জ্যোতি বসু স্মারক মিউজিয়ামের নির্মাণে, জমি সমস্যা সমাধানে; শুক্রবার বিধানসভায় সিপিএম নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন; মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৈঠকে ছিলেন সুজন চক্রবর্তী, অশোক ভট্টাচার্য ও রবীন দেব। বিধানসভায় সিপিএম নেতাদের সঙ্গে; নিজের ঘরে আলোচনায় বসেন মমতা।
জ্যোতি বসু স্মারক মিউজিয়ামের নির্মাণের জন্য; একটি জমি বরাদ্ধ হয় ২০১১ সালে। সিপিএম এর অভিযোগ, এই জমি ৮ বছর আগে বরাদ্ধ হলেও; আজও পাওয়া যায়নি ওই জমিটি।
আরও পড়ুনঃ আসগর শেখকে জয় শ্রী রাম বলিয়ে গ্রেফতার আপসি মিঞা
এই ইস্যুতেই শুক্রবার বিধানসভায় সিপিএম নেতাদের সঙ্গে; নিজের ঘরে আলোচনায় বসেন মুখ্যমন্ত্রী। শুরুতে আলোচনার বিষয়বস্তু নিয়ে জল্পনা থাকলেও; পরে জানা যায়, একগুচ্ছ অভিযোগ ও বিভিন্ন ইস্যুতে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে এই বৈঠক করে সিপিএমের নেতারা।
মূলত ২০১১ সালে বরাদ্ধ হওয়া; জ্যোতি বসু স্মারক মিউজিয়ামের জমি জট কাটাতেই; এই বৈঠকে বসে বাম ও মমতা। বেশ কিছুদিন থেকেই এই আলোচনা চাইছিল বামেরা। সেই মত শুক্রবার নিজেই সময় দেন মুখ্যমন্ত্রী।
আরও পড়ুনঃ কন্যাশ্রী দিয়েও আটকানো যাচ্ছে না নাবালিকার বিয়ে
বিজেপিকে রুখতে মুখ্যমন্ত্রীর রাজনৈতিক বার্তাকে বিকৃতির অভিযোগ ঘিরে বৃহস্পতিবার উত্তাল হয় বিধানসভা। তারপরেই শুক্রবার বিধানসভায় সিপিএম নেতাদের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর নিয়ে জোটের গুঞ্জন শুরু হয়।
পরে বাম নেতারা জানান; রাজ্যে সরকারী বাম কর্মচারীদের বিরুদ্ধে; বৈষম্যমূলক আচরণ চলছে। এছাড়াও রাজ্য প্রশাসনের বিরুদ্ধে; বহু অভিযোগ সিপিএম নেতাদের। রাজারহাটে জ্যোতি বসু স্মারক মিউজিয়ামের জমি জটও ছিল; এই আলোচনার বিষয়।
আরও পড়ুনঃ রঙিন চুল নিয়ে বিপাকে পড়ল শিলিগুড়ির স্কুল পড়ুয়ারা
শিলিগুড়ি পুরসভা তার প্রাপ্য টাকা পাচ্ছে না; বলেও অভিযোগ বামেদের। শুক্রবার বিধানসভার বৈঠকে সে বিষয়েও; মমতার সঙ্গে আলোচনা করেন বাম নেতারা। তবে শুধুমাত্র এই আলোচনাতেই সমাধানের রাস্তা বেরোবে কিনা; তা এখনও স্পষ্ট নয়। যদিও মনে করা হচ্ছে বিধানসভা ভোটের আগে; বামেদের সঙ্গে কোনরকম দ্বন্ধে যাবেন না তৃণমূল নেত্রী।
এদিকে দুদিন আগেই, বাম কংগ্রেস এর সঙ্গে জোটের ইঙ্গিত দিয়েছিলেন মমতা। শুক্রবার ৮ বছর পুরনো জমি সমস্যার জন্য আলোচনাও করলেন। আর এই নিয়েই বিজেপির দাবী; “রাজ্যে বিজেপির উত্থান দেখেই বাম ও কংগ্রেসকে কাছে টানছেন মুখ্যমন্ত্রী। মনে পরেছে জ্যোতি বাসুকেও”।