বিজেপিকে রুখতে বহুদিন ধরেই সারা দেশ জুড়েই মহাজোটের বার্তা দিয়েছে বিভিন্ন বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক দল। কিন্তু জোটে আগ্রহী দল গুলোও জোটের মধ্যে গিয়ে নিজেদের দলীয় স্বার্থ ক্ষুন্ন করতে চাইছেন না। এই সমস্যার ভুক্তভোগী দিল্লির ক্ষমতাসীন দল আম আদমি পার্টি। বহুদিন ধরে জোট সমস্যায় আটকে থাকার পর জোটের জটের রাস্তা খোলার চেষ্টা করল কংগ্রেস।
আরও পড়ুনঃ কাশ্মীরে মেহবুবার গাড়ি লক্ষ্য করে পাথরবাজদের হামলা
জোট ছাড়া কার্যত বিজেপিকে ঠেকানো অসম্ভব, তা বহুবারই নিজের কথাবার্তায় পরিষ্কার করে দিয়েছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী তথা আম আদমি পার্টির সুপ্রিমো কেজরীওয়াল। প্রায় ২ মাস ধরে কংগ্রেসের সাথে জোটের চেষ্টা চালানোর পরেও কোনও সিদ্ধান্তে আসা সম্ভব হয়নি।
আরও পড়ুনঃ উর্মিলার সভায় মোদীর হয়ে শ্লোগান দিয়ে কংগ্রেসের হাতে প্রহৃত বিজেপি সমর্থকরা
দিল্লি বিধানসভার ৭ টি আসনের মধ্যে ১টি আসন কংগ্রেসের জন্য ছাড়তে রাজি হয়েছিল কেজরীওয়াল৷ অসম্মানজনক প্রস্তাবে কংগ্রেস রাজি হয়নি। দিল্লির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শীলা দীক্ষিতও জোট প্রস্তাবে রাজি ছিলেন না। অবশেষে দ্বিতীয় দফা নির্বাচনের আগে জোট রাস্তা খুলতে উদ্যোগী হলেন রাহুল গান্ধী।
আরও পড়ুনঃ মোদীর হেলিকপ্টারে কালো বাক্স রহস্য, নির্বাচন কমিশনে কংগ্রেস
আম আদমি পার্টির জন্য ৪টি আসন ছাড়তে রাজি হল কংগ্রেস। সোমবার একটি ট্যুইটে রাহুল গান্ধী আসন বন্টনের কথা উল্লেখ করে জানান, জোটের রাস্তা এখনও খোলা, কিন্তু সময় চলে যাচ্ছে। জোট হলে বিজেপিকে হারানো সম্ভব বলে তিনি উল্লেখ করেন।
আরও পড়ুনঃ কংগ্রেস সমর্থকদের হাতে খুন ৭৫ বছরের বৃদ্ধ মোদী সমর্থক
যদিও আম আদমি পার্টির তরফে এই সমঝোতাকে গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। কারন, পাঞ্জাব বা হরিয়ানাতেও আম আদমি কংগ্রেসের সাথে জোটবদ্ধ হয়ে বিজেপিকে হারানোর আগ্রহ প্রকাশ করেছে, কিন্তু ওই সকল রাজ্যে কংগ্রেস আম আদমি পার্টিকে জায়গা ছাড়তে রাজি নয়।
আরও পড়ুনঃ ভিন্ন জাতে বিয়ে করার শাস্তি, স্বামীকে কাঁধে তুলে স্ত্রীকে ঘুরতে হল গোটা গ্রাম
জোট আলোচনার জন্য আগেই রাহুল গান্ধীর উপস্থিতিতে দলীয় কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছিল। কিন্তু সেখানে জোটের সম্ভাবনার কথা সম্পূর্ণ উড়িয়ে দিয়েছিলেন দিল্লি প্রদেশ কংগ্রেসের সভানেত্রী তথা দিল্লির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শীলা দীক্ষিত। কিছুদিন আগে অন্ধ্রপ্রদেশে চন্দ্রবাবু নাইডুর আমন্ত্রনে একটি জনসভায় কেজরীওয়াল বলেছিলেন, শীলা দীক্ষিতের কথার কোনও গুরুত্ব নেই। রাহুলের সাথে কেজরীওয়ালের কথা হয়েছে বলে তিনি জানিয়েছিলেন৷
আরও পড়ুনঃ তৃণমূলের ভোট প্রচারে বাংলাদেশী নায়ক, সমালোচনায় সরব বিরোধীরা
যদিও রাহুল গান্ধী এর আগে দিল্লিতে একা লড়ার পক্ষে ছিলেন। আম আদমি পার্টির তরফে একাধিকবার কংগ্রেসের সাথে জোট করার প্রস্তাব দেওয়া হলেও সেই প্রস্তাবকে তখন বিশেষ গুরুত্ব দেয়নি কংগ্রেস।
আরও পড়ুনঃ ইচ্ছে থাকলে সহজেই পরিবার নিয়ে আপনিও যেতে পারেন মহাকাশ ভ্রমণে
উল্লেখ্য, ২০১৩ সালে দিল্লি বিধানসভার ভোটে কংগ্রেসকে সরিয়ে ক্ষমতায় আসে আপ। প্রাথমিকভাবে আপের সংখ্যাগরিষ্ঠতা না থাকায় কংগ্রেসকে সাথে নিয়ে সরকার চালাতে হয়। এরপর মাত্র ৪৯ দিনের মাথায় সরকার ভেঙ্গে দেন কেজরীওয়াল।
আরও পড়ুনঃ মোদীকে ভোট দিতে চাকুরী ছেড়ে ভারতে এলেন এই প্রবাসী ভারতীয়
এরপর ২০১৫ সালে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে দিল্লি বিধানসভার ৭০টির মধ্যে ৬৭টি আসন দখল করে ক্ষমতায় আসে আম আদমি পার্টি। কংগ্রেস একটিও সিট পায়নি। এদিকে ২০১৪ লোকসভা ভোটে আপ ভালো সংখ্যক ভোট পেলেও আপ বা কংগ্রেস কেউই কোনো আসন জিততে পারেনি।
আরও পড়ুনঃ বাংলায় ভোটে নির্বাচন কমিশনের চিন্তার কারণ শ্যাডো জোন, এল হ্যাম রেডিও
আপনার মোবাইলে বা কম্পিউটারে The News বাংলা পড়তে লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ।