কলকাতা শহরে বাড়ছে সোয়াইন ফ্লু। জানুয়ারী থেকে শহরে সোয়াইন ফ্লুর কবলে পরেছেন বহু মানুষ। বেসরকারি মতে ইতিমধ্যে, ৭জন প্রাণও হারিয়েছে। যদিও সেটা সরকারি তরফে স্বীকার করা হয়নি। কিন্তু, সমস্যা অন্য জায়গাতে। বেশ কিছু বেসরকারি হাসপাতালে এইচওয়ানএনওয়ান ভাইরাস পরিক্ষা করার মেশিন মিলছে না। এইচওয়ানএনওয়ান ভাইরাস থেকেই সোয়াইন ফ্লুর মত ভয়ঙ্কর রোগ হয়।
আরও পড়ুনঃ একটু সতর্ক হন দূরে থাকুন ক্যানসারের হাত থেকে
বেসরকারি হাসপাতালে রুগি এবং রুগির পরিবার যখন এইচওয়ানএনওয়ান ভাইরাসের পরীক্ষা করার জন্য যাচ্ছে, তাদের সরকারি নিয়ম দেখানো হচ্ছে। বলা হচ্ছে, সরকারি নিয়ম অনুযায়ী, রুগিকে হাসপাতালে ভর্তি না করা অবধি তার এইচওয়ানএনওয়ান পরীক্ষা করা যাবে না।
আরও পড়ুনঃ পৃথিবীর দ্বিতীয় ব্যক্তি এইডস মুক্ত হলেন
এমন কোন নিয়ম আছে, তা অস্বীকার করেছে সরকারি মহল। তারা জানিয়েছে, এমন কোন নিয়ম সরকারি দিক থেকে নেই। সবাই এইচওয়ানএনওয়ান ভাইরাসের পরীক্ষা করতে পারে। এই মুহূর্তে, শহরের দুটো সরকারি হাসপাতাল, চারটে বেসরকারি হাসপাতাল এবং একটি বেসরকারি স্বাস্থ্য কেন্দ্রে এক্সপার্ট ফ্লু টেস্ট, যা শরীরে থাকা এইচওয়ানএনওয়ান ভাইরাসের লক্ষন খুঁজতে সাহায্য করে, করার ব্যাবস্থা আছে।
আরও পড়ুনঃ গাজর এর অসাধারণ উপকারিতা জেনে নিন
সল্টলেকের আমরি হাসপাতাল, সিএমআরআই হাসপাতাল, পিয়ারলেস হাসপাতাল থেকে বহু রুগিকে এই সপ্তাহে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। হাসপাতাল সুত্রে জানানো হয়েছে, ভাইরাস পরীক্ষা করার ছোট জিনিসগুলো খুব তাড়াতাড়ি ফুরিয়ে যাচ্ছে। এই কারণে স্বাস্থ্য দপ্তর থেকে তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, যে রুগিকে হাসপাতালে ভর্তি না করিয়ে তার পরীক্ষা না করাতে।
আরও পড়ুনঃ চিকেন খেলেও বাড়ছে বিপদ বলছে রিপোর্ট
পিয়ারলেস হাসপাতালের সুপারিনটেন্ডেড সুদীপ্ত মিত্র জানিয়েছেন, “আমাদের কাছে ফ্লু পরীক্ষা করার জিনিস শেষ হয়ে গেছিল। পরে সেগুলো নতুন করে আনা হয়েছে। স্বাস্থ্য দপ্তর থেকে আমাদের নির্দেশ করা হয়েছে,কোন আউটডোর পেসেন্টের পরীক্ষা করা যাবে না। এইচওয়ানএনওয়ান ভাইরাস পরীক্ষা করার জন্য হাসপাতালে ভর্তি হতে হবে”।
এদিকে, স্বাস্থ্য দপ্তরে অবশ্য এই কথা অস্বীকার করেছে। স্বাস্থ্য সচিব রাজীব সিনহা এইদিনই জানায়ে, “এরকম কোন নির্দেশ আমাদের তরফ থেকে হাসপাতালগুলোকে দেওয়া হয়নি”।
আরও পড়ুনঃ আমলকির আছে বেশ কিছু অসাধারণ উপকারিতা
যদিও ঢাকুরিয়ার আমরি হাসপাতাল নতুন পরীক্ষা সমগ্র পেয়েছে, তাদের সল্টলেক শাখায় তা ফুরিয়ে গেছে সপ্তাহখানেক আগেই। আমরিও শুধু মাত্র ভর্তি হওয়া রুগিদেরই এক্সপার্ট ফ্লু টেস্ট করছে। আমরি একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, “পরীক্ষার মেশিনপত্র পাওয়া না যাওয়ায় শুধুমাত্র ভর্তি হওয়া রুগিদেরই এইচওয়ানএনওয়ান ভাইরাস পরীক্ষা করা সম্ভব হচ্ছে। ভর্তি হওয়া রুগিদেরই পরীক্ষা হবে, এমনটাই আমাদের নির্দেশ দিয়েছে এনআইসিইডি”। সিএমআরআই হাসপাতালেও ঘটছে একই ঘটনা।
তবে এই জটিলতায় কলকাতা ও রাজ্যে সোয়াইন ফ্লুর কবলে পরেছেন বহু মানুষ। ইতিমধ্যেই প্রচার শুরু করা হয়েছে কলকাতা পুরসভা ও রাজ্য সরকার। এখনও চিন্তার কিছুই হয়নি জানিয়েছেন কলকাতার ডেপুটি মেয়র ও মেয়র পারিষদ স্বাস্থ্য অতীন ঘোষ। তবে শহর কলকাতার আসল চিত্র কিন্তু তা বলছে না।
আপনার মোবাইলে বা কম্পিউটারে The News বাংলা পড়তে লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ।