মুম্বাইয়ের পর কলকাতায় অফিস খুলতে চলেছে যোগী আদিত্যনাথের উত্তরপ্রদেশ সরকার

431
মুম্বাইয়ের পর কলকাতায় অফিস খুলতে চলেছে যোগী আদিত্যনাথের উত্তরপ্রদেশ সরকার
মুম্বাইয়ের পর কলকাতায় অফিস খুলতে চলেছে যোগী আদিত্যনাথের উত্তরপ্রদেশ সরকার

মুম্বাইয়ের পর কলকাতায় অফিস খুলতে চলেছে; যোগী আদিত্যনাথের উত্তরপ্রদেশ সরকার। উত্তরপ্রদেশ থেকে বহু মানুষ, এই রাজ্যে আসেন; কাজের তাগিদে। কেউ আসেন ব্যবসার স্বার্থে; কেউ আসেন শ্রমিকের কাজ করতে; কেউ আসেন চাকরির স্বার্থে। বাংলায় বসবাসকারী উত্তরপ্রদেশের সেইসব নাগরিকদের সুবিধার্থে; কলকাতায় একটি অফিস খুলতে পারে যোগী আদিত্যনাথ সরকার। উত্তরপ্রদেশের উপমুখ্যমন্ত্রী ব্রজেশ পাঠক; নিজেই একথা জানিয়েছেন।

পেটের তাগিদে দেশের বিভিন্ন কোণে ছড়িয়ে রয়েছেন; উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দারা। তাঁদের সঙ্গে উত্তরপ্রদেশ সরকারের যোগাযোগকে; আরও মসৃণ করতে বিভিন্ন রাজ্যে দফতর তৈরির পথে চলছে যোগী আদিত্যনাথের সরকার। মহারাষ্ট্রের রাজধানী মুম্বইয়ে; এমন একটি কার্যালয় তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আগামী দিনে এমন কার্যালয় হতে পারে কলকাতাতেও। এমনই মন্তব্য করলেন উত্তরপ্রদেশের উপমুখ্যমন্ত্রী ব্রজেশ পাঠক।

শুধু বাংলা নয়। পেটের তাগিদে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে; ছড়িয়ে রয়েছেন উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দারা। মুম্বই শহরেই অন্তত ৫০ থেকে ৬০ লক্ষ মানুষ থাকেন, কাজ করেন; যাঁদের আদি বাড়ি উত্তরপ্রদেশে। তাঁদের সুবিধার জন্য এ বার মুম্বইয়ে তৈরি হতে চলেছে; যোগী আদিত্যনাথ সরকারের অফিস। এ কথা সম্প্রতি জানিয়েছে উত্তরপ্রদেশের সরকার।

এই প্রসঙ্গেই সাক্ষাৎকারে ব্রজেশ বলেন; “ব্যবসা কিংবা চাকরির জন্য উত্তরপ্রদেশের অনেক মানুষ; রাজ্যের বাইরে বসবাস করেন। তাঁদের সঙ্গে উত্তরপ্রদেশ সরকারের যোগাযোগ, আরও মসৃণ করতে; এবার উদ্যোগী হয়েছে আদিত্যনাথের সরকার। তাঁরা কোনও সমস্যায় পড়লে যাতে দ্রুত তাঁদের সহায়তা পৌঁছে দেওয়া যায়; তা নিশ্চিত করতে মুম্বইয়ে অফিস করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি”। মুম্বাইয়ের পর এবার কলকাতা বা দিল্লিতেও; এই ধরনের অফিস খোলা হতে পারে বলে জানিয়েছেন উত্তরপ্রদেশের উপমুখ্যমন্ত্রী ব্রজেশ পাঠক।

এক সাক্ষাৎকারে ব্রজেশ পাঠক জানিয়েছেন; “মুম্বইয়ে যেমন ইউপি ভবন তৈরি হবে; আগামী দিনে তেমন কলকাতা বা দিল্লিতেও হতে পারে। সেখানে উত্তরপ্রদেশের অনাবাসী বাসিন্দারা গিয়ে থাকতে পারবেন। কোনও সমস্যায় পড়লে সরাসরি উত্তরপ্রদেশ সরকারের সঙ্গে; যোগাযোগ করতে পারবেন”।

উত্তরপ্রদেশ সরকার বারবার দাবি করে আসছে; ‘যোগীর আমলে রাজ্যে কর্মসংস্থান বেড়েছে’। অথচ, সেই যোগী সরকারই ভিনরাজ্যে পেটের দায়ে কাজ করতে যাওয়া মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ রাখার জন্য; দেশের বিভিন্ন শহরে অফিস খোলার সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি ঘুরিয়ে রাজ্যে কর্মসংস্থানের বেহাল দশার কথা; স্বীকার করে নিল যোগী আদিত্যনাথ সরকার?

Comments

comments

আপনাদের মতামত জানাতে কমেন্ট করুন