কাশ্মীর কি কলি, নজিরবিহীন কটাক্ষ তৃণমূল নেত্রী মমতাকে

577
কাশ্মীর কি কলি, নজিরবিহীন কটাক্ষ তৃণমূল নেত্রী মমতাকে/The News বাংলা
কাশ্মীর কি কলি, নজিরবিহীন কটাক্ষ তৃণমূল নেত্রী মমতাকে/The News বাংলা

মমতা ‘কাশ্মীর কি কলি’, নজিরবিহীন কটাক্ষ তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। আর এইভাষাতেই মমতাকে কটাক্ষ করলেন সিপিএম নেতা বিমান বসু। আর তারপরেই এই নিয়ে শোরগোল পরে গেছে রাজ্য রাজনীতিতে। ‘কাশ্মীর কি কলি হয়ে কি লাভ’, মন্তব্যের পর তৃণমূলের তরফ থেকে কড়া সমালোচনা করা হয়েছে বিমান বসুর।

আরও পড়ুনঃ কেন্দ্রে ক্ষমতায় এলে ২ দিনের মধ্যে কাশ্মীর সমস্যার সমাধান করার চ্যালেঞ্জ মমতার

“কেন্দ্রে ক্ষমতায় এলে ২ দিনের মধ্যে কাশ্মীর সমস্যার সমাধান করব”। বুধবার তৃণমূলের ইস্তেহার প্রকাশ করে এমন মন্তব্যই করেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ইস্তেহার প্রকাশ করে মমতা জানান, “আমি ইতিবাচক রাজনীতিতে বিশ্বাসী। তাই কেউ না পারলে আমাকে দায়িত্ব দিক। কাশ্মীরে গিয়ে থাকব। ওখানকার মানুষদের সঙ্গে কথা বলব। সমস্যা বোঝার চেষ্টা করব। পরিবর্তে কিছু চাই না আমার। দুদিনের মধ্যে কাশ্মীর সমস্যার সমাধান করব”।

আরও পড়ুনঃ ২৮ দিনে টনক নড়ল মমতার, স্কুল সার্ভিস অনশন মঞ্চে মুখ্যমন্ত্রী

আর এরপরেই মমতাকে সমালোচনায় বেঁধেন বিরোধীরা। বিজেপির রাহুল সিনহা বলেন, “ভাঙড় সমস্যার সমাধান করতে পারেন না, উনি করবেন কাশ্মীর সমস্যার সমাধান”। সিপিএম নেতা বিমান বসু একধাপ এগিয়ে মমতাকে কটাক্ষ করে বললেন, “কাশ্মীর কি কলি হয়ে কি লাভ”। আর এরপরেই শুরু হয়ে যায় তুলকালাম।

স্কুল সার্ভিস নিয়ে পড়ুনঃ যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তারাই শুনবে স্কুল সার্ভিস কেলেঙ্কারির ঘটনা

বুধবার কালীঘাটে নিজের বাড়িতে, ২০১৯-এর নির্বাচনের জন্য তৃণমূলের ইস্তেহার প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ইস্তেহার প্রকাশ করতে গিয়ে মমতা বলেন, “এই ইস্তেহার শুধুমাত্র বাংলার জন্য। পরে সর্বভারতীয় স্তরে জাতীয় ইস্যুগুলিকে গুরুত্ব দেওয়া হবে। বিভিন্ন দলের সঙ্গে অভিন্ন কর্মসূচির ভিত্তিতে পরবর্তী সরকার গঠন করা হবে”। ঐক্যবদ্ধ ভারত তাঁরাই গড়ে তুলবেন বলে জানিয়েছেন মমতা। এখানেই মমতা দাবি করেন, “কেন্দ্রে ক্ষমতায় এলে ২ দিনের মধ্যে কাশ্মীর সমস্যার সমাধান করব”।

আরও পড়ুনঃ মহাকাশে শত্রুর স্যাটেলাইট ধ্বংসে ভারতের হাতে অ্যান্টি স্যাটেলাইট অস্ত্র, বললেন মোদী

আর মমতার এই মন্তব্য শুনেই বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু মমতাকে কটাক্ষ করে বলেন, “রাজ্যের সমস্যার সমাধান করতে পারেন না, উনি করবেন দেশের সমস্যার সমাধান। রাজ্যে অরাজকতা চলছে, শান্তি শৃঙ্খলা নেই, আগে রাজ্যে গণতন্ত্র সামলান”, বলেন বিমান বসু। এরপরেই স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিমায় বিমান বসু বলে বসেন, “কাশ্মীর কি কলি হয়ে কি লাভ”। তারপরেই শুরু হয়ে যায় বিতর্ক।

আরও পড়ুনঃ ভোটের আগে স্যাটেলাইট অস্ত্রের ঘোষণা কেন, মোদীর বিরুদ্ধে কমিশনে নালিশ তৃণমূলের

ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ছেয়ে গেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বলা বিমান বসুর “কাশ্মীর কি কলি” মন্তব্য। বিমান বাবু আরও বলেন, “আগে রাজ্যে গণতন্ত্র সামলান, তারপর কাশ্মীরের কথা ভাববেন”। কিন্তু সব মন্তব্যকে ছাপিয়ে বিমান বসুর ‘কাশ্মীর কি কলি’ সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়।

আরও পড়ুনঃ নির্বাচন কমিশনের নতুন অ্যাপ সি ভিজিল, জনতার অভিযোগে ১০০ মিনিটের মধ্যে ব্যবস্থা

আপনার মোবাইলে বা কম্পিউটারে The News বাংলা পড়তে লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ।

Comments

comments

আপনাদের মতামত জানাতে কমেন্ট করুন