রাজ্যপাল আর নয়, বাংলার বিশ্ববিদ্যালগুলির আচার্য হবেন মুখ্যমন্ত্রী

314
রাজ্যপাল আর নয়, বিশ্ববিদ্যালগুলির আচার্য হবেন মুখ্যমন্ত্রী, অনুমোদন মমতার মন্ত্রিসভার
রাজ্যপাল আর নয়, বিশ্ববিদ্যালগুলির আচার্য হবেন মুখ্যমন্ত্রী, অনুমোদন মমতার মন্ত্রিসভার

রাজ্যপাল আর নয়, বিশ্ববিদ্যালগুলির আচার্য হবেন মুখ্যমন্ত্রী; অনুমোদন মমতার মন্ত্রিসভার। পদাধিকার বলে, রাজ্যের সব বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য হলেন; রাজ্যের রাজ্যপাল। বহুদিন থেকেই এই নিয়ম চলে আসছে। এবার রাজ্যের সমস্ত সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য পদ থেকে; রাজ্যপালকে সরাতে চায় রাজ্য সরকার। সেই পদে মুখ্যমন্ত্রীকে আনতে চাওয়া হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীই হবেন সব বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য; এই নিয়ে প্রস্তাবও পাশ হয়েছে রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে।

শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেছেন, “রাজ্যের সমস্ত সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের; আচার্য হবেন মুখ্যমন্ত্রী। আজকে রাজ্যের মন্ত্রিসভা সর্বসম্মতিক্রমে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে”। বৃহস্পতিবার রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে, সংক্ষিপ্ত এক সাংবাদিক বৈঠকে ব্রাত্য বসু বলেন; “আজকে রাজ্যপালের জায়গায় মুখ্যমন্ত্রীকে; রাজ্যের সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্য নিয়োগের প্রস্তাব সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়েছে। এরপর বিষয়টি বিল আকারে, বিধানসভায় পেশ করা হবে; তার পর আইনের আকার নেবে এই প্রস্তাব।

আরও পড়ুনঃ ট্যাংরার ট্রাক ভর্তি লোকের শাস্তি হয়নি, বেঁচে ফিরে নতুন জন্ম দিচ্ছেন পরিবহ মুখোপাধ্যায়

রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্তের জেরে রাজ্য-রাজ্যপাল দ্বন্দ্ব; নতুন শিখরে পৌঁছল বলেই মনে করছেন অনেকে। সংশোধিত আইনটি কার্যকর হলে, রাজ্যের সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের; আচার্য বা চ্যান্সেলর পদে বসবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। অর্থাৎ রাজ্যের শিক্ষাক্ষেত্র-কে, রাজভবনের ঘেরাটোপ থেকে; বের করে আনতে তৎপর হল রাজ্য সরকার।

আরও পড়ুনঃ ঘটা করে শিল্প সম্মেলনই সার, শিল্পে দেশের মধ্যে ‘পিছিয়ে বাংলা’

তবে আইনজ্ঞরা বলছেন; বিষয়টি অতটা সহজ নয়। রাজ্যপালকে সরাতে বিধানসভায় বিল পাশ করিয়ে; সেই বিল পাঠাতে হবে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের কাছেই। আর তাতে রাজ্যপাল সই না করলে; অর্ডিনান্স জারি করতে হবে সরকারকে। কিন্তু ২ দফার বেশি জারি করা যাবে না, একই অর্ডিন্যান্স। ততদিনে ধনখড়ের রাজ্যপাল হিসাবে, মেয়াদও ফুরিয়ে যাবে; তারপর এই বিলের প্রাসঙ্গিকতা নাও থাকতে পারে।

রাজ্য মন্ত্রিসভার এই সিদ্ধান্তের কথা জেনে, সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন; “মুখ্যমন্ত্রী ভাবছেন প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্কুলেই যদি এত টাকা থাকে, তাহলে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে; না জানি কত টাকা রয়েছে। তাই তিনি ঝাঁপিয়ে পড়েছেন; কলঙ্কের এটুকুই বা আর বাকি থাকে কেন”? বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য বলেছেন; “একাধিক দুর্নীতির অভিযোগে বিদ্ধ এই সরকার; নজর ঘোরানোর জন্য এমন পদক্ষেপ। সাংবিধানিক পদকে এঁরা মানেন না”।

Comments

comments

আপনাদের মতামত জানাতে কমেন্ট করুন