The News বাংলা, মালদাঃ কংগ্রেস শাসিত রাজ্যগুলোর পাশাপাশি এবার বাংলাতেও উঠল ঋণ মকুবের দাবি। শপথ নিয়েই কৃষি ঋণ মকুবের দাবি মেনে নিয়ে সায় দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী কমলনাথ। গোটা দেশ জুড়েই উঠেছে কৃষি ঋণ মকুবের দাবি। এবার সেই একই দাবি উঠল মমতার বাংলাতেও।
আরও পড়ুনঃ পাহাড়ে পুলিশ হত্যা ও অশান্তির ঘটনায় বিমল রোশনকে বাঁধল সিআইডি
ঘূর্ণিঝড় ‘ফেতাই’ এর ফলে মালদাতেও সোমবার থেকে শুরু হয়েছে বৃষ্টি। গতকাল সকাল থেকে মালদার আকাশ ছিল মেঘে ঢাকা। দুপুর গড়াতে গড়াতে মাঝে মধ্যে বৃষ্টিও শুরু হয়। সন্ধ্যে হতেই বৃষ্টির পরিমান বাড়তে থাকে। গভীর রাত থেকে বৃষ্টির মাত্রা বেড়ে যায়। মঙ্গলবার সকাল থেকে অতিমাত্রায় বৃষ্টি হতে থাকে। ফলে তাপমাত্রাও কমতে থাকে।
আরও পড়ুনঃ শুধু দিনে নয় দার্জিলিংয়ের ঐতিহ্যের টয় ট্রেন এবার সন্ধ্যাবেলাতেও
এদিকে এই বৃষ্টির ফলে আমন ধানের বেশ ক্ষতি হয়। পাশাপাশি সর্ষে চাষের ক্ষেত্রে ও আলু চাষেও বেশ ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন কৃষকেরা। কৃষকেরা জানিয়েছেন, মালদায় এবার বৃষ্টির পরিমান খুবই কম। বিশেষ করে মালদার হবিবপুর, বামনগোলা, মালদা ও গাজোল ব্লকে বৃষ্টি সেইরকম না হওয়ায় আমন চাষেও বেশ প্রভাব পরে।
আরও পড়ুনঃ ‘ইন্দিরা গান্ধী ভারতে এমারজেন্সি লাগু করেছিলেন, বাংলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়’
উল্লেখিত এই ব্লকগুলোতে কৃষি জমিগুলো এমনিতেই এক ফসলি। তার ওপর সঠিক সময়ে বৃষ্টি না হওয়ায় মাথায় হাত পড়ে কৃষকদের। কিন্তু তাঁর মধ্যেও কোনোক্রমে আমন চাষ করে ওই এলাকার কৃষকেরা। এমনিতেই জমিতে ধানের ফলন ভাল হয়নি। তাঁর ওপর অসময়ে নিম্নচাপের ফলে বৃষ্টিতে মাথায় হাত পড়েছে কৃষকদের।
এখন চলছে আমন ধান কাটার সময়। অনেক কৃষক এখন ধান কেটে জমিতে ফেলে রেখেছেন। এদিকে বৃষ্টি হয়ে যাওয়ার ফলে জমিগুলোতে জল দাঁড়িয়ে গিয়েছে। ফলে ধানের ক্ষতির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। কৃষকেরা জানিয়েছেন ধান জমিতে থাকার ফলে এবং জলে ভিজে যাওয়ার ফলে ধানের প্রচুর ক্ষতি হবে। উত্তরবঙ্গের পাশাপাশি দক্ষিণবঙ্গেও একই হাল এই চাষগুলোর।
আরও পড়ুনঃ নেতাদের গুন্ডা পোষা না গুন্ডাদের নেতা হওয়া, প্রকাশ্যে বন্দুকবাজির কারন কি
এই ধানের কোনো দাম পাবেন না বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন কৃষকেরা। অন্যদিকে, সর্ষে চাষেও ক্ষতির মুখে পড়েছে কৃষকেরা। অসময়ে বৃষ্টির ফলে। যে সমস্ত সর্ষে গাছে ফুল আছে সেই সর্ষে ফুলগুলো নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভবনা প্রবল। ফলে গাছগুলোতে কোনরকম দানা আসবে না বলেই কৃষকেরা জানিয়েছেন। এ বছর আর বাঙ্কের ঋণ শোধ করতে পারবেন না বলেই জানিয়েছেন কৃষকরা।
আরও পড়ুনঃ শিক্ষিতদের বিধায়ক করল তেলাঙ্গানা, কবে শিখবে বাংলা
আলু চাষেও ক্ষতির আশঙ্কা করছে কৃষকেরা। গোপাল বর্মন, সাজনা মার্ডি-র মত মালদার অনেক চাষি-কৃষকেরই এখন মাথায় হাত। মালদার কৃষি আধিকারিক মাধব দাস জানিয়েছেন, রাজ্য প্রশাসনকে সব জানান হবে। কৃষকেরা মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীর কাছে আবেদন করেছেন তাঁদের কৃষি ঋণ মকুবের জন্য। পাশাপাশি কৃষকেরা মুখ্যমন্ত্রীর কাছে সাহায্যেরও আবেদন করেছেন।
পড়ুন হাড়হিম করা অদ্ভুত সত্য গল্প:
পড়ুন প্রথম পর্বঃ পৃথিবী এগোলেও তান্ত্রিকের কালো জাদু টোনায় ডুবে আফ্রিকা