বলিউডের জীবন হলো গ্ল্যামার বা স্টারডমের স্বর্গরাজ্য। এখানে যেমন সফলতার চূড়ায় পৌঁছে যাওয়া যায়; ঠিক তেমনি কেউ কেউ আবার কালের গর্ভে বিলীন হয়ে যান; হতাশার শেষ পর্যায়ে অনেকে নিজের জীবন ধ্বংস করে দেয়; তেমনই তিনজন নারী সেলিব্রিটিদের যারা আত্মহননের পথ বেছে নিয়েছিলেন।
জিয়া খান বলিউডের এই অভিনেত্রী নিউইয়র্কের একটি মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন; তার নাম ছিল নাফিজা খান। বলিউডে তিনি তার নাম পরিবর্তন করে রাখেন জিয়া খান; ২০০৭ সালে ‘নিঃশব্দ’ সিনেমার মাধ্যমে বলিউডে আত্মপ্রকাশ করেন।
এছাড়া তিনি আমির খানের জনপ্রিয় সিনেমা গজনীতে পার্শ্ব অভিনেত্রীর অভিনয় করেন। তিনি তার ৩য় এবং শেষ অভিনয় করেন হাউজফুল সিনেমা তে। ২০১৩ সালের ৩রা জুন তার লাশ পাওয়া যায়। প্রেমের হতাশায় তিনি আত্নহত্যা করেন।
সত্যজিৎ রায় এর স্ক্রিপ্ট চুরি করে ফিল্ম বানিয়ে হলিউডে নাম করেছিলেন স্পীলবার্গ
দিব্যা ভারতী দিব্যা ওম প্রকাশ ভারতী ভারতীয় চলচ্চিত্রে এমন একজন অভিনেত্রী যিনি তার প্রজন্মের সবচেয়ে আকর্ষণীয় অভিনেত্রী হিসেবে অভিহিত ছিলেন; ৯০ এর দশকে তিন বেশ কয়েকটি বাণিজ্যিকভাবে সফল হিন্দি; তেলেগু এবং তামিল সিনেমায় কাজ করেছিলেন।
মাত্র ১৯ বছর বয়সে এই প্রতিভাবান অভিনেত্রীর জীবনের দু:খজনক সমাপ্তি ঘটে; ১৯৯৩ সালে তিনি তার ৫ম তলার এ্যাপার্টমেন্টের জানালা দিয়ে ঝাঁপিয়ে মৃত্যুবরণ করেন। এটি কোনো আত্নহত্যা ছিল নাকি দুর্ঘটনাজনিত মৃত্যু ছিল তা আজ পর্যন্ত কেউ জানতে পারেনি।
আরও পড়ুন অভিনয় জীবনে প্রথমবার রূপান্তরকামীর চরিত্রে অমিতাভ বচ্চন
সিল্ক স্মিতা সিল্ক স্মিতা একজন ভারতীয় চলচ্চিত্র শিল্পী ছিলেন যিনি মূলত দক্ষিণ ভারতীয় চলচ্চিত্রে কাজ করেছিলেন; তামিল সিনেমা বন্দিচকর্রামে সিল্ক নামে অভিনয় করে প্রথম সবার নজর কাড়েন; ৮০ এর দশকে সিল্ক ছিলেন সবার স্বপ্নের অভিনেত্রী হয়ে উঠেন।
১৯৯৬ সালের ২৩শে সেপ্টেম্বর সিল্ক চেন্নাইয়ে নিজের বাসায় সিলিং ফ্যানের সাথে দড়ি দিয়ে ঝুলে আত্নহত্যা করেন। একটি সুইসাইড নোটে তিনি তেলেগু ভাষায় লিখেন, ক্রমাগত ব্যর্থতা তার জীবনে হতাশার সৃষ্টি করেছে এবং তিনি এই কঠোর পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হয়েছেন। সিল্ক স্মিতার জীবনের উপর ভিত্তি করে পরবর্তীতে বলিউডে “দ্য ডার্টি পিকচার” নামে একটি সিনেমা তৈরি করেন। তাতে বিদ্যা বালান সিল্কের চরিত্রে অভিনয় করেন।