ভারতের মহাকাশ দুনিয়ায়; যোগ হল নতুন পালক। বড় পদক্ষেপ ভারতীয় মহাকাশ বিজ্ঞানীদের। সূদুর মহাকাশে তৈরি হবে ভারতের নিজেস্ব স্পেস স্টেশন; জানালেন ইসরো প্রধান কে. সিভান।
শুক্রবার কে. সিভান জানান; ২০৩০ সালের মধ্যে ২০ টনের স্পেস স্টেশন চালু করার কাজ চলছে। এটি মাইক্রগ্রাভিটি পরীক্ষার জন্য ব্যবহার হবে। প্রাথমিকভাবে মহাকাশে ১৫-২০ দিন থাকা্র ব্যবস্থা করা হবে মহাকাশ্চারীদের জন্য; ওই স্পেস স্টেশন তৈরি হলে। কিন্তু এই ব্যাপারে বিস্তারে জানা যাবে; প্রথম মানব মিশন গঙ্গায়ান সম্পূর্ণ হলে।
ইসরো প্রধান জানিয়েছেন; এই প্রকল্পের জন্য কোন দেশের সাহায্য নেওয়া হবে না। কেবলমাত্র আমেরিকা, চিন ও রাশিয়ার নিজস্ব মহাকাশ স্টেশন আছে। এই প্রকল্পটিকে ‘গঙ্গায়ান’-এর সম্প্রসারন হিসাবেই দেখা হচ্ছে।
সরকার ইতিমধ্যে প্রকল্পের জন্য; ১০ হাজার কোটি টাকা বাজেট অনুমোদন করেছেন। অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকটায় থাকবে আরও দুটো ফ্লাইট। এই ব্যবস্থা ২০২২ সালের মানব বিমান পরিকল্পনার জন্য।
ওই আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে মহাকাশ্চারীদের দীর্ঘদিন থাকার ব্যবস্থা; অন্যান্য মহাকাশযানের মেরামতি ও অন্যান্য ব্যবস্থা দিতে পারবে। আমেরিকা,চিন ও রাশিয়ার পর; ভারত চতুর্থ নিজেস্ব স্পেস স্টেশন নির্মাণের পথে।
আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনটি; পৃথিবীর কক্ষপথে থাকা একটি কৃত্রিম উপগ্রহ হিসাবে কাজ করবে। এটি মানুষের হাতে তৈরি; ভারতের সবচেয়ে বড় কৃত্রিম উপগ্রহ। পৃথিবী থেকে এটিকে খালি চোখেও দেখা যাবে।
মহাকাশ স্টেশন একটি জটিল ব্যবস্থা। এটি বৈদ্যুতিক শক্তি, তাপ নিয়ন্ত্রণ, কক্ষপথ নেভিগেশন, কম্পিউটিং এবং যোগাযোগ ব্যবস্থাতে সাহায্য করতে পারবে; এছাড়াও জরুরী সময় অক্সিজেনের ব্যবস্থা করতে পারবে।
একটি স্পেস স্টেশন ব্যবহার হয় অন্য মহাকাশযান ও মহাকাশ্চারীদের জায়গা বদলাতে; এটা মহাকাশযানের থেকে আলাদা হয়। এপ্রিল ২০১৮ সালের হিসাবে; দুটি মহাকাশ স্টেশন পৃথিবীর কক্ষপথে অবস্থিত।