The News বাংলা, কলকাতাঃ দ্বিজেন মুখোপাধ্যায়, নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর পর মৃনাল সেন। বছরের শেষলগ্নে আরও এক ইন্দ্রপতন। প্রয়াত মৃণাল সেন। রবিবার সকালে কলকাতায় নিজের বাড়িতেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন এই বিখ্যাত চিত্র পরিচালক। তাঁর অনেক ফিল্মই পেয়েছে পুরষ্কার। একনজরে দেখে নিন কোন কোন ফিল্ম কি কি পুরস্কার পেয়েছে।
আরও পড়ুন: বছর শেষে আবার ইন্দ্রপতন, প্রয়াত চিত্র পরিচালক মৃনাল সেন
আরও পড়ুন: হাতি বাঘ চোরাশিকারি নিয়ে রাজ চক্রবর্তীর ‘অ্যাডভেঞ্চারস অফ জোজো’
সেরা ফিল্মের জন্য জাতীয় পুরস্কারঃ
১৯৬৯ঃ ভুবন সোম। ১৯৭৪ঃ কোরাস। ১৯৭৬ঃ মৃগয়া। ১৯৮০ঃ আকালের সন্ধানে।
দ্বিতীয় সেরা ফিল্মের জন্য জাতীয় পুরস্কারঃ
১৯৭২ঃ ক্যালকাটা ৭১। ১৯৮৩ঃ খারিজ।
বাংলায় সেরা ফিল্মের জন্য জাতীয় পুরস্কারঃ
১৯৬১ঃ পুনশ্চ। ১৯৬৫ঃ আকাশ কুসুম। ১৯৯৩ঃ অন্তরিন
তেলেগু ভাষায় সেরা ফিল্মের জন্য জাতীয় পুরস্কারঃ
১৯৭৭ঃ ওকা ওরি কথা
ফিল্মের জন্য বিশেষ জাতীয় পুরস্কারঃ
১৯৭৮ঃ পরশুরাম
সেরা ফিল্ম পরিচালকের জাতীয় পুরস্কারঃ
১৯৬৯ঃ ভুবন সোম। ১৯৭৯ঃ এক দিন প্রতিদিন। ১৯৮০ঃ আকালের সন্ধানে। ১৯৮৪ঃ খণ্ডর
আরও পড়ুনঃ ‘বাঘের সঙ্গে অভিনয় করাটাই ছিল জীবনের সেরা চ্যালেঞ্জ’
সেরা স্ক্রিন প্লের জাতীয় পুরস্কারঃ
১৯৭৪ঃ পদাতিক। ১৯৮০ঃ আকালের সন্ধানে। ১৯৮৪ঃ খণ্ডর
ফিল্মফেয়ার সমালোচক পুরস্কারঃ
সেরা ফিল্ম। ১৯৭৬ঃ মৃগয়া।
ফিল্মফেয়ার সেরা স্ক্রিন প্লের পুরস্কারঃ
১৯৮৪ঃ খণ্ডর।
আরও পড়ুনঃ ইতিহাস গড়ে মেলবোর্নে জিতে অস্ট্রেলিয়ায় সিরিজ জেতার পথে টিম ইন্ডিয়া
ফিল্মফেয়ার বাংলায় সেরা ডাইরেক্টরঃ
১৯৮০ঃ আকালের সন্ধানে।
ফিল্মফেয়ার লাইফ টাইম অ্যাচিভমেনট পুরস্কারঃ
২০১৭ সালে বাংলা সিনেমায় আসামান্য অবদানের জন্য।
আন্তর্জাতিক পুরস্কারঃ
মস্কো আন্তর্জাতিক ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল সিলভার পুরস্কার। ১৯৭৫ঃ কোরাস। ১৯৭৯ঃ পরশুরাম।
কারলভি ভ্যারি আন্তর্জাতিক ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল পুরস্কার। স্পেশাল জুরি পুরস্কার। ১৯৭৭ঃ ওকা ওরি কথা(তেলেগু)
বার্লিন আন্তর্জাতিক ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল পুরস্কার। ১৯৭৯ঃ পরশুরাম। ১৯৮০ঃ আকালের সন্ধানে।
আরও পড়ুনঃ বলিউডে নতুন যুগের তারকারা কত পারিশ্রমিক পান
কান আন্তর্জাতিক ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল পুরস্কার। ১৯৮৩ঃ খারিজ।
ভাল্লাডলিড আন্তর্জাতিক ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল। গোল্ডেন স্পাইক পুরস্কার। ১৯৮৩ঃ খারিজ।
শিকাগো আন্তর্জাতিক ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল। গোল্ড হুগো পুরস্কার। ১৯৮৪ঃ খণ্ডর।
মন্ট্রিয়াল বিশ্ব ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল। স্পেশাল জুরি পুরস্কার। ১৯৮৪ঃ খণ্ডর।
ভেনিস ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল। ওসিআইসি পুরস্কার। ১৯৮৯ঃ এক দিন অচানক।
কায়রো আন্তর্জাতিক ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল। সেরা ডাইরেক্টর এর সিলভার পিরামিড পুরস্কার। ২০০২ঃ আমার ভুবন।
আরও পড়ুনঃ অগাস্টা ওয়েস্টল্যান্ড হেলিকপ্টার দুর্নীতিতে নাম জড়াল সোনিয়ার সঙ্গে রাহুলেরও
আরও পড়ুনঃ ভারতীয় সিনেমার জনক দাদাসাহেব ফালকে না হীরালাল সেন?
১৯৮১ সালে তিনি পান ভারত সরকারের পদ্মভূষণ। ১৯৮৫ সালে ফ্রান্স তাঁকে কম্যান্ডার অফ দি অর্ডার অফ আর্টস অ্যান্ড লেটারস সম্মানে সম্মানিত করে। ২০০০ সালে রাশিয়া সরকার তাঁকে অর্ডার অফ ফ্রেন্ডশিপ সম্মানে ভূষিত করে।
২০০৩ সালের সেরা ফিল্ম ডাইরেক্টর হবার জন্য ২০০৫ সালে তিনি পান ভারতীয় ফিল্মের সবচেয়ে বড় পুরস্কার, দাদা সাহেব ফালকে পুরস্কার। ২০১২ সালে নয়ডায় পঞ্চম গ্লোবাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে তিনি লাইফ টাইম অ্যাচিভমেনট পুরস্কার পান। এছাড়াও আরও বহু সম্মানে তিনি সম্মানিত হয়েছেন। তাঁর মৃত্যু শুধু বাংলার নয়, ভারতীয় ফিল্ম জগতেরই একটা বড় ক্ষতি। একটি যুগের অবসান।