দেশ জুড়ে বদলার দাবি, নিকেশ করা হোক কাশ্মীরের জঙ্গিদের। “সিআরপিএফ জওয়ানদের আত্মবলিদান ব্যর্থ হবে না, কাউকে ছাড়া হবে না”, জানিয়ে দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এখন আর কোন আলোচনা নয়, বদলার দাবি গোটা দেশ জুড়ে। এদিকে অবন্তীপুরায় কনভয়ে হামলায় শহিদ হলেন ৪০ জন সিআরপিএফ জওয়ান। গুরুতর আহত আরও প্রায় ১৫ জন। ফলে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলেই আশঙ্কা।
এদিকে জম্মু-কাশ্মীরের পুলওয়ামায় হামলার হামলার ঘটনার নিন্দা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বললেন, “দেশের সৈনিকদের আত্মবলিদান ব্যর্থ হবে না। কাউকে ছাড়া হবে না”। ট্যুইটে প্রধানমন্ত্রী লেখেন, “পুলওয়ামায় সিআরপিএফ জওয়ানদের ওপর হামলার ঘটনা নিন্দনীয়। আমি এই ধরণের কারপুরুষোচিত হামলার তীব্র নিন্দা করছি। আমাদের বীর নিরাপত্তাকর্মীদের বলিদান বিফলে যাবে না। বীর শহিদদের পাশে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দাঁড়াবে গোটা দেশ। আহতরা দ্রুত আরোগ্যলাভ করুন”। এদিকে ক্রিকেটের পাশাপাশি পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের মাটিতে সমস্ত রকম খেলা নিষিদ্ধ করা হল।
জম্মু-কাশ্মীরের পুলওয়ামার অবন্তীপুরায় কনভয়ে হামলায় শহিদ হলেন ৪০জন সিআরপিএফ জওয়ান, আহত হলেন অসংখ্য। মৃতের সংখ্যা বাড়ছে ক্রমশ। আহতদের মধ্যে আরও ১৫জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে। তাঁদের শ্রীনগরের সেনা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। হামলার দায় স্বীকার করেছে জইশ-ই-মহম্মদ। প্রাথমিক রিপোর্টে জানা গেছে, একটি মহিন্দ্রা স্করপিও গাড়িতে ৩৫০ কেজি বিস্ফোরক রেখেছিল জঙ্গিরা।
জম্মু কাশ্মীরে আজ ভয়াবহ জঙ্গি হামলায় এখন পর্যন্ত শহিদ ৪০জন জওয়ান, গুরুতর আহত আরও প্রায় ১৫ জন। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলেই জানা যাচ্ছে। লোকসভা নির্বাচনের আগে জম্মু-কাশ্মীরে এই বড়সড় জঙ্গি হামলা ভোট বানচাল করা ও সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের বদলা বলেই দাবি করেছে জঙ্গি সংগঠন জইশ ই মহম্মদ। বিস্ফোরক বোঝাই গাড়ি নিয়ে আত্মঘাতী হামলা বলেই প্রাথমিক অনুমান। এই ঘটনায় পাকিস্তানের হাত আছে, পরিস্কার জানালেন ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং।
কাশ্মীরের পুলওয়ামার অবন্তীপুরায় শ্রীনগর-জম্মু হাইওয়েতে প্রথমে সিআরপিএফ কনভয়ের একটি গাড়ি লক্ষ করে আইডি বিস্ফোরণ ঘটায় জঙ্গিরা। তারপর ছুটে আসে ঝাঁকে ঝাঁকে গুলি। সিআরপিএফ কনভয়ের গাড়িটি টহল দিয়ে ফেরার সময় এই আক্রমণ হয়। অবন্তীপুরায় জাতীয় সড়কের উপরেই এই হামলা চলে। তদন্তে উঠে আসছে, বিস্ফোরক বোঝাই গাড়ি নিয়ে আত্মঘাতী হামলার তথ্য। আদিল আহমেদ নামে এক জইশ জঙ্গি এই আত্মঘাতী হামলা চালায় বলেই প্রাথমিক রিপোর্ট।
জানা গেছে, পুলওয়ামার অবন্তীপুরা এলাকার জাতীয় সড়কের উপরেই সিআরপিএফ জওয়ানদের কনভয়ে আইইডি বোঝাই গাড়ি নিয়ে ধাক্কা মারে জঙ্গিরা। বিস্ফোরণে ক্ষতিগ্রস্থ হয় সেনার কনভয় এর দুটি গাড়ি। এরপর সেই গাড়ি লক্ষ্য করে একের পর এক গ্রেনেড ও গুলিবর্ষণ করে জঙ্গিরা। ঘটনায় এখনও পর্যন্ত শহিদ হয়েছেন ৪০জন সিআরপিএফ জওয়ান। গুরুতর জখম আরও ১৫ জন।
ঘটনার দায় স্বীকার করেছে পাক জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদ৷ বিস্ফোরণে যুক্ত আদিল আহমেদ নামে এক জইশ জঙ্গির নাম উঠে আসছে তদন্তে। তার ছবিও প্রকাশ করা হয়েছে। সেনা সূত্রে খবর, বিস্ফোরক ভরতি বোঝাই গাড়িটি আদিলই চালাচ্ছিল৷ তবে সবটাই প্রাথমিক অনুমান বলে জানান হয়েছে। বেশ কিছু জঙ্গি আগে থেকেই একটু উঁচু জায়গায় পজিশন নিয়ে রেখেছিল বলেই মনে করা হচ্ছে। এটাকে সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের বদলা বলেই দাবি করেছে জঙ্গি সংগঠন জইশ ই মহম্মদ।
জানা গিয়েছে, জম্মু-শ্রীনগর হাইওয়েতে হঠাৎই কনভয়ের মাঝে ঢুকে আসে একটি মহিন্দ্রা স্করপিও গাড়ি। যাতে প্রায় ৩৫০ কেজি আইইডি বোঝাই করা ছিল৷ সেনা কনভয়ের সঙ্গে ধাক্কায় প্রবল বিস্ফোরণ ঘটে। এরপর কনভয়টিকে ঘিরে ফেলে জঙ্গিরা। লাগাতার গুলি চালিয়ে ঝাঁজরা করে দেওয়া হয় গাড়িটিকে। শহিদ হন ৪০ জন সিআরপিএফ জওয়ান, গুরুতর জখম হয়েছেন আরও ১৫ জন। বেসরকারি মতে এখনও পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪৪জন হয়েছে।
গোটা এলাকা ঘিরে ফেলেছে ভারতীয় সেনা। জঙ্গিদের খোঁজে চলছে নাকা তল্লাশি। লোকসভার আগে এই ধরনের জঙ্গি হামলার আভাস আগেই দিয়ে রেখেছিলেন গোয়েন্দারা। এমনকী, ৮-১০ দিন আগেও উপত্যকার সেনাকে সতর্ক করা হয় বলে সূত্রের খবর৷ কিন্তু তাও কেন এই ধরনের হামলা এড়ানো গেল না, তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন৷ উরির পর এই প্রথম এত বড় মাপের একটি হামলা ঘটাল জঙ্গিরা।
