তৃণমূলের ৪০ জন বিধায়ক আমার সঙ্গে প্রতিদিন যোগাযোগ রাখেন, শ্রীরামপুরে এক জনসভায় সোমবার বললেন নরেন্দ্র মোদী। ভোটের পরই তাঁরা বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন বলেই আভাস দেন প্রধানমন্ত্রী। আর মোদীর এই ঘোষণার পরেই রাজ্য রাজনীতিতে শুরু হয়েছে জোর বিতর্ক। কোন ৪০ জন বিধায়ক প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে প্রতিদিন যোগাযোগ রাখেন? প্রশ্ন উঠে গেল।
“তৃণমূলের ৪০ জন বিধায়ক প্রতিদিন আমার সঙ্গে যোগাযোগ রাখেন”, শ্রীরামপুরে এক জনসভায় সোমবার এই কথা বলেন নরেন্দ্র মোদী। আর তারপরেই বাংলার রাজনীতিতে শুরু হয়েছে জোর ফিসফিসানি। কি বললেন নরেন্দ্র মোদী? যদি সত্যি হয়, কোন কোন তৃণমূল বিধায়ক মোদীর সঙ্গে যোগাযোগ রাখেন? উঠে গেছে প্রশ্ন।
আরও পড়ুনঃ মোবাইলে হুমকি দিয়ে নির্বাচন কমিশনকে হাস্যকর প্রমাণ করলেন অনুব্রত মণ্ডল
ভোটের পরেই ১২০ বিধায়ক তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে। তৃতীয় দফার ভোটের পর বিস্ফোরক দাবী করেছিলেন বিজেপি নেতা মুকুল রায়। লোকসভা ভোটে যে যে বিধানসভায় বিজেপি লিড পাবে সেখানকার বিধায়করা তৃণমূল থেকে ইস্তফা দিয়ে বিজেপিতে যোগদান করবেন বলেই দাবী ছিল মুকুল রায়ের। মুকুল রায়ের এই ঘোষণার পরে শোরগোল পরে যায় বাংলার রাজনীতিতে। হারার ভয়ে মাথা খারাপ হয়ে গেছে মুকুল রায়ের, পাল্টা দাবী করেছিল তৃণমূল।
আরও পড়ুনঃ বীরভূমের নানুরে তৃণমূলের গুন্ডাবাহিনীকে লাঠি হাতে পাল্টা দিলেন গ্রামের মহিলারাই
সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট দিয়ে মুকুল রায় লিখিত ভাবে জানিয়ে দেন যে, ১১০ থেকে ১২০ জন তৃণমূল বিধায়ক তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছেন। ভোটের পরেই দলবদল করতে পারেন তারা। ভোটের মধ্যেই মুকুলের এই ঘোষণায় হইচই পরে যায় রাজ্য জুড়ে। জোর চর্চা শুরু হয় রাজনৈতিক মহলে।
সৌমিত্র খাঁ, অনুপম হাজরার পর ইতিমধ্যেই দল ছেড়েছেন অর্জুন সিং এর মত দাপুটে নেতা। সব্যসাচী দত্ত ও অন্যান্য নেতাদের নিয়েও প্রতিদিন চলছে চর্চা। আর এর মধ্যেই মুকুল রায়ের এই বিস্ফোরক ঘোষণা টলিয়ে দিয়েছে তৃণমূলের অন্দরেই। শুরু হয়েছে ফিসফিসানি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও বলেছেন, “যারা যেতে চায় তারা যাক”।
আরও পড়ুনঃ বাংলায় শান্তিপূর্ণ ভোট হচ্ছে, গম্ভীর রসিকতা বিশেষ পর্যবেক্ষক অজয় নায়েকের
সোমবার নরেন্দ্র মোদীর এই ঘোষণার পর ফের সরগরম রাজ্য রাজনীতি। তাহলে কি মুকুল রায়ের দাবি সত্যিই ঠিক ছিল? মোদীর এই দিনের বক্তব্য সেই দাবিকেই মান্যতা দিল বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। তবে মোদীর দাবী সম্পূর্ণ উড়িয়ে দিয়েছেন তৃণমূল। হারার ভয়ে ভুল বকছেন মোদী, দাবী তৃণমূলের।
আরও পড়ুনঃ রানীগঞ্জ ও চিত্তরঞ্জনের একাধিক বুথে ছাপ্পা ভোটের অভিযোগ
তবে এই একই আলোচনা এখন ট্রেনে, বাসে ও পাড়ার চায়ের ঠেকে। কোন ৪০ জন? মুকুলের পর মোদীর একই মন্তব্য নাড়িয়ে দিয়েছে গোটা রাজ্যের রাজনৈতিক মহলকে। ভোটের মধ্যেও কিভাবে সমস্ত আলো গেরুয়া শিবিরের দিকে টেনে নিতে হয় তা জানেন মোদী, বলছে বাংলার রাজনৈতিক মহল। তবে সন্দেহের জাল যে তৃণমূলের অন্দরে ভাল মতই ঢুকিয়ে দিতে পেরেছেন মোদী, এমনটাই ভাবছে রাজনৈতিক মহল।