কলকাতার প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমারকে নিয়ে; কেন্দ্র রাজ্য সংঘর্ষ অব্যহত। এবার নির্বাচন কমিশন বাংলা থেকে সরিয়ে রাজীব কুমারকে পাঠিয়ে দিল দিল্লিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র দফতরে। আর এই ঘটনায় ফের মমতা ও কেন্দ্রের মধ্যে শুরু সংঘাত।
আরও পড়ুনঃ নরেন্দ্র মোদীর জয়ের ভবিষ্যৎবানী করে বরখাস্ত কলেজ অধ্যাপক
রাজীব কুমারকে নিয়ে সিবিআই মমতা; বা রাজ্য কেন্দ্র সংঘর্ষ অনেক দিন ধরেই চলছে। নির্বাচন কমিশন সেই আগুনে ঘৃতাহুতি দিল বলাই যায়। এডিজি সিআইডির পদ থেকে সরিয়ে; রাজীব কুমারকে বাংলা ছাড়া করল নির্বাচন কমিশন। বাংলা থেকে সরিয়ে রাজীব কুমারকে পাঠান হল দিল্লিতে; কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র দফতরে। বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টায় তাঁকে হাজিরা দিতে হবে; দিল্লিতে স্বরাষ্ট্র দফতরে।
আরও পড়ুনঃ ভোট প্রচারে হিংসা, বাংলায় ভোট প্রচার ১ দিন কমিয়ে দিল নির্বাচন কমিশন
সারদা কাণ্ডে তাঁকে নিয়ে উত্তাল হয়; রাজ্য তথা দেশের রাজনৈতিক মহল। সিবিআই লাউডন স্ট্রিটে তাঁর বাসভবনে হানা দেওয়ার পর; সিবিআই কর্তাদের বাড়ির ভিতর ঢুকতে বাধা দেন তাঁর নিরাপত্তারক্ষীরা। তারপর তাঁদের কার্যত ধাক্কা মারতে মারতে; থানায় নিয়ে যান কলকাতা পুলিশের কর্তারা।
সন্ত্রাস রুখতে ব্যর্থ, সরিয়ে দেওয়া হল মমতার স্বরাষ্ট্র সচিবকে
পুলিশ কমিশনারের বাড়িতে সিবিআই হানার প্রতিবাদে; ধর্মতলার মেট্রো চ্যানেলে ধর্নায় বসে যান স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ধর্নামঞ্চে পৌঁছে যান স্বয়ং রাজীব কুমারও। কিন্তু কে এই রাজীব কুমার? ১৯৮৯ এর ব্যাচের উত্তরপ্রদেশ ক্যাডারের এই আইপিএস অফিসার; কেরিয়ারের শুরুর দিন থেকেই নির্ভীক পুলিশ অফিসার হিসেবে পরিচিত। তাঁর বাবা ছিলেন উত্তরপ্রদেশের চান্দোসীর এক কলেজের অধ্যাপক।
আরও পড়ুনঃ মমতাকে সাদ্দাম হুসেনের সাথে তুলনা করলেন বিবেক ওবেরয়
আইপিএস জীবনের প্রায় শুরুর দিন থেকেই; তিনি রয়েছেন পশ্চিমবঙ্গতে। এর আগে ছিলেন নদিয়ার পুলিশ সুপার। ২০১৬ সালে সুরজিৎ কর পুরকায়স্থের জায়গায়; তিনি আসেন কলকাতা পুলিশ কমিশনার হিসেবে। ২০১৩ সালে চিটফান্ড কেলেঙ্কারী মামলায়; রাজ্য সরকার যে বিশেষ তদন্তকারী দল তৈরি করেছিল; তার দায়িত্বে ছিলেন রাজীব কুমার। এবার তাঁকে পাকাপাকি ভাবে বাংলা ছাড়া করল নির্বাচন কমিশন।