আপ্তসহায়কের মৃতদেহ নিজের কাঁধে তুলে; শেষকৃত্যের উদ্দেশ্যে রওয়ানা স্মৃতির। আর সেই ছবিই ছড়িয়ে পড়ল গোটা দেশে। স্মৃতি ইরানীর এই ছবিই; রবিবার হয়ে থাকল একটি আবেগঘন মুহূর্তের সাক্ষী।
শনিবার গভীর রাতে নিজের বাড়িতেই; দুষ্কৃতিদের গুলিতে খুন হন স্মৃতি ইরানীর আপ্তসহায়ক ৫০ বছরের সুরেন্দ্র সিং। উত্তরপ্রদেশের আমেঠীর বরৌলিয়া গ্রামের প্রধান ছিলেন সুরেন্দ্র সিং। আমেঠীতে ভোট প্রচারে; আমেঠী কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী স্মৃতি ইরানীর; সর্বক্ষণের সঙ্গী ছিলেন তিনি।
তাঁর মৃত্যুর পর শবযাত্রীদের সঙ্গে সুরেন্দ্র সিংয়ের মৃতদেহ; নিজের কাঁধে তুলে নিয়ে শেষকৃত্যের উদ্দেশ্যে গেলেন স্মৃতি ইরানী। স্যোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হল; সেই আবেগঘন মুহূর্তের ছবি।
সুরেন্দ্র সিংয়ের মৃত্যুর জন্য; পরিবারের তরফে আঙুল তোলা হয়েছে কংগ্রেসের দিকে। নিহতের পুত্র অভয় সিং জানান; তারা আততায়ীদের চোখে দেখেননি; কিন্তু নিশ্চিতভাবে তার বাবার মৃত্যুর পেছনে কংগ্রেস আশ্রিত দুষ্কৃতিদের হাত রয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন।
স্মৃতি ইরানীর সঙ্গে প্রচারে বেরিয়ে; তাদের এলাকা থেকে বহু মানুষের সমর্থন পেয়েছেন বলে জানান তিনি। আমেঠীতে ভোট প্রচারে; স্মৃতি ইরানীর অন্যতম প্রধান সেনাপতি ছিলেন এই সুরেন্দ্র সিং। আমেঠী কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী স্মৃতি ইরানী; তাঁর জয়ের জন্য তাঁকেই অনেকটা কৃতিত্ব দিয়েছেন।
আমেঠীর পুলিশ সুপার রাজেশ কুমার জানিয়েছেন; এই ঘটনায় জড়িতদের ধরার জন্য বিভিন্ন সম্ভাবনার কথা মাথায় রেখে তদন্ত চালানো হচ্ছে। নিহত সুরেন্দ্র সিংয়ের সাথে কারও কোনও পুরোনো বিবাদ রয়েছে কিনা; তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। রাজনৈতিক কারনে খুন কিনা; তাও তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
উত্তরপ্রদেশের ডিজিপি ওম প্রকাশ সিং জানিয়েছেন; এই ঘটনায় এখনও অবধি সন্দেহভাজন ৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদের কাজ চলছে। আর ১২ ঘন্টার মধ্যেই ঘটনার কারণ এবং কারা এই ঘটনায় জড়িত; তার সম্পূর্ণ তথ্য সামনে এসে যাবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
রবিবার উত্তরপ্রদেশ সরকারের তরফে ট্যুইট বিবৃতিতে জানানো হয়; উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ রবিবার সন্ধ্যার মধ্যেই; এই তদন্ত সংক্রান্ত রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। লক্ষ্ণৌয়ের ইন্সপেক্টর জেনারেলকে; এই ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বিজেপির তরফেও এই ঘটনার পিছনে; কংগ্রেসের দিকেই আঙুল তোলা হয়েছে। তবে কংগ্রেসের তরফ থেকে এই ঘটনায় জড়িত থাকার কথা; সম্পূর্ণ অস্বীকার করা হয়েছে।