাবিত হয়।

জাতির উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষনা আসলে ভোটারদের প্রভাবিত করার চেষ্টা বলেই তৃণমূল দাবি করেছিল। এর ফলে ভোটবাক্সে ফায়দা তুলতে পারে বিজেপি, এমনই সম্ভাবনার কথা ব্যক্ত করেছিল তৃণমূল। সেই সম্ভাবনাকে মাথায় রেখেই প্রধানমন্ত্রীর ঘোষনাকে হাতিয়ার করে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয় তৃণমূল নেতৃত্ব। অবশেষে তৃণমূলের অভিযোগ নস্যাৎ করে প্রধানমন্ত্রীকে ক্লিনচিট দিল কমিশন।

এই ঘটনায় তৃণমূল সহ বিরোধীদের একহাত নিয়েছে বিজেপি। বিজেপির এক মুখপাত্র বলেন, “মমতা ও রাহুলের আগে দেশ কাকে বলে তা জানা উচিত, তারপর রাজনীতি করা উচিত”। তবে নির্বাচন কমিশনের মোদীকে ক্লিনচিট দেওয়া নিয়ে কিছু বলতে চায়নি তৃণমূল ও কংগ্রেস।

Comments

comments

আপনাদের মতামত জানাতে কমেন্ট করুন