The News বাংলা, কলকাতা: কিছুতেই বাংলার রাস্তায় গড়াচ্ছে না ‘গেরুয়া রথ’। কিছুতেই অনুমতি পাওয়া যাচ্ছে না রাজ্য সরকারের। এবার একজন নয়, মঙ্গলবার হাইকোর্টের দুই বিচারপতির ঘরে বাংলায় ‘গেরুয়া রথ’ এর ভবিষ্যৎ। সেই সঙ্গে রথের ভবিষ্যৎ পর্যালোচনা করে পরবর্তী পদক্ষেপ স্থির করতে দিল্লিতে রাজ্য নেতাদের নিয়েও মঙ্গলবার বৈঠকে বসছেন দলের কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষকরা।
আরও পড়ুনঃ ‘ইন্দিরা গান্ধী ভারতে এমারজেন্সি লাগু করেছিলেন, বাংলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়’
গেরুয়া রথ নিয়ে ফের লড়াই শুরু। আবার সম্মুখ সমরে নামছে বঙ্গ বিজেপি ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার। সোমবার, ‘গণতন্ত্র বাঁচাও যাত্রা’ বা ‘রথ যাত্রা’র পক্ষে এবং বিপক্ষে দুটি মামলায় হয় সিঙ্গেল বেঞ্চ এবং ডিভিশন বেঞ্চে। মঙ্গলবার দুই বিচারপতির উপর নির্ভর করবে যে বিজেপির এই রথযাত্রা আদৌ বাংলায় চালতে পারবে কিনা।
কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বনাথ সমাদ্দার ও বিচারপতি অরিন্দম মুখোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছিলেন বৃহস্পতিবারের মধ্যে মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব এবং রাজ্য পুলিশের ডিজি, বিজেপির প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক করবেন। এই বৈঠকেই রথযাত্রা রূপরেখা যাতে তৈরি করা যায়, সেই মর্মেই বৈঠক করার নির্দেশ দিয়েছিল ডিভিশন বেঞ্চ।
আরও পড়ুনঃ নেতাদের গুন্ডা পোষা না গুন্ডাদের নেতা হওয়া, প্রকাশ্যে বন্দুকবাজির কারন কি
নির্দেশ মেনে গত বৃহস্পতিবার লালবাজারে বৈঠক শেষে, নবান্ন ‘রথ যাত্রা’র অনুমতি দেয় নি। নবান্ন জানায়, ‘গোয়েন্দা সূত্রে পাওয়া খবর অনুসারে কয়েকটি জেলায় আরএসএস, বজরং দল এবং বিশ্ব হিন্দু পরিষদের মত উগ্র হিন্দুত্ববাদী সংগঠন এই যাত্রায় যোগ দেবে। সে ক্ষেত্রে রথযাত্রার সময়ে এবং পরবর্তীকালে শান্তিভঙ্গের গুরুতর আশঙ্কা রয়েছে’।
চিঠিতে আরও বলা হয়, ‘রথের প্রস্তাবিত যাত্রাপথ প্রচারের জেরে ক্রমশ সাম্প্রদায়িক উত্তেজনাপ্রবণ হয়ে উঠেছে। গোয়েন্দা রিপোর্ট অনুসারে যাত্রার ধর্মীয় উগ্রতা ‘সাম্প্রদায়িক প্রচারে’ পরিণত হবে বলেই জনমানসে আশঙ্কা’। যাত্রার সময়ে যে প্রচুর পরিমাণ গাড়ি ব্যবহৃত হবে তার ফলে হাইওয়ে ও পার্শ্ববর্তী রাস্তায় ব্যাপক যানজট তৈরি হবে বলেও মনে করছে রাজ্য’। সোমবার সেই নোটিশকে চ্যালেঞ্জ করেই বিচারপতি তপব্রত চক্রবর্তীর এজলাসে বিজেপির পক্ষ থেকে মামলা দ্রুত শোনার আর্জি জানানো হয়। মঙ্গলবার সেই মামলার শুনানি হবে।
আরও পড়ুনঃ বিজেপির ‘রথ যাত্রা’র অনুমতি দিল না মমতা প্রশাসন
অন্যদিকে, প্রধান বিচারপতি দেবাশিস করগুপ্তর ডিভিশন বেঞ্চে এই ‘রথ যাত্রা’ বন্ধ করতে চেয়ে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন আইনজীবী রমাপ্রসাদ সরকার। তার বক্তব্য, এই ‘রথ যাত্রা’র ফলে রাজ্যের আইন শৃংখলার অবনতি ঘটতে পারে। পাশাপাশি জনজীবন স্তব্ধ হয়ে যাবে। সাধারণ মানুষকে অসুবিধার সম্মুখীন হতে হবে। মঙ্গলবার জোড়া মামলার শুনানি সিঙ্গেল ও ডিভিশন বেঞ্চে।
অন্যদিকে, রথের ভবিষ্যৎ পর্যালোচনা করে পরবর্তী পদক্ষেপ স্থির করতে মঙ্গলবারই দিল্লিতে রাজ্য নেতাদের নিয়ে একটি বৈঠক ডেকেছে কেন্দ্রীয় বিজেপি। শিব প্রকাশ, অরবিন্দ মেনন, কৈলাস বিজয়বর্গীয় এবং সুরেশ পূজারী মঙ্গলবারের বৈঠকে থাকবেন। বাংলা থেকে দিলীপ ঘোষ, মুকুল রায় এবং রাহুল সিনহা থাকছেন। প্রস্তাবিত গণতন্ত্র বাঁচাও যাত্রা, তাকে কেন্দ্র করে জটিলতা, মামলার গতিবিধি এবং রাজ্য সরকারের মানসিকতা, সব কিছু মাথায় রেখেই ওই বৈঠকে রণকৌশল নির্ধারণ করা হবে বলে বিজেপি সূত্রের খবর।
আরও পড়ুনঃ শিক্ষিতদের বিধায়ক করল তেলাঙ্গানা, কবে শিখবে বাংলা
একদিকে বিজেপির রাজ্য নেতাদের নিয়ে মঙ্গলবার বৈঠকে বসছেন দলের কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষকরা। অন্যদিকে কলকাতাতেও মঙ্গলবারই শুনানি হতে চলেছে বিজেপির দায়ের করা রথ মামলার। এক দিকে আদালতে দুই বিচারপতির ঘরে চলবে লড়াই, অন্য দিকে দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব রণকৌশল নির্ধারণ করবেন দিল্লিতে। সব মিলিয়ে ঝিরঝিরে বৃষ্টির মধ্যে, মঙ্গলবার দিল্লি ও কলকাতা শুধুই রথময়।
পড়ুন হাড়হিম করা অদ্ভুত সত্য গল্প:
পড়ুন প্রথম পর্বঃ পৃথিবী এগোলেও তান্ত্রিকের কালো জাদু টোনায় ডুবে আফ্রিকা
পড়ুন দ্বিতীয় পর্বঃ পৃথিবী এগোলেও তান্ত্রিকের কালো জাদু টোনায় ডুবে আফ্রিকা
পড়ুন তৃতীয় ও শেষ পর্বঃ পৃথিবী এগোলেও তান্ত্রিকের কালো জাদু টোনায় ডুবে আফ্রিকা