পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীর ওপর; চাপ বেশ বাড়িয়েই চলছে লোকসভা নির্বাচনে বাংলা ও ভারত জুড়ে অভাবনীয় ফল করা বিজেপি। তৃণমূল কংগ্রেস দলনেত্রী মমতাকে ‘জয় শ্রী রাম’ লেখা; ১০ লাখ পোস্ট কার্ড পাঠান হবে বলে জানিয়েছিলেন; ব্যারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিং। সোমবার থেকেই সেই কার্ড পাঠান শুরু করলেন অর্জুন।
শনিবারই ব্যারাকপুরের কাঁচড়াপাড়া এলাকায়; বিজেপির ‘জয় শ্রী রাম’ স্লোগান নিয়ে ফের দুদলের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এখানে স্থানীয় এক তৃণমূল কর্মীর বাড়িতে তৃণমূল নেতাদের বৈঠকের সময়; কাছেই বিজেপি কর্মীরা জড়ো হয়ে ‘জয় শ্রী রাম’ স্লোগান দেয়। এরপর পুলিশ তাদের ওপর চড়াও হয়।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এর গাড়ির সামনে; জয় শ্রী রাম ধ্বনী দেওয়ায়; জগদ্দল থানার পুলিশ গ্রেফতার করেছিল দশ জনকে। বৃহস্পতিবার ভাটপাড়ায় মমতার গাড়ির সামনে; জয় শ্রী রাম স্লোগান দেয় একদল যুবক। আর তা শুনে মেজাজ হারান; মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গাড়ি থেকে নেমে সাধারণ মানুষের দিকে ধেয়ে যান তিনি।
মেদিনীপুরের মত এবারেও; সেই একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটল কাঁচরাপাড়ায়। এরই প্রতিবাদে মমতার বাড়িতে জয় শ্রীরাম লেখা; ১০ লক্ষ পোস্ট কার্ড পাঠানোর কথা ঘোষণা করলেন অর্জুন সিং। সোমবার সেই পোস্টকার্ড পাঠানোর কাজ নিজের হাতে শুরু করলেন অর্জুন।
শনিবার এই ঘটনার সূত্রপাত। কাঁচরাপাড়ায় জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের নেতৃত্বে বৈঠক করে তৃণমূল নেতারা। ওই বৈঠকে ছিলেন সুজিত বসু, মদন মিত্র, নির্মল ঘোষ সহ তৃণমূল নেতৃত্ব। এরপরই বাইরে জমায়েত করতে শুরু করেন বিজেপি কর্মী সমর্থকরা। বাইরে চলতে থাকে অবিরত জয় শ্রীরাম ধ্বনি।
পুলিশ লাঠিচার্জ করে। বিজেপির বিক্ষোভে; উত্তাল হয়ে ওঠে কাঁচরাপাড়া। পথ অবরোধ এর পর; রেল অবরোধ করেন বিক্ষোভকারীরা। এরপর বৈঠক সেরে; তৃণমূল নেতা ও মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক এবং তাপস রায়ের গাড়ি এলাকা ছাড়ার সময়; তাদের বিজেপি কর্মীদের তোপের মুখে পড়তে হয়। এই সময় পুলিশ লাঠিচার্জ করেছে; বলে অভিযোগ বিজেপির।
এর কিছুক্ষণ পর অর্জুন সিং; মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির ঠিকানায় ‘জয় শ্রী রাম’ লেখা ১০ লাখ পোস্ট কার্ড পাঠানো হবে; বলে জানান। সোমবার সেই কাজ শুরু করলেন নিজের হাতেই। তৃণমূল নেতা কর্মীরাও পাল্টা; অর্জুনের হোয়াটস অ্যাপস নাম্বার দিয়ে জয় হিন্দ লিখে পাঠাতে বলেছেন।