মানুষের জন্য নয়, শুধু রাজ্যপালকে বিভিন্ন জায়গা থেকে সরাতেই একের পর এক বিল মমতার

300
মানুষের জন্য নয়, শুধু রাজ্যপালকে বিভিন্ন জায়গা থেকে সরাতেই একের পর এক বিল মমতার
মানুষের জন্য নয়, শুধু রাজ্যপালকে বিভিন্ন জায়গা থেকে সরাতেই একের পর এক বিল মমতার

“মানুষের জন্য নয়, শুধু রাজ্যপালকে বিভিন্ন জায়গা থেকে সরাতেই; একের পর এক বোল মমতার”, অভিযোগ রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর। এবার রাজ্যের ল্যান্ড রিফর্ম ট্রাইব্যুনালের নিয়োগ কর্তার পদ থেকেও; রাজ্যপালকে সরানোর প্রস্তুতি শুরু করল মা মাটি মানুষের সরকার। রাজ্য সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্য পদের পর; এবার ল্যান্ড রিফর্ম ট্রাইব্যুনালের নিয়োগ কর্তার পদ থেকেও রাজ্যপালকে সরাতে বিল আনছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার। আর এই নিয়ে সরব বিরোধী বিজেপি; ও বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

জুন মাসের শুরুতেই, রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রীকে; রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্য নিয়োগের সিদ্ধান্ত হয়। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু জানান, সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়েছে এই সিদ্ধান্ত; বিধানসভায় এই মর্মে বিল আসবে বলে জানিয়েছিলেন তিনি। সেই অনুযায়ী ১৩ই জুন সোমবার, পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার বাদল অধিবেশনে; মুখ্যমন্ত্রীকে রাজ্যের ৩১টি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য করতে পেশ হয় বিল। প্রায় ২ ঘণ্টা বিতর্কের পর; ভোটভুটিতে প্রত্যাশিতভাবেই পাশ হয়ে যায় বিলটি।

পরের দিন ১৪ই জুন মঙ্গলবার, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে রাজ্যপালের জায়গায়; উচ্চশিক্ষা মন্ত্রীকে ভিজিটর পদে বসাতে বিধানসভায় বিল পাস হয়। বিধানসভায় বিল পেশ করেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু; এই বিলে বলা হয়েছে, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিজিটর হবেন রাজ্যের উচ্চ শিক্ষামন্ত্রী। বিশ্ববিদ্যালয় সংক্রান্ত যে কোনও তথ্য বা নথি চাইতে পারবেন তিনি।

আরও পড়ুনঃ বেমালুম উধাও হয়ে যান শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়-কে ইঞ্জেকশন দেওয়া নার্স রাজদুলারী টিকু

১৬ই জুন প্রাণী ও মৎস্য বিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য পদে; মুখ্যমন্ত্রীকে বসানো সংক্রান্ত বিলও পাস হয়েছে বিধানসভায়। আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়েরও আচার্য হবেন মুখ্যমন্ত্রী; এই বিল আনার সিদ্ধান্ত হয়ে গেছে মন্ত্রিসভায়। অর্থাৎ রাজ্যের বিভিন্ন সংস্থা থেকেই, রাজ্যপালকে সরানোর জন্য একের পর এক বিল আনছে; মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার।

এতদিন, কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে; ল্যান্ড রিফর্ম ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান এবং জুডিশিয়াল মেম্বারদের নিয়োগ করতেন রাজ্যপাল। এবার, রাজ্যপালের সেই ক্ষমতা খর্ব করার প্রক্রিয়া শুরু হল; এরজন্যও আসছে নতুন এক বিল। এরপরেই রাজ্য সরকারকে একহাত নেন শুভেন্দু অধিকারী; বলেন, “মানুষের জন্য নয়, শুধু রাজ্যপালকে বিভিন্ন জায়গা থেকে সরাতেই; একের পর এক বিল মমতার”। “রাজ্যপাল থেকেও বিজেপির হয়ে কাজ করছে; তাই কি গায়ে লাগছে”; বক্তব্য তৃণমূল নেতাদের।

Comments

comments

আপনাদের মতামত জানাতে কমেন্ট করুন