The News বাংলা, নিউ দিল্লিঃ ২০১৭ সালের গুজরাট বিধানসভা নির্বাচনের আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সম্পর্কে ‘জাতি বৈষম্যমূলক’ মন্তব্য করে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন কংগ্রেস নেতা মণিশঙ্কর আয়ার। রাজস্থান বিধানসভা ভোটের আগেও সেই ধারা বজায় রাখলো কংগ্রেস। এবার “নীচু জাতের মোদীর হিন্দু ধর্ম নিয়ে বলার অধিকার নেই”, বলে বিতর্কে প্রবীণ কংগ্রেস নেতা সি পি জোশী।
সম্প্রতি রাজস্থানে একটি নির্বাচনী জনসভায় বক্তৃতা রাখেন প্রবীণ কংগ্রেস নেতা সিপি জোশী। সেখানে তিনি নরেন্দ্র মোদী, উমা ভারতী সহ অন্যান্য বিজেপি নেতাদের নিশানা করে করে বলেন যে, শুধুমাত্র ব্রাহ্মণরাই হিন্দুধর্ম নিয়ে বড়াই করার ক্ষমতা রাখে।
আরও পড়ুনঃ ধর্মান্তরকরণের উদ্দেশ্যে এসে আদিবাসীদের হাতে নিহত মার্কিন খ্রীষ্টান মিশনারী
তিনি বলেন, ধর্মের ব্যাপারে একমাত্র ব্রাহ্মণরাই বিশেষ জ্ঞানের অধিকারী। অতএব নরেন্দ্র মোদী, উমা ভারতীদের মতো অন্য জাতের নেতাদের হিন্দু ধর্ম নিয়ে কথা বলার অধিকার নেই। আর এরকম, চরম জাতিবিদ্বেষ মূলক মন্তব্য করেই বিতর্কে জড়ান এই কংগ্রেস নেতা।
স্বভাবতই অস্বস্তিতে পড়ে বিতর্কে প্রলেপ লাগাতে ময়দানে নামতে হয় স্বয়ং রাহুল গান্ধীকে। শুক্রবার, এই নিয়ে টুইটারে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন তিনি। সেখানে তিনি লেখেন যে, তাঁর দল বিভাজনের আদর্শে বিশ্বাসী করে না। সি পি জোশীর মন্তব্য তাই কংগ্রেসের নীতির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয় বলেই জানিয়ে দিয়েছেন রাহুল।
আরও পড়ুন: ফের ভূস্বর্গে চরম রাজনৈতিক ডামাডোল
দলের অন্যান্য নেতাদেরও তিনি এই ধরনের মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকতে বলেন। বিতর্কিত মন্তব্য নিয়ে সিপি জোশীকে ক্ষমা চেয়ে নেওয়ার কথাও বলা হয়। সভাপতির ক্ষোভ চাপা দিতে সঙ্গে সঙ্গেই ক্ষমা চেয়ে নেন যোশী।
বিতর্কের জল বহুদূর গড়ানোর আগেই অনতিবিলম্বে টুইটারে লিখে ক্ষমা চেয়ে নেন সি পি জোশী। যদিও নিজের বক্তব্যের ভিডিও প্রকাশ করে তিনি বলেন, বিজেপি নেতারাই তার বক্তব্য বিকৃত করে প্রচার চালাচ্ছে। তিনি এরকম কিছুই বলেন নি।
আরও পড়ুন: স্বাধীনতার পর প্রথম মুসলিম মেয়র পেল মমতার কলকাতা
উল্লেখ্য, আগামী ৭ই ডিসেম্বর রাজস্থানে বিধানসভা নির্বাচন। বিভিন্ন প্রাক নির্বাচনী সমীক্ষায় রাজস্থানে কংগ্রেসের পক্ষে পাল্লা ভারী দেখালেও এই ধরনের বক্তব্য ভোটের ফলাফলে প্রভাব ফেলতে পারে বলেই মনে করছে কংগ্রেস নেতৃত্ব।
গত বছর গুজরাট বিধানসভা আগে নরেন্দ্র মোদীকে ‘নীচ ব্যক্তি’ বলে মন্তব্য করেছিলেন প্রবীণ কংগ্রেস নেতা মণিশঙ্কর আইয়ার। তার জল বহুদূর গড়ায়। এক প্রকার বাধ্য হয়েই তাঁকে দল থেকে সাসপেন্ড করা হয়।
এবার যদিও সেরকম কোনো কড়া পদক্ষেপের রাস্তায় হাঁটেনি কংগ্রেস। কিন্তু লজ্জাকর ভাবে আসরে নামতে হল খোদ কংগ্রেস সভাপতিকেই।