প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ডাকা; সর্বদলীয় বৈঠকে যোগ দিচ্ছেন না মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আগামী ১৯শে জুলাই দেশের প্রতিটি দলের; নেতা নেত্রীদের সঙ্গে বৈঠক করতে চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
তৃনমূল-কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও আমন্ত্রণ জানান তিনি। কিন্তু মমতা মঙ্গলবার জানিয়ে দিলেন তিনি ওই বৈঠকে যাচ্ছেন না। সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশীকে চিঠি দিয়ে একথা জানিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী নিজেই।
আরও পড়ুন: পাকিস্তানি নারীরা বিয়েতে বিক্রি হচ্ছে চীনে, সহ্য করছে ধর্ষণ
মমতা জানিয়েছেন; বৈঠকের আলোচ্যসূচি খতিয়ে দেখার পরই তাঁর এই সিদ্ধান্ত। ‘এক দেশ এক নির্বাচন’ নিয়ে এত অল্প সময়ের মধ্যে মতামত দেওয়া সম্ভব না; বলে জানিয়েছেন মাননীয়া। বিষয়টি নিয়ে সংবিধান ও নির্বাচন বিশেষজ্ঞ ও সর্বোপরি; দলীয় কর্মীদের সঙ্গে আলোচনা করা দরকার। তিনি প্রধানমন্ত্রীকে শ্বেতপত্র প্রকাশের আবেদন করেন। তাতে মতামত দেওয়ার জন্য; সব দলকে যথেষ্ট সময় দেওয়ার কথাও বলেন তিনি।
আরও পড়ুন: মানুষের ক্ষতি করে, হাসপাতালে ডাক্তারদের নিরাপত্তা নয় জানাল সুপ্রিম কোর্ট
কেন্দ্রীয় সরকার সূত্রে জানা গিয়েছে; প্রধানমন্ত্রী ওইদিন যে যে বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনা করতে চান; তার মধ্যে অন্যতম ‘এক দেশ এক নির্বাচন’। মোদী তাঁর প্রধানমন্ত্রিত্বের প্রথম থেকেই; একসঙ্গে সমস্ত রাজ্যের বিধানসভা ও লোকসভার নির্বাচন করতে আগ্রহী। এতে সময় ও খরচ দুইই বাঁচে। আবার উন্নয়নের কাজও কম বাধাপ্রাপ্ত হয়।
আরও পড়ুন: কাশ্মীরে ফের সন্ত্রাসবাদী হামলা, ভারতীয় সেনার হাতে নিকেশ তিন জঙ্গি
বিরোধী দলগুলোর মতামতের জন্য; এই বৈঠক ডেকেছেন মোদী। এছাড়াও সরকার আগামী দিনে কী বিল আনতে চলেছে; কোন বিলে কার আপত্তি; তা প্রধানমন্ত্রী আগে থেকে জেনে নিতে চাইছেন। কয়েকদিন আগে মুখ্যমন্ত্রীকে ডাকা হয়; নীতি আয়োগ বৈঠকেও। সেখানেও যাননি তিনি। বলেছিলেন, “নীতি আয়োগ কোনও কাজের কাজ করে না। যোজনা কমিশন তবু কিছু কাজ করত”।
আরও পড়ুন: পুলওয়ামা কান্ডে জঙ্গিদের ব্যবহৃত গাড়ির মালিককে খতম করল ভারতীয় সেনা
রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে; তৃণমূল কংগ্রেস কেন্দ্রকে কোনরকম সাহায্য করবে না বলেই এই সিদ্ধান্ত। অবশ্য বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসু বলেছেন; দিল্লি যাওয়ার মুখ নেই মমতার। মোদীকে ‘এক্সপায়ারি প্রধানমন্ত্রী’ বলেছিলেন তিনি। তাই তাঁর ডাকা মিটিং-এ এখন; যেতে হয়ত লজ্জা পাচ্ছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।