‘অবরোধ উঠে গেছে’; কলকাতা ট্রাফিক পুলিশের পোস্টে ধুয়ে দিলেন সাধারণ মানুষ। কেউ লিখেছেন; “লজ্জা করে না আপনাদের”। কেউ লিখেছেন; “রোদ্দুর রায়ের পিছনে পুলিশ না পাঠিয়ে ওখানে পাঠান, কাজে দেবে”। অনেকের মন্তব্য; “অসংখ্য ধন্যবাদ দুপুর ১টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত এই কর্মকাণ্ড দেখে যাওয়ার জন্য”। কারো বক্তব্য; “কাল সকালে বাইক ধরবেন লাইন দিয়ে; কিছু তো একটা করতে হবে নাকি”। অনেকেই লিখেছেন; “আপনাদের ব্যর্থতাকে একজন ভারতীয় বাঙালি হিসাবে কুর্নিস জানাই; রাজ্যের প্রশাসন এবং প্রসাশক দুজনেই ব্যর্থ অবরোধ তুলতে”। “নির্লজ্জ্ব দালালির স্পষ্ট নিদর্শন। ছিঃ”; এমন মন্তব্যও দেখা গেল।
কলকাতা ট্রাফিক পুলিশের পোস্টে গিয়ে; যাতা লিখে এলেন বাংলার মানুষ। সোজা কোথায় ট্রাফিক পুলিশকে তুলধোনা করে দিলেন; বাংলার আমজনতা। ঘটনাটা কি? বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে প্রায় রাত ৮টা পর্যন্ত; চলে জাতীয় সড়ক অবরোধ। ডোমজুড়-সহ বিভিন্ন জায়গায় অবরোধের জেরে; ১২ ঘণ্টা অবরুদ্ধ থাকে ৬ নম্বর জাতীয় সড়ক।
আরও পড়ুনঃ পিছু ছাড়ছে না কেকে-বিতর্ক, বাদ রূপঙ্কর এলেন অরিজিৎ সিং
প্রায় ১২ ঘণ্টার অবরোধে; চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয় হাজার-হাজার সাধারণ মানুষকে। আটকে পরে অ্যাম্বুলেন্স, দমকলের গাড়ি; হাজার-হাজার বয়স্ক পুরুষ মহিলা, বাচ্চা। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে, রাস্তা অবরোধ করে; আন্দোলন একেবারেই নিষিদ্ধ। কিন্তু বৃহস্পতিবার এক স্বঘোষিত ইমামের ডাকা, জাতীয় সড়ক অবরোধ তুলতে; কিছুই করেনি রাজ্য পুলিশ প্রশাসন।
আরও পড়ুনঃ রাজ্য পুলিশের কনস্টেবল সায়গল হোসেন গ্রেফতার, অনুব্রতর রক্ষী হতেই অগাধ সম্পত্তি
রাত ১০টা নাগাদ; ট্রাফিক আপডেট দেয়; কলকাতা ট্রাফিক পুলিশ। সেখানে লেখা হয়; Traffic update: Road blockade withdrawn near from Nibra Crossing, traffic plying normally on 2nd Hooghly bridge towards Howrah।
এরপরেই ক্ষোভে ফুঁসে ওঠে আমজনতা। যে যেমন পারেন; লিখে আসেন কলকাতা ট্রাফিক পুলিশের পেজে। প্রত্যেকেই ধুয়ে দেন; কলকাতা ট্রাফিক পুলিশকে। অনেকেই লিখেছেন, “লজ্জা লাগে না আপনাদের; চুপ করে বসে মজা দেখতে”? অনেকেই সরাসরি ‘ছিঃ’ লিখেছেন পুলিশের উদ্দ্যেশ্যে। এর দ্বারাই বোঝা যায়, জাতীয় সড়ক অবরোধ কাণ্ডে; কতটা ক্ষুব্ধ বাংলার সাধারণ মানুষ। তারা কলকাতা পুলিশের পেজে গিয়েও; কড়া সমালোচনা করতে ছাড়ছেন না।