The News বাংলা: পর্যটন এখন আর শুধুমাত্র ঘুরে বেড়ানোর মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। পর্যটনে এখন লেগেছে উদ্দাম যৌনতার ছোঁয়া। পর্যটন ও সেক্স এর টানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পাড়ি জমাচ্ছেন পর্যটকরা। কোন কোন দেশ পছন্দ তাদের?
আরও পড়ুনঃ ভ্রমন আরও সুন্দর করার জন্য কিছু টিপস মনে রাখুন
এক নজরে দেখে নিই যৌনতা কেন্দ্রিক বিনোদনের জন্য বিশ্বের সেরা ২০ টি ঠিকানাঃ
১. কিউবা নিঃসর্গ, সংস্কৃতি ও চুরুটের স্বর্গরাজ্য হিসাবে খ্যাত দ্বীপরাষ্ট্র কিউবায় প্রতিবছর পাড়ি জমান বিশ্বের অজস্র পর্যটক। তবে এদের বড় একটি অংশ আসেন যৌনতার আকর্ষণে। শুধু প্রাপ্তবয়স্ক নয়, মনপসন্দ নাবালক যৌনসঙ্গীও সুলভে মেলে এই দেশে।
আরও পড়ুনঃ বউয়ের জন্য সিঁদুর পরে হিন্দু প্রথা ভাঙলেন রণবীর সিং
২. রাশিয়া গত এক দশকে রাশিয়ায় দেহব্যবসার রমরমা শুরু হয়েছে। মূলত উত্তর আমেরিকা ও ইউরোপের অন্যান্য দেশের পর্যটকরাই এখানে যৌনতার টানে ছুটে আসেন। তবে রুশ যৌন বাজারে দালালদের দাপট বেশি। তাই, দালাল থেকে সাবধান থাকাটা খুব দরকার৷
আরও পড়ুন: বিশ্বে আলোড়ন ফেলে চুমু খেতে রাজি সোফিয়া
৩. আর্জেন্টিনা ১৯৮৭ সাল থেকে এ দেশে বৈধতা পেয়েছে সমকামিতা। এই কারণে প্রাপ্তবয়স্ক ও নাবালক যৌনসঙ্গীর পাশাপাশি আর্জেন্টিনায় সমকামী দেহব্যবসায়ীদের চাহিদাও তুঙ্গে। সরকারের পক্ষ থেকেও সমকামী পর্যটকদের আকর্ষণ করতে নানান উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। যৌন পর্যটনের হাত ধরেই অর্থনীতি চাঙ্গা করতে চাইছে মারাদোনা ও মেসির দেশ।
৪. বুলগেরিয়া যৌন পর্যটনের পীঠস্থান সানি বিচ রিসোর্ট ঘিরে তৈরি হয়েছে বাস্তব ও কল্পনার অভাবনীয় মিশেল। শোনা যায়, এই সৈকতে প্রতিদিন কয়েক হাজার দেহব্যবসায়ী ভিড় জমান। তাঁদের অনেকেই আসেন প্রতিবেশী দেশ থেকেও।
আরও পড়ুন: ইনিই এই মুহূর্তে বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী মুসলিম
৫. দক্ষিণ কোরিয়া এ দেশে যৌনতা নিয়ে শুচিবায়ু নেই। ক্ষণিকের শয্যাসঙ্গী জোগাড় করতে বিশেষ পরিশ্রম করতে হয় না। গুরুত্বপূর্ণ শহরগুলিতে রয়েছে একাধিক এসকর্ট সার্ভিসের ব্যবস্থা। হোটেলে কয়েক ঘণ্টার জন্য ঘর ভাড়াও মেলে সুলভে।
৬. কলম্বিয়া অন্যান্য দেশের তুলনায় সস্তা বলে যৌন পর্যটনস্থল হিসেবে ইদানীং জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে এই দেশ। দরিদ্র দেশে এসে নামমাত্র খরচে দেদার ফূর্তি লুটতে প্রতিবছর কলম্বিয়া পাড়ি জমান ইউরোপ ও আমেরিকার পর্যটকরা।
আরও পড়ুনঃ বয়সে এক যুগের ফারাকে বিয়ের পিঁড়িতে মালাইকা অর্জুন
৭. কম্বোডিয়া দুনিয়ার অন্যতম বড় যৌন ব্যবসা চালায় এই দেশ। কিন্তু তার বেশির ভাগই অবৈধ। তবে আইনের ফাঁক গলে অবাধ যৌনতার হাতছানিতে সাড়া দিতে প্রতিবছর ছুটে আসেন বিশ্বের কামতাড়িত মানুষ।
৮. প্রাহা স্লোভাকিয়ার প্রাহা শহর ১৯৮৯ সাল থেকেই ইউরোপের যৌনতার রাজধানী তকমা পেয়েছে। অসংখ্য জেন্টলম্যানস ক্লাব অথবা রিল্যাক্সেশন ক্লাবে অল্প খরচে শরীরী বিনোদনের সম্ভার মেলে। হিংসাত্মক ঘটনাও এখানে সংখ্যায় খুব কম।
আরও পড়ুনঃ দীপিকা কি গর্ভবতী? রণবীরের সন্তানের মা হবেন দীপিকা?
৯. নেপাল রাজধানী কাঠমান্ডু এবং পোখরা ও তরাইয়ের শহরাঞ্চলে দেহব্যবসা রমরমা। বাণিজ্য জমে উঠে হোটেলের দামি ঘর থেকে শুরু করে নিষিদ্ধপল্লীর অন্ধকার আস্তানামায় যৌন ব্যবসায়ীর বসত ভিটেতেও। কাঠমান্ডুর থামেলে ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে উঠেছে ম্যাসাজ পার্লার, যেখানে অবৈধ দেহব্যবসার পসার সাজানো। এ ছাড়া বিভিন্ন রেস্তোরাঁর কেবিন ও ডান্স বারগুলিতেও মিলবে অফুরন্ত দেহজ বিনোদনের সম্ভার।
১০. থাইল্যান্ড দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে যৌনতার নয়া ঠিকানা হিসেবে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে থাইল্যান্ড। ব্যাঙ্ককের বিখ্যাত দপিং পিংদ শো-ই হোক অথবা বিভিন্ন স্পা-এর ছদ্মবেশে যৌনতার আস্তানা। দেশজুড়ে অবাধ ও নিরাপদ দেহব্যবসার রমরমা বছরভর। তাই দেশটি বিশ্বের নানা দেশের নারী-পুরুষরকে সহজেই আকৃষ্ট করছে।
আরও পড়ুনঃ রাখীকে চুমু খেয়ে বিতর্কে আসা মিকা এবার যৌন হেনস্থার দায়ে জেলে
১১. জামাইকা শুধুমাত্র দেশের দেহব্যবসায়ীরাই নন, ভ্রমণরত বহু মহিলা পর্যটকও এ দেশে শরীর বিকোতে দ্বিধাবোধ করেন না। তাই দেশটি বিশ্বের নানা দেশের নারী-পুরুষরকে সহজেই আকৃষ্ট করছে।
১২. কেনিয়া আফ্রিকার এই দেশে যৌন ব্যবসার নানান রূপ। স্ট্রিপ ডান্সবার থেকে শুরু করে বিভিন্ন রিসোর্ট ও স্পা-তে সুলভে দৈহিক চাহিদা পূরণের ব্যবস্থা রয়েছে এখানে। এমনকি ছুটি কাটাতে এসে টানা কয়েক দিনের জন্যও সঙ্গী মেলে কেনিয়ায়।
১৩. লাস ভেগাস আমেরিকার এই শহর সব পেয়েছির ঠিকানা। শহরে যৌনতার রমরমা সম্পর্কে ইঙ্গিত করতে বলা হয়, হোয়াট হেপেনস ইন ভোস, রিমেইনস ইন ভেগাস। এখানে যৌনতা শুধু ব্যবসা অথবা বিনোদন নয়, শরীরী ভাষা উদযাপনেরও মাধ্যম। মরুভূমি অধ্যূষিত নিসর্গে অচেনা সঙ্গীর দেহজ সান্নিধ্য বেঁচে থাকার ক্ষণিক রসদ জোগায় বই কি!
১৪. গ্রিস ব্যবসায়িক যৌনতা বৈধ গ্রিসে। প্রতি ২ সপ্তাহ অন্তর অন্তর চিকিতৎসকরা দেহপসারীনিদের বিনামূল্যে পরীক্ষা করেন। তবে এখানে বহু মহিলাই বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে পাচার হয়ে আসেন। গ্রিসের দেহ-দাস প্রথার বিরুদ্ধে আন্দোলনে শামিল হয়েছেন মানবাধিকারকর্মীরা।
আরও পড়ুন: লাইফ বিয়ন্ড ডেথ’, কী ভাবে জানবেন মৃত্যুর পর কী
১৫. তেল আবিভ গোটা ইজরায়েলের মতোই এই শহরেও যৌনতা নিয়ে কোনো লুকোছাপা নেই। বিশ্বের যৌন পর্যটনের তালিকায় অবশ্য সদ্য নাম তুলেছে তেল আবিভ।
১৬. বাহারিন তথাকথিত রক্ষণশীল এই দেশটিতে ইদানীং দেহব্যবসা বেশ রমরমা। খরচও পড়ে ইউরোপের যে কোন শহরের তুলনায় অনেক কম।
১৭. জাপান বিশ্বের যৌন পর্যটন মানচিত্রে জাপানি সেক্স ট্যুরের চাহিদা এখন প্রবল। দস্তুর মতো পরিকল্পনার মাধ্যমে বিভিন্ন বাজেটের যৌন পর্যটনের ব্যবস্থা রয়েছে এ দেশে।
আরও পড়ুনঃ ‘পেলেই ছিঁড়ে খাবে’, কঠিন লড়াই করে বেঁচে ইরাকের নারীরা
১৮. ব্রাজিল শুধুমাত্র ফুটবল বা কফি নয়, লাতিন সুন্দরীদের দেহের ভাঁজে কুপোকাত গোটা দুনিয়া। এই বিষয়টি মাথায় রেখেই যৌন পর্যটনের অন্যতম সেরা ঠিকানা হিসেবে গত এক দশকে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে ব্রাজিল। দেহ-বিলাসের বিবিধ উপকরণের সম্ভার আছে এখানে।
১৯. কোস্টারিকা জলপাই রঙা ত্বক, ভরাট নিতম্ব ও গভীর স্তন বিভাজিকায় সমৃদ্ধ সে দেশের নারী। দেহব্যবসার হাত ধরে দেদার ডলার কামাচ্ছে দেশটি।
২০. কানাডা যৌনতার বাজারে সবে খাতা খুলেছে কানাডা। আমেরিকানরাই এখানকার দেহব্যবসায়ীদের প্রধান খদ্দের। যৌনতা সম্পর্কে এখানকার ঢিলেঢালা আইন প্রতিবছর কাতারে কাতারে পর্যটককে আকর্ষণ করছে কানাডার নানা প্রান্তে।