ডিএ ‘ডেডলাইনের’ মাত্র ৮ দিন আগে মা-মাটি-মানুষের ‘কারসাজি’, ক্ষুব্ধ সরকারি কর্মীরা। মে মাসের ২০ তারিখে কলকাতা হাইকোর্ট রায় দিয়েছিল, রাজ্য সরকারি কর্মীদের বকেয়া মহার্ঘ ভাতা (ডিএ) মিটিয়ে দিতে হবে। তিন মাসের মধ্য়ে স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইবুনালের (স্যাট) রায় কার্যকর করার, নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট। হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ খুব স্পষ্টভাবে বলেছিল, ‘মহার্ঘ ভাতা, রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের আইনত অধিকার, মৌলিক অধিকার’। হাতে তিনমাস সময় ছিল, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের কাছে। কিন্তু হাইকোর্টের রায়ে বকেয়া মহার্ঘ ভাতা মিটিয়ে দেওয়ার সেই সময়সীমা শেষ হওয়ার, মাত্র আটদিন আগে রায় পুনর্বিবেচনার আর্জি দাখিল করল নবান্ন। আর তাতেই রীতিমতো ক্ষোভপ্রকাশ করেছেন রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা।
২০০৯ সালের জুলাই মাস থেকে, বাকি রয়েছে ডিএ বা মহার্ঘ ভাতা। এরিয়ার সহ সেই ডিএ মেটানোর দাবিতে, আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন সরকারি কর্মীরা। আবেদনে বলা ছিল, কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীরা ৩৪ শতাংশ হারে ডিএ পান। পশ্চিমবঙ্গ সরকার মাঝে ডিএ বাড়ালেও, এখনও কেন্দ্রের তুলনায় রাজ্যের কর্মীরা ৩১ শতাংশ কম পান। হাইকোর্টে বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন এবং বিচারপতি রবীন্দ্রনাথ সামন্তের ডিভিশন বেঞ্চ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারকে তিনমাস সময় দেয়, বকেয়া ডিএ মিটিয়ে দেবার জন্য।
আরও পড়ুন; ক্ষমতায় এসে সম্পত্তি বেড়েছে বহুগুণ, মামলায় গোয়েন্দাদের বাদ দিতে আদালতে মন্ত্রীরা
কিন্তু সেই তিনমাস সময় থেকে মাত্র ৮দিন আগে, ফের আদালতে গেল রাজ্য।আর এতেই বেজায় চটেছেন, রাজ্যের সরকারি কর্মীরা। মা-মাটি-মানুষের এই ‘কারসাজি’-তে, ক্ষুব্ধ সরকারি কর্মীরা।