ভোটের আগেই কয়েক কদম এগিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস। ভোটের দিন ঘোষণার পরেই প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করে দিয়েছে ঘাসফুল শিবির। ৪২ টি আসনেই একদিনে প্রার্থী ঘোষণা করে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রচারেও নেমে পরেছেন সবাই। আর এখানেই অনেকটা এগিয়ে গেছে মমতার তৃণমূল।
প্রধান প্রতিপক্ষ বিজেপি এখনও প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করতে পারে নি। এখনও ভরসা অন্য দল থেকে কবে বিক্ষুব্ধ প্রার্থীরা আসবে দলে। এসে ভোটে দাঁড়াবে। প্রচার তো অনেক দূরে, প্রার্থীই ঠিক হয় নি গেরুয়া শিবিরের।
আরও পড়ুনঃ বাংলায় চার দলের লড়াই, ২০১১ র ভুল ২০১৯ এ করল না কংগ্রেস
বাম-কং জোট করার অনেক চেষ্টা করে শেষে কিছু কিছু করে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেছে এখন। শুক্রবার বামেরা ২৫টি আসনে আর সোমবার রাতে কংগ্রেস মাত্র ১১ টি আসনে প্রার্থী দিতে পেরেছে।
ভোটের মুখে বিজেপি, বাম ও কংগ্রেসের বেহাল দশা বুঝতে পেরেছে বাংলার আমজনতা। তাদের কাছেও বিরোধী দলগুলির হাল পরিষ্কার। পঞ্চায়েত ভোটে প্রার্থী দিতে না দেবার অভিযোগ করা হয়েছিল শাসক দলের বিরুদ্ধে। এবার সেই অভিযোগও নেই। কারণ নিজেরাই প্রার্থী দিতে পারছে না বিরোধী দলগুলি। আর এভাবে সাধারণ মানুষের কাছে খুব একটা ভালো বার্তা যাচ্ছে না বিরোধী দলগুলোর তরফ থেকে।
আরও পড়ুনঃ চোখ মেরে শাড়ির আঁচল ফেলে প্রচার মুনমুনের, সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝড়
অন্যদিকে জেলায় জেলায় ভোটপ্রচার শুরু করে দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস সেই আগের রবিবার থেকেই। প্রার্থী তালিকা প্রকাশে অনেক এগিয়ে থাকায়, প্রচারের ক্ষেত্রেও অনেকটাই এগিয়ে তৃণমূল। প্রথম দফার প্রচারের ক্ষেত্রে রাজ্যের শাসক দলের চেয়ে অনেকটাই পিছিয়ে বাম-কংগ্রেস-বিজেপি প্রার্থীরা। ইতিমধ্যেই তৃণমূলের প্রার্থীরা প্রচারে বেরিয়ে পড়ে অনেকটাই এগিয়ে বিরোধী বাম-বিজেপি ও কংগ্রেস প্রার্থীদের চেয়ে।
আরও পড়ুনঃ ভাটপাড়ায় অনাস্থা, তৃণমূল বনাম বিজেপির জমজমাট লড়াই
বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেছেন উচ্চ নেতৃত্বর কাছে লিস্ট জমা পড়ে গেছে, আজকালের মধ্যেই বাংলায় প্রার্থী তালিকা প্রকাশ হবে। বিজেপি রাজ্যের বিরোধী দল হিসাবে নিজেদের তুলে ধরতে চাইছে আর তারা প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করছে সবার শেষে। মঙ্গলবার ঘোষণা করলেও সেটা হবে তৃণমূলের প্রায় ১০ দিন পরে।
আরও পড়ুনঃ মমতার প্রার্থী তালিকা নিয়ে গোপনে ক্ষোভ বাড়ছে জেলায় জেলায়
বিরোধীদের প্রার্থী তালিকা নিয়ে সব জল্পনার মাঝে অনেকটাই এগিয়ে গেছে রাজ্যের শাসক দল। তৃণমূলের প্রার্থীরা দেওয়াল লিখন, কোথায় ফুটবল খেলে, কোথাও কোথাও বাড়ি বাড়ি পৌঁছে গেছে। কিন্তু অন্য রাজনৈতিক দল সেই তুলনায় লড়াই শুরুই করতে পারে নি।
কং বিজেপি এখনও ময়দানেই নেই। বামেরা কিছু জায়গায় প্রচার শুরু করেছে। কিন্তু গোটা রাজ্যেই অনেকটাই এগিয়ে ঘাসফুল শিবির। কারণ তৃণমূল ইতিমধ্যে তাদের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করে দিয়েছে অনেক আগেই।
আরও পড়ুনঃ বাম কংগ্রেস বিজেপির আপত্তি নেই, কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে কেন মাথাব্যথা শুধু তৃণমূলের
আর এখানেই বাজিমাত তৃণমূলের। লড়াই শুরুর আগেই অনেকটা এগিয়ে মমতা শিবির। এরপর প্রচার শুরু করে প্রার্থীর নাম লেখার দেওয়ালই পাবে না বিরোধীরা। ফলে বলাই যায়, ভোটের আগেই বিরোধীদের টেক্কা দিল তৃণমূল কংগ্রেস। আর এই এগিয়ে যাওয়া আটকে ঘাসফুল শিবিরকে বিরোধীরা কতটা বেগ দিতে পারে সেটাই এখন দেখার।
আরও পড়ুনঃ অনুব্রত মন্ডলের বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ নির্বাচন কমিশনের
আপনার মোবাইলে বা কম্পিউটারে The News বাংলা পড়তে লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ।