রাজীব কুমারের কাছে এমন কিছু আছে যা সামনে এলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, শুভেন্দু অধিকারী ও পার্থ চট্টোপাধ্যায় মুশকিলে পড়বেন। তাই রাজীব কুমারকে আড়াল করতে চাইছেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রীর সভা উপলক্ষে উত্তরবঙ্গে গিয়ে শিলিগুড়িতে এমনই মন্তব্য করলেন বিজেপি-র সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক কৈলাস বিজয়বর্গীয়।
আরও পড়ুনঃ উড়ালপুল দিয়ে নতুন রাস্তা খুলে সুখবর আনলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা
“রাজীব কুমারের কাছে কি আছে যা বিপদে ফেলতে পারে মমতাকে”? প্রশ্ন তুলেছেন বিজেপি-র সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক ও বাংলার পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়। “রাজীব কুমার কান্ডে মূখ্যমন্ত্রীর ওপর মানুষের আক্রোশ জন্মেছে”, মন্তব্য কৈলাশ বিজয়বর্গীয়র। আর এই ইস্যুই যে শুক্রবার বিকালে উত্তরবঙ্গে নরেন্দ্র মোদীর ভাষণের মুখ্য বিষয় হতে যাচ্ছে সেটাও পরিষ্কার।
রাজীব কুমারকে আগলে রাখার পেছনে সারদা চিটফান্ড কান্ডে মমতা বন্দোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দোপাধ্যায়, পার্থ চট্টোপাধ্যায়, শুভেন্দু অধিকারী এমনকি সুরজিৎ পুরকায়স্তর বিরুদ্ধেও প্রমাণ আড়াল করার চেষ্টাই কারণ, বলে বিস্ফোরক মন্তব্য কৈলাশ বিজয়বর্গীয়।
আরও পড়ুনঃ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর গলা দিয়েই শুরু হচ্ছে বাংলার নতুন একটি শিল্প
রাজীব কুমার সারদা কান্ডের তদন্ত কমিটি স্পেশাল ইনভেস্টিগেশান টিমের প্রধান হওয়ার কারণে রাজীব কুমারের কাছেই সমস্ত কাগজপত্র, ডকুমেন্ট, পেন ড্রাইভ, ডাইরি সব আছে। তাই তাকে আগলে রাখার পেছনে এই সমস্ত নেতৃত্বদের বিরুদ্ধে প্রমানগুলো যাতে বাইরে বেরিয়ে না আসে, সেটাই মূল কারণ বলে প্রতিক্রিয়ায় জানান কৈলাশ বিজয়বর্গীয়।
আরও পড়ুনঃ ভোটের আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতার সিদ্ধান্তে সিলমোহর দিল মোদী সরকার
শুক্রবার বিকালেই জলপাইগুড়ি জেলার ময়নাগুড়ির চূনাফাটিতে প্রকাশ্য জনসভায় বক্তৃতা দিতে আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তার আগেই সভামঞ্চ পরিদর্শনে আসেন বিজেপির প্রথম সারির নেতারা। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বিজেপির কেন্দ্রীয় সাধারন সম্পাদক কৈলাশ বিজয়বর্গীয় মমতা বন্দোপধ্যায়ের ওপর সাধারন মানুষের একটা আক্রোশ জন্মেছে সে কথা পরিস্কারভাবে বুঝিয়ে বলেন।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, রাজ্য সরকারের ওপর মানুষের একটা আক্রোশ জন্মেছে, বিশেষ করে মূখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের ওপর। তাঁর আরও অভিযোগ, মমতা বন্দোপাধ্যায় চিটফান্ডে টাকা রেখে প্রতারিতদের সঙ্গে না থেকে, সে সব কোম্পানির আধিকারিকদের সংরক্ষণ করছেন। তার আরও অভিযোগ, মানুষের টাকা ফেরত দেবার যে প্রতিশ্রুতি তিনি দিয়েছিলেন তা তো দেন নি, উপরন্তু চিটফান্ড কোম্পানিগুলির ডাইরেক্টরদের রাজ্যসভার সদস্য বানিয়ে দিয়েছেন।
আরও পড়ুনঃ রাজীব কুমার ও কুনাল ঘোষ দুজনকেই শিলংয়ে ডাকল সিবিআই
এছাড়া যে সব আধিকারিকরা এর সাথে জড়িত তাদেরও কোন না কোন পদে বসিয়েছেন। শুধু তাই নয়, যে আধিকারিকের বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্ত করছে তাদেরও বাঁচাতে উনি ঝাঁপিয়ে পড়েছেন। এর ফলে মূখ্যমন্ত্রীর আসল রূপ বেড়িয়ে পড়ল বলেই তার বক্তব্য।
আরও পড়ুনঃ দেশের প্রধানমন্ত্রী দুকান কাটা, বললেন মমতার মন্ত্রী মলয় ঘটক
মমতা প্রতারিতদের সঙ্গে নেই। যারা প্রতারনার সঙ্গে যুক্ত তাদের সঙ্গেই আছেন তা মানুষ বুঝতে পেরেছে বলে মত কৈলাশ বিজয়বর্গীয়র। সেই কারনেই মানুষের ক্ষোভ জন্মেছে মূখ্যমন্ত্রীর ওপর। আর এটাই আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির জয়ী হওয়ার সুগম পথ। তাই রাজ্য থেকে তৃণমূল সাফ হয়ে যাবে আর বিজেপি অধিকাংশ আসনেই জয়ী হবে বলে মত কৈলাশ বিজয়বর্গীয়র। পাশাপাশি দার্জিলিং লোকাসভা আসনেও তৃতীয়বার জয়ের ব্যাপারে ১০০ শতাংশ আশাবাদী তিনি।
আপনার মোবাইলে বা কম্পিউটারে The News বাংলা পড়তে লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ।
আরও পড়ুনঃ কেন্দ্রে ক্ষমতায় এলে তিন তালাক বিরোধী আইন বাতিল করে দেবে কংগ্রেস
আরও পড়ুনঃ মমতার ধর্ণায় বসা পুলিশ অফিসারদের কড়া শাস্তি দিতে চলেছে মোদী সরকার
আরও পড়ুনঃ মমতার বাংলায় ১ লাখ চাকরির প্রতিশ্রুতি দিলেন মুকেশ আম্বানি
আপনার মোবাইলে বা কম্পিউটারে The News বাংলা পড়তে লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ।