পুলওয়ামা হামলার জের, জম্মু-কাশ্মীরের পাঁচ বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতার নিরাপত্তা রক্ষী তুলে নিল প্রশাসন। এই পাঁচ নেতা হলেন মীরওয়াইজ উমর ফারুক, আবদুল গনি ভাট, বিলাল লোন, হাসিম কুরেশি এবং সাবির শাহ। কোনও অবস্থাতেই তাদের আর কোন নিরাপত্তা দেওয়া হবে না বলেও নির্দেশিকা জারি হয়েছে। আগেই নিরাপত্তারক্ষী তুলে নেওয়া হয়েছে পাকিস্তান-পন্থী বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা সৈয়দ আলি শাহ গিলানি ও ইয়াসিন মালিকের কাছ থেকে।
আরও পড়ুনঃ পাকিস্তানের মাটিতে ঢুকে জঙ্গি ঘাঁটিতে হামলার অনুমতি চাইল দেশের সেনা
জম্মু-কাশ্মীর প্রশাসন থেকে জারি করা নির্দেশিকায় বলা হয়েছে যে এই পাঁচ নেতার কাছ থেকে সরকারি গাড়ি ও নিরাপত্তারক্ষী সরিয়ে নেওয়া হবে। রবিবার সন্ধ্যার মধ্যেই এইসব নেতার সরকারি গাড়ি ও নিরাপত্তারক্ষী তুলে নেওয়া হয়েছে। মিরওয়াইজ উমর ফারুক এর মত হুরিয়ত কনফারেন্সের অন্যান্য নেতাদেরও নিরাপত্তা দ্রুত তুলে নেওয়া হচ্ছে। তারা যেসব সরকারি সুযোগ পান সেটাও তুলে নেওয়া হবে।
আরও পড়ুনঃ পরিবার সহ খুন করে আরডিএক্স দিয়ে বাড়ি উড়িয়ে দেবার হুমকি সাংসদকে
কোনও অবস্থাতেই কোনও বিচ্ছিন্নতাপন্থী নেতা বা পাকিস্তানকে সমর্থন করা নেতাকে আর নিরাপত্তা দেওয়া হবে না বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। এই বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতারা আর কোনও সরকারি সুযোগ-সুবিধে পেলে তাও তুলে নেওয়া হবে। অন্যান্য আরও যেসব সুযোগ সুবিধা তারা পেয়ে থাকেন তাও বন্ধ করে দেওয়া হবে। আর কোনও বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতাকে এই তালিকায় ঢোকানো হবে কিনা, তাও খতিয়ে দেখা হবে বলে জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ ভয়ঙ্কর সন্ত্রাসবাদী হামলা হবে জানিয়েছিলেন কাশ্মীর পুলিশের আধিকারিক
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ঘোষাণা করেছিলেন, “সেনাকে সমস্ত ক্ষমতা দেওয়া রয়েছে। আরও অনেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে”। পাশাপাশি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং আগেই জানিয়েছিলেন, “কাশ্মীরের বিচ্ছিন্নতাবাদীদের নিরাপত্তার বিষয়টি পর্যালোচনা করা হবে”। দুদিনের মধ্যেই এই সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিল কেন্দ্রীয় সরকার।
আরও পড়ুনঃ সেনা মৃত্যুর প্রতিবাদে উত্তাল দেশ, ভারতীয় কোম্পানি টাকা ঢালছে পাকিস্তানে
পুলওয়ামায় জঙ্গি হামলার পর কেন্দ্রীয় সরকারের প্রধান দুই মন্ত্রীর বক্তব্যই ক্রমে প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠল কাশ্মীরের সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে। শনিবার বিকেলেই নিজের বাড়িতে নিরাপত্তা বিষয়ক বিশেষ বৈঠকে বসেন দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং। রাজধানী দিল্লিতে এই বিশেষ বৈঠকেই ঠিক করা হয় বিচ্ছিন্নতাবাদীদের নিয়ে একাধিক বিষয়। বৈঠকে হাজির ছিলেন গোয়েন্দা বিভাগের ডিরেক্টর সহ জাতীয় পর্যায়ের একাধিক সচিব।
আরও পড়ুনঃ কাশ্মীরে আবার জঙ্গি হামলা, বিস্ফোরণে শহিদ আর্মি মেজর
পুলওয়ামা হামলার পরই কাশ্মীরে পৌঁছন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। সেখানেই রাজনাথ সিং ঘোষণা করেন, “জম্মু ও কাশ্মীরে এমন কিছু মানুষ ও নেতা রয়েছে, যারা পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইকে সাহায্য় করছে। পাশাপাশি তারা বিভিন্ন পাক জঙ্গি সংগঠনকে সাহায্য করছে। এদের আর নিরাপত্তা দেওয়া হবে কি না তা বিবেচনা করে দেখবে সরকার”।
আরও পড়ুনঃ কাশ্মীরে পাক হামলার পর কলকাতা থেকে গ্রেফতার বাংলাদেশি জামাত জঙ্গি
১৪ই ফেব্রুয়ারী কাশ্মীরের পুলওয়ামায় সিআরপিএফ কনভয়ে জঙ্গি হামলার পরই প্রশ্ন উঠতে থাকে পাকিস্তানের মদতে যেখানে উপত্যকায় জঙ্গি কার্যকলাপ চলেছে সেখানে পাকপন্থী কাশ্মীরি নেতাদের সরকারি নিরাপত্তা কেন? কাশ্মীরে গিয়ে এই নিয়েই বক্তব্য রাখেন রাজনাথ সিং। সেখানে তিনি পরিস্কার বলেন, “উপত্যকার পাকপন্থী নেতারা জম্মু ও কাশ্মীরের মানুষদের ভবিষ্যত নিয়ে ছিনিমিনি খেলছেন। এদের কোনরকম সাহায্য আর করা হবে না”।
আরও পড়ুনঃ কাশ্মীরে ভয়াবহ জঙ্গি হামলায় শহিদদের মধ্যে বাংলার ২জন সেনা জওয়ান
তারপরেই নেতাদের এই সব সাহায্য বন্ধ করার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দিল মোদী সরকার। আর সরকারের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন সেনা, পুলিশ ও সাধারণ মানুষও। কাশ্মীর নিয়ে আরও কি কি কড়া সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্র সরকার, তারই অপেক্ষায় গোটা দেশ।
আপনার মোবাইলে বা কম্পিউটারে The News বাংলা পড়তে লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ।
আরও পড়ুনঃ পাকিস্তানকে বয়কট করে ভারতের হাত ধরল সৌদি আরব
আরও পড়ুনঃ তদন্তের আগেই জঙ্গি হামলায় পাকিস্তানকে দোষী বলা ঠিক নয় বললেন মমতা
আরও পড়ুনঃ পাক জঙ্গিদের খুঁজে বের করে মারতে সেনাকে পূর্ণ স্বাধীনতা দিল মোদী সরকার
আরও পড়ুনঃ দেশ জুড়ে বদলার দাবি, কাউকে ছাড়া হবে না জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী
আপনার মোবাইলে বা কম্পিউটারে The News বাংলা পড়তে লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ।